পাবনার রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চলতি বছরের এপ্রিলে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। তার জন্য বিকল্প হিসেবে অন্তত ১ হাজার ৯০৭ মেগাওয়াট সক্ষমতার গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার সুপারিশ করা হয়েছে রাশিয়ান পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। কোনো কারণে রূপপুরে বিঘ্ন ঘটলে বিকল্প কেন্দ্র থেকে যেন সরবরাহ নিশ্চিত করা যায় সেজন্যই এ পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে চলতি বছর সেচ, রমজান ও গ্রীষ্ম মৌসুমে গ্যাসভিত্তিক অন্তত আট হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় দেশে তীব্র লোডশেডিং হওয়ার শঙ্কার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব (উন্নয়ন-১) মোহাম্মদ সোলায়মানের সই করা এক চিঠি ১৪ জানুয়ারি জ্বালানি বিভাগে পাঠানো হয়েছে। তাতে রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান এসটিসি ইউপিএর (সায়েন্টিফিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল সেন্টার অব ইউনিফায়েড পাওয়ার সিস্টেম) পরামর্শের বিষয় তুলে ধরা হয়। চিঠিতে বলা হয়, রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট জাতীয় গ্রিডে প্রতিস্থাপনের (সিনক্রোনাইজেশন) জন্য অতিরিক্ত ১ হাজার ৯০৭ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র রিজার্ভ রাখার জন্য বলেছে এসটিসি ইউপিএ। এর মধ্যে গ্রিডের প্রাথমিক ফ্রিকোয়েন্সি কন্ট্রোল করার জন্য ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট এবং দ্বিতীয় ফ্রিকোয়েন্সি কন্ট্রোলের জন্য ৭০৭ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে বিকল্প হিসেবে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের পাঠানো ওই চিঠিতে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসটিসি ইউপিএর সুপারিশে বলা হয়, প্রাইমারি ফ্রিকোয়েন্সি কন্ট্রোলের ক্ষেত্রে (এফজিএমও) গ্যাস টারবাইন বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে দ্রুত সাড়া পাওয়া যায়। আর সেটি হলে গ্যাসভিত্তিক অন্তত আট হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে। এরই মধ্যে বিদ্যুতের সঞ্চালন সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) উল্লেখিত সক্ষমতার গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন নিশ্চিতের জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) চিঠি দিয়ে জানিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিপিডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রিজার্ভ রাখার বিষয়টি রূপপুর কর্তৃপক্ষ পিজিসিবির মাধ্যমে আমাদের জানিয়েছে। বিপিডিবির পক্ষ থেকে সেটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগকে জানিয়েছি। বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের যৌথ বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা করা হবে। এরপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
বিপিডিবি ও পিজিসিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্র গ্রিডে যুক্ত করার ক্ষেত্রে প্রায় একই সক্ষমতার বিকল্প কেন্দ্র প্রস্তুত রাখতে হয়। নতুন কেন্দ্রটির যদি কোনো কারণে ত্রুটি দেখা দেয় কিংবা বন্ধ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে যাতে বিকল্প কেন্দ্রের সরবরাহ দিয়ে গ্রিড সচল রাখা যায়। মূলত এটি করা হয় গ্রিড যাতে কোনো কারণে ট্রিপ না করে। রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরো স্পর্শকাতর। সেক্ষেত্রে এ ধরনের প্রস্তুতিটা আরো বেশি জরুরি।জানতে চাইলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের শীর্ষ এক কর্মকর্তা নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বলেন, ‘রূপপুর চালু করতে রাশিয়ান পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের এ সুপারিশ বহু আগের। এটা পিজিসিবি, জ্বালানি বিভাগকে অনেক আগেই অবহিত করা আছে।’
চলতি বছরের গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট প্রাক্কলন করা হয়েছে। সে অনুযায়ী বিদ্যুৎ চাহিদা তৈরি হলে প্রস্তুত রাখতে হবে অন্তত আট হাজার মেগাওয়াটের গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্র। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ৪৩ শতাংশই গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্র হলেও জ্বালানি সংকটের কারণে চাহিদা অনুযায়ী সেগুলোয় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না বিপিডিবি। ফলে এসব কেন্দ্র বসিয়ে রেখে উচ্চ মূল্যের জ্বালানি তেল ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ওপর নির্ভর করতে হয়।
বিপিডিবি সূত্রে জানা যায়, দেশে সেচ, রমজান ও গ্রীষ্ম মৌসুমে চলতি বছর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য প্রায় ১ হাজার ৭০০ এমএমসিএফডি গ্যাস প্রয়োজন হবে। এ গ্যাস রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালুর জন্য পাওয়ার সিস্টেম রিলায়েবিলিটি ঠিক রাখার হিসাব ধরে। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য গ্রীষ্ম ও শীতকালীন গ্যাসের দুটি চাহিদাপত্র পেট্রোবাংলা ও জ্বালানি বিভাগে পাঠিয়েছে বিপিডিবি। এর মধ্যে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১ হাজার ৩৯৪ মিলিয়ন ঘনফুট, মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৬৯৮ মিলিয়ন ও অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৩৯৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে।
দেশে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সক্ষমতা বর্তমানে ১২ হাজার ৪১৩ মেগাওয়াট। এর মধ্যে গ্যাস পাওয়া সাপেক্ষে সর্বোচ্চ সাড়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত চালানো যায়। বাকি সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র সারা বছর বসিয়ে রাখতে হয় বিপিডিবিকে। বতর্মানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় গড়ে সাড়ে ৮০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। যেখানে সব গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্র চালু রাখতে দৈনিক ২ হাজার ৪০০ এমএমসিএফডি গ্যাসের চাহিদা রয়েছে বিপিডিবির।
রাশিয়ার অর্থায়নে পাবনার রূপপুরে নির্মাণ করা হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ প্রকল্পে মোট ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে রাশিয়ার অর্থায়ন ৯১ হাজার কোটি টাকা। বাকি অর্থ বাংলাদেশ সরকারের। এরই মধ্যে রূপপুরের সিংহভাগ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এপ্রিলে বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালুর জোর প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। যদিও এ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পেতে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
সূত্র: বনিক বার্তা
বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব (উন্নয়ন-১) মোহাম্মদ সোলায়মানের সই করা এক চিঠি ১৪ জানুয়ারি জ্বালানি বিভাগে পাঠানো হয়েছে। তাতে রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান এসটিসি ইউপিএর (সায়েন্টিফিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল সেন্টার অব ইউনিফায়েড পাওয়ার সিস্টেম) পরামর্শের বিষয় তুলে ধরা হয়। চিঠিতে বলা হয়, রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট জাতীয় গ্রিডে প্রতিস্থাপনের (সিনক্রোনাইজেশন) জন্য অতিরিক্ত ১ হাজার ৯০৭ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র রিজার্ভ রাখার জন্য বলেছে এসটিসি ইউপিএ। এর মধ্যে গ্রিডের প্রাথমিক ফ্রিকোয়েন্সি কন্ট্রোল করার জন্য ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট এবং দ্বিতীয় ফ্রিকোয়েন্সি কন্ট্রোলের জন্য ৭০৭ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে বিকল্প হিসেবে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের পাঠানো ওই চিঠিতে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসটিসি ইউপিএর সুপারিশে বলা হয়, প্রাইমারি ফ্রিকোয়েন্সি কন্ট্রোলের ক্ষেত্রে (এফজিএমও) গ্যাস টারবাইন বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে দ্রুত সাড়া পাওয়া যায়। আর সেটি হলে গ্যাসভিত্তিক অন্তত আট হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে। এরই মধ্যে বিদ্যুতের সঞ্চালন সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) উল্লেখিত সক্ষমতার গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন নিশ্চিতের জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) চিঠি দিয়ে জানিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিপিডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রিজার্ভ রাখার বিষয়টি রূপপুর কর্তৃপক্ষ পিজিসিবির মাধ্যমে আমাদের জানিয়েছে। বিপিডিবির পক্ষ থেকে সেটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগকে জানিয়েছি। বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের যৌথ বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা করা হবে। এরপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
বিপিডিবি ও পিজিসিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্র গ্রিডে যুক্ত করার ক্ষেত্রে প্রায় একই সক্ষমতার বিকল্প কেন্দ্র প্রস্তুত রাখতে হয়। নতুন কেন্দ্রটির যদি কোনো কারণে ত্রুটি দেখা দেয় কিংবা বন্ধ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে যাতে বিকল্প কেন্দ্রের সরবরাহ দিয়ে গ্রিড সচল রাখা যায়। মূলত এটি করা হয় গ্রিড যাতে কোনো কারণে ট্রিপ না করে। রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরো স্পর্শকাতর। সেক্ষেত্রে এ ধরনের প্রস্তুতিটা আরো বেশি জরুরি।জানতে চাইলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের শীর্ষ এক কর্মকর্তা নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বলেন, ‘রূপপুর চালু করতে রাশিয়ান পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের এ সুপারিশ বহু আগের। এটা পিজিসিবি, জ্বালানি বিভাগকে অনেক আগেই অবহিত করা আছে।’
চলতি বছরের গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট প্রাক্কলন করা হয়েছে। সে অনুযায়ী বিদ্যুৎ চাহিদা তৈরি হলে প্রস্তুত রাখতে হবে অন্তত আট হাজার মেগাওয়াটের গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্র। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ৪৩ শতাংশই গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্র হলেও জ্বালানি সংকটের কারণে চাহিদা অনুযায়ী সেগুলোয় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না বিপিডিবি। ফলে এসব কেন্দ্র বসিয়ে রেখে উচ্চ মূল্যের জ্বালানি তেল ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ওপর নির্ভর করতে হয়।
বিপিডিবি সূত্রে জানা যায়, দেশে সেচ, রমজান ও গ্রীষ্ম মৌসুমে চলতি বছর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য প্রায় ১ হাজার ৭০০ এমএমসিএফডি গ্যাস প্রয়োজন হবে। এ গ্যাস রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালুর জন্য পাওয়ার সিস্টেম রিলায়েবিলিটি ঠিক রাখার হিসাব ধরে। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য গ্রীষ্ম ও শীতকালীন গ্যাসের দুটি চাহিদাপত্র পেট্রোবাংলা ও জ্বালানি বিভাগে পাঠিয়েছে বিপিডিবি। এর মধ্যে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১ হাজার ৩৯৪ মিলিয়ন ঘনফুট, মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৬৯৮ মিলিয়ন ও অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৩৯৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে।
দেশে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সক্ষমতা বর্তমানে ১২ হাজার ৪১৩ মেগাওয়াট। এর মধ্যে গ্যাস পাওয়া সাপেক্ষে সর্বোচ্চ সাড়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত চালানো যায়। বাকি সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র সারা বছর বসিয়ে রাখতে হয় বিপিডিবিকে। বতর্মানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় গড়ে সাড়ে ৮০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। যেখানে সব গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্র চালু রাখতে দৈনিক ২ হাজার ৪০০ এমএমসিএফডি গ্যাসের চাহিদা রয়েছে বিপিডিবির।
রাশিয়ার অর্থায়নে পাবনার রূপপুরে নির্মাণ করা হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ প্রকল্পে মোট ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে রাশিয়ার অর্থায়ন ৯১ হাজার কোটি টাকা। বাকি অর্থ বাংলাদেশ সরকারের। এরই মধ্যে রূপপুরের সিংহভাগ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এপ্রিলে বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালুর জোর প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। যদিও এ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পেতে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
সূত্র: বনিক বার্তা