ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের আর এম হাট কে উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি নুর নবীর (৪২) বিরুদ্ধে ফের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষার্থী এ ঘটনার বিচার দাবি করে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠে।
এ ঘটনায় সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুল আফছার, লুৎফুর নাহার সুমি, সূবর্ন চক্রবর্তীকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক ও অভিভাবক জানান, অফিস সহকারী নুর নবী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের অনুসারী। নুর নবী প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সহযোগী। প্রধান শিক্ষক নুর নবীর পক্ষে থাকায় তিনি বারবার এসব অপকর্ম করে রক্ষা পেয়ে যান। এর আগে ২০২২ সালের ২৫ জুলাই নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে নুর নবীকে গ্রেপ্তার করেছিল সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ। তৎকালানীর সময়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন সাবেক এমপি মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর ছোট ভাই প্রফেসর হারুনুর রশিদ। নুর নবী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনুসারী হওয়ায় মামলা তুলে নিতে শিক্ষার্থীর পরিবারকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করেন প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ও নুর নবীর লোকজন। একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীর পরিবার মামলা তুলে নেয়।
শিক্ষার্থীর অভিযোগ ও তদন্ত কমিটি গঠনের সত্যতা নিশ্চিত করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে আলোচনা করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিবেন। নিজের বিরুদ্ধে আনিত এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান তিনি।
এ দিকে ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত নুর নবীর বক্তব্য জানতে বিদ্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে কল দিলে সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়। সোনাগাজী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুরুল আমিন বলেন, শিক্ষার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে
এ ঘটনায় সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুল আফছার, লুৎফুর নাহার সুমি, সূবর্ন চক্রবর্তীকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক ও অভিভাবক জানান, অফিস সহকারী নুর নবী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের অনুসারী। নুর নবী প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সহযোগী। প্রধান শিক্ষক নুর নবীর পক্ষে থাকায় তিনি বারবার এসব অপকর্ম করে রক্ষা পেয়ে যান। এর আগে ২০২২ সালের ২৫ জুলাই নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে নুর নবীকে গ্রেপ্তার করেছিল সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ। তৎকালানীর সময়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন সাবেক এমপি মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর ছোট ভাই প্রফেসর হারুনুর রশিদ। নুর নবী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনুসারী হওয়ায় মামলা তুলে নিতে শিক্ষার্থীর পরিবারকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করেন প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ও নুর নবীর লোকজন। একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীর পরিবার মামলা তুলে নেয়।
শিক্ষার্থীর অভিযোগ ও তদন্ত কমিটি গঠনের সত্যতা নিশ্চিত করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে আলোচনা করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিবেন। নিজের বিরুদ্ধে আনিত এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান তিনি।
এ দিকে ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত নুর নবীর বক্তব্য জানতে বিদ্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে কল দিলে সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়। সোনাগাজী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুরুল আমিন বলেন, শিক্ষার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে