বাংলা স্কুপ, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪:
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বিগত বছরগুলোতে বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ হয়েছে। শঠতা, নিপীড়ন ও বঞ্চনার হাতিয়ার হিসাবে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করা হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে নিম্ন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, বিচার বিভাগের বড় শক্তির জায়গা হচ্ছে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস। বিগত বছরগুলোতে বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। এতে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে হবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারব্যবস্থাকে এমনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে যাতে বিচারপ্রার্থীদের সময় ও খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমে এবং আদালত প্রাঙ্গণে তাদের বারবার আসতে না হয়। তবে এই বিষয়টি বিচারকের একার ওপর নির্ভর করে না। এ জন্য বারের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
তিনি বলেন, আইনজীবীদের পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে হবে। একটি সমৃদ্ধ বার- সমৃদ্ধ বিচার ব্যবস্থা তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
যতদিন বিচার বিভাগ নিয়ে দ্বৈত শাসন বিলোপ না হয় ততদিন বিচারকদের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে না উল্লেখ করে সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, অধস্তন আদালতের বিচারকদের পদোন্নতি ও বদলিতে আইন মন্ত্রণালয়ের কর্তৃত্ব বিলোপ করতে হবে। বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় করতে হবে। পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। শাসনের আইন নয়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করাই বিচার বিভাগের মূল দায়িত্ব। বিচারকদের বদলি, পদায়ন ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নীতিমালা করা হবে।
এসময় সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে নীতিমালা প্রণয়নের করার কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
এর আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান বলেন ও আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
অনুষ্ঠানে বিচারকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন নওগাঁর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ মন্ডল ও খুলনার জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদা খাতুন। অভিভাষণ অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তা ও সারা দেশের বিচারকরা উপস্থিত ছিলেন।
ডেস্ক/এসকে
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বিগত বছরগুলোতে বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ হয়েছে। শঠতা, নিপীড়ন ও বঞ্চনার হাতিয়ার হিসাবে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করা হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে নিম্ন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, বিচার বিভাগের বড় শক্তির জায়গা হচ্ছে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস। বিগত বছরগুলোতে বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। এতে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে হবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারব্যবস্থাকে এমনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে যাতে বিচারপ্রার্থীদের সময় ও খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমে এবং আদালত প্রাঙ্গণে তাদের বারবার আসতে না হয়। তবে এই বিষয়টি বিচারকের একার ওপর নির্ভর করে না। এ জন্য বারের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
তিনি বলেন, আইনজীবীদের পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে হবে। একটি সমৃদ্ধ বার- সমৃদ্ধ বিচার ব্যবস্থা তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
যতদিন বিচার বিভাগ নিয়ে দ্বৈত শাসন বিলোপ না হয় ততদিন বিচারকদের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে না উল্লেখ করে সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, অধস্তন আদালতের বিচারকদের পদোন্নতি ও বদলিতে আইন মন্ত্রণালয়ের কর্তৃত্ব বিলোপ করতে হবে। বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় করতে হবে। পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। শাসনের আইন নয়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করাই বিচার বিভাগের মূল দায়িত্ব। বিচারকদের বদলি, পদায়ন ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নীতিমালা করা হবে।
এসময় সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে নীতিমালা প্রণয়নের করার কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
এর আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান বলেন ও আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
অনুষ্ঠানে বিচারকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন নওগাঁর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ মন্ডল ও খুলনার জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদা খাতুন। অভিভাষণ অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তা ও সারা দেশের বিচারকরা উপস্থিত ছিলেন।
ডেস্ক/এসকে