সামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে পরিবার। বিয়েতে রাজি তরুণী। কিন্তু কীভাবে প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেবেন বুঝতে পারছিলেন না। এর পরেই প্রেমিককে বিষ খাইয়ে খুন করেন প্রেমিকা। এমন ঘটনায় আদালত ওই তরুণীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের তিরুঅনন্তপুরমের পরসালা এলাকায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ২০২১ সালে তিরুঅনন্তপুরমের পরসালার বাসিন্দা শ্যারন রাজের সঙ্গে কন্যাকুমারীর বাসিন্দা গ্রীষ্মার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সব ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু ২০২২ সালে সামরিক অফিসারের সঙ্গে তরুণীর বিয়ে ঠিক করে তার পরিবার। বিয়েতে রাজিও হয়ে গিয়েছিলেন গ্রীষ্মা। কিন্তু কীভাবে সম্পর্ক ভেঙে বেরোবেন বুঝতে পারছিলেন না। এর পরেই প্রেমিককে খুনের পরিকল্পনা করেন তিনি।
শ্যারনকে খুনের জন্য ইন্টারনেটে নানা তথ্য ঘেঁটেছিলেন গ্রীষ্মা। একটু একটু করে শ্যারনকে ওষুধ মেশানো পানীয় খাওয়ানো শুরু করেন তিনি। কিন্তু কোনও ফল না-হওয়ায় ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে শ্যারনকে নিজের বাড়িতে ডাকেন গ্রীষ্মা। তাকে কীটনাশক মেশানো পানীয় খেতে দেন। বাড়ি ফিরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেই রাতেই শ্যারনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পর দিন বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনায় গ্রীষ্মাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুধু তাকে একা নয়, গ্রীষ্মার কাকা এবং মামাকে খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিচারক সোমবার সাজা ঘোষণার সময় জানান, এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম। গ্রীষ্মাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানোর পাশাপাশি বিচারক তার কাকা নির্মূল কুমারকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
বিচারক জানান, নির্মূলের বিরুদ্ধে ওঠা খুনের সহযোগিতা করা এবং প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত। তবে এই মামলায় গ্রেপ্তার গ্রীষ্মার মাকে বেকসুর খালাস দেন বিচারক।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ২০২১ সালে তিরুঅনন্তপুরমের পরসালার বাসিন্দা শ্যারন রাজের সঙ্গে কন্যাকুমারীর বাসিন্দা গ্রীষ্মার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সব ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু ২০২২ সালে সামরিক অফিসারের সঙ্গে তরুণীর বিয়ে ঠিক করে তার পরিবার। বিয়েতে রাজিও হয়ে গিয়েছিলেন গ্রীষ্মা। কিন্তু কীভাবে সম্পর্ক ভেঙে বেরোবেন বুঝতে পারছিলেন না। এর পরেই প্রেমিককে খুনের পরিকল্পনা করেন তিনি।
শ্যারনকে খুনের জন্য ইন্টারনেটে নানা তথ্য ঘেঁটেছিলেন গ্রীষ্মা। একটু একটু করে শ্যারনকে ওষুধ মেশানো পানীয় খাওয়ানো শুরু করেন তিনি। কিন্তু কোনও ফল না-হওয়ায় ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে শ্যারনকে নিজের বাড়িতে ডাকেন গ্রীষ্মা। তাকে কীটনাশক মেশানো পানীয় খেতে দেন। বাড়ি ফিরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেই রাতেই শ্যারনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পর দিন বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনায় গ্রীষ্মাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুধু তাকে একা নয়, গ্রীষ্মার কাকা এবং মামাকে খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিচারক সোমবার সাজা ঘোষণার সময় জানান, এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম। গ্রীষ্মাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানোর পাশাপাশি বিচারক তার কাকা নির্মূল কুমারকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
বিচারক জানান, নির্মূলের বিরুদ্ধে ওঠা খুনের সহযোগিতা করা এবং প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত। তবে এই মামলায় গ্রেপ্তার গ্রীষ্মার মাকে বেকসুর খালাস দেন বিচারক।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে