ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় কাহিল হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনপদ। রাস্তায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে বাস ও পরিবহনগুলো। সূর্যের দেখা মিললেও নেই কোনো উত্তাপ। কনকনে ঠান্ডায় কাজে বের হওয়া মানুষগুলো পড়েছে চরম বিপাকে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ঘোড়ার গাড়িচালক মো. শহিদ মিয়া (৪৬) বলেন, মাঘ মাস পড়েছে, প্রচুর ঠান্ডা। গাড়ি নিয়ে বের হওয়া যায় না। তবুও বের হলাম ভাড়া না হলে বউ-ছাওয়াল না খায়া থাকবে। ঠাণ্ডা শুরু হইছে থাকি ভাড়া অনেক কম হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ৪৯ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেগুলো বিতরণ শেষের পথে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ একদম কম বলে জানিয়েছেন শীতার্ত মানুষেরা।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বলেন, বুধবার জেলায় ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ২৩-২৪ তারিখে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির
দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান- হিমালয়ের কাছাকাছি সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুরে ঘন কুয়াশায় বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। এছাড়া কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে দেশের উত্তরাঞ্চলের এ জেলা। বুধবার (২২ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরাঞ্চলের এ জেলাটিতে বেড়েছে শীতের দাপট। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় জেলার জনজীবন কাবু করে দিচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষেরা। হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যেই তাদের কর্মস্থলে ছুটতে হচ্ছে। অনেক শীতের কারণে বাসায় বসে অলস সময় পার করছেন। এদিকে সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে। নিতান্তই প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষের দেখা মিলছে পথঘাটে।
কৃষি শ্রমিক তুমিন ইসলাম বলেন, একদিকে ঠাণ্ডা বাতাস অন্যদিকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। রাস্তা ঘাট কিছু দেখা যাচ্ছে না। ধানের জন্য জমি তৈরি করছি কিন্তু শীতের কারণে কাজে যেতে পারছি না। ইটভাটা শ্রমিক হামিদুর রহমান বলেন, শীতের কারণে গত দু-দিন ভাটায় কাজ করতে যাইনি। আজ আরো বেশি শীত বাসায় বসে থাকলে খাব কি আবার কিস্তি পরিশোধের চিন্তা মাথায়, সে জন্য উপায় না পেয়ে কাজে যোগ দিতে বাসা থেকে বের হলাম।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বুধবার সকাল ৬ টায় দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩ কিলোমিটার।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ঘোড়ার গাড়িচালক মো. শহিদ মিয়া (৪৬) বলেন, মাঘ মাস পড়েছে, প্রচুর ঠান্ডা। গাড়ি নিয়ে বের হওয়া যায় না। তবুও বের হলাম ভাড়া না হলে বউ-ছাওয়াল না খায়া থাকবে। ঠাণ্ডা শুরু হইছে থাকি ভাড়া অনেক কম হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ৪৯ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেগুলো বিতরণ শেষের পথে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ একদম কম বলে জানিয়েছেন শীতার্ত মানুষেরা।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বলেন, বুধবার জেলায় ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ২৩-২৪ তারিখে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির
দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান- হিমালয়ের কাছাকাছি সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুরে ঘন কুয়াশায় বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। এছাড়া কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে দেশের উত্তরাঞ্চলের এ জেলা। বুধবার (২২ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরাঞ্চলের এ জেলাটিতে বেড়েছে শীতের দাপট। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় জেলার জনজীবন কাবু করে দিচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষেরা। হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যেই তাদের কর্মস্থলে ছুটতে হচ্ছে। অনেক শীতের কারণে বাসায় বসে অলস সময় পার করছেন। এদিকে সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে। নিতান্তই প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষের দেখা মিলছে পথঘাটে।
কৃষি শ্রমিক তুমিন ইসলাম বলেন, একদিকে ঠাণ্ডা বাতাস অন্যদিকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। রাস্তা ঘাট কিছু দেখা যাচ্ছে না। ধানের জন্য জমি তৈরি করছি কিন্তু শীতের কারণে কাজে যেতে পারছি না। ইটভাটা শ্রমিক হামিদুর রহমান বলেন, শীতের কারণে গত দু-দিন ভাটায় কাজ করতে যাইনি। আজ আরো বেশি শীত বাসায় বসে থাকলে খাব কি আবার কিস্তি পরিশোধের চিন্তা মাথায়, সে জন্য উপায় না পেয়ে কাজে যোগ দিতে বাসা থেকে বের হলাম।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বুধবার সকাল ৬ টায় দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩ কিলোমিটার।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে