আওয়ামী লীগের শাসনামলে লাইসেন্স দেয়া বড় সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি পর্যালোচনা করছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন এই কমিটি চুক্তিগুলোয় প্রাথমিকভাবে বেশকিছু অনিয়ম পায়। এসব অনিময় যাচাই-বাছাই ও প্রয়োজনে মামলার কাজে সহায়তার জন্য একটি লিগ্যাল ও তদন্তকারী সংস্থাকে দায়িত্ব দেয়ার সুপারিশ করে কমিটি।
গত ২৬ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ সুপারিশ করে চুক্তি পর্যালোচনা কমিটি। এরপর প্রায় দুই মাস পেরুলেও এখনও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ফার্ম নিয়োগ করা হয়নি। ফলে চুক্তির অনিয়ম বা সুপারিশ কার্যক্রম পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি। এছাড়া আদানির চুক্তি পর্যালোচনায় ১৯ নভেম্বর উচ্চ আদালত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিলেও তার অগ্রগতি নেই।
জানতে চাইলে গত সপ্তাহে চুক্তি পর্যালোচনা কমিটির একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এখনও কোনো বিশেষজ্ঞ আইনজীবী বা আন্তর্জাতিক ল’ ফার্ম নিয়োগ হয়নি। তারা আরও বলেন, কমিটি যেসব অনিময় খুঁজে পেয়েছে তার ভিত্তিতে আরবিট্রেশন বা মামলায় যেতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে যাতে এগুলো ভ্যালিড হয় তাই আন্তর্জাতিক আইন ও তদন্তকারী সংস্থাকে অবিলম্বে যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে এ ধরনের মামলা ও সহায়তার পূর্ব-অভিজ্ঞতা থাকাটা জরুরি। তবে এখনও সেটি করা হয়নি।
সূত্রমতে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি প্রথমে সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির বিষয়ে কাজ শুরু করে। এগুলো হল- ভারতের গড্ডায় নির্মিত আদানি গ্রুপের এক হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পটুয়াখালীর পায়রায় নির্মিত এক হাজার ২৪৪ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, সামিটের নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাট ৩৩৫ মেগাওয়াট ডুয়াল ফুয়েল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ৫৮৩ মেগাওয়াট ডুয়াল ফুয়েল বিদ্যুৎকেন্দ্র, ইউনাইটেড ও আশুগঞ্জ পাওয়ারের যৌথ উদ্যোগের ১৯৫ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নির্মিত এস আলমের এক হাজার ২২৪ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ইউনিক গ্রুপের মেঘনাঘাট ৫৮৪ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক (এলএনজি) বিদ্যুৎকেন্দ্র।
প্রাথমিকভাবে এ সাতটি চুক্তি পর্যালোচনার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সমজাতীয় সরকারি ও বেসরকারি অন্যান্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণব্যয় কত ছিল তা পর্যালোচনা করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণব্যয় নির্ধারণ ঠিক ছিল কি না যাচাই করা হচ্ছে। এতে দেখা গেছে, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর নির্মাণব্যয় সরকারের তুলনায় অনেক বেশি ধরা হয়েছে। আবার নির্মাণব্যয় বেশি দেখিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জও নির্ধারণ করা হয়েছে অধিক হারে। নির্মাণব্যয় ছাড়াও বিনা দরপত্রে লাইসেন্স নেয়ার ক্ষেত্রে কী ধরনের অনৈতিক লেনদেন করা হয়েছে, তা বের করার চেষ্টা চলছে। অনৈতিক লেনদেনের সুবিধাভোগী কে বা কারা ছিল তাও খুঁজে দেখা হচ্ছে।
এছাড়া কমিটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অন্য চুক্তিগুলো বিশ্লেষণ করতে কমিটির আরও সময় প্রয়োজন। যদিও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ নিয়োগ না হওয়ায় ওই সাতটি চুক্তি পর্যালোচনার কাজেই ধীরগতি দেখা দিয়েছে। ফলে চার মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও কোনো প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি কমিটি।
পর্যালোচনা কমিটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা পিডিবির একাধিক কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে জানান, রেন্টাল-কুইক রেন্টালসহ বেসরকারি খাতে আওয়ামী লীগের সময়ে ৯১টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের লাইসেন্স দেয়া হয়, যার বেশিরভাগই দরপত্র ছাড়া। ফলে এগুলোর নির্মাণব্যয় অনেক বেশি ধরা হয়। এতে ক্যাপাসিটি চার্জের হারও ছিল দুই থেকে তিনগুণ। তবে সুষ্ঠু পর্যালোচনা ছাড়া এসব কেন্দ্রের চুক্তির ত্রুটি বা দুর্নীতিগুলো ধরা যাবে না। আবার ধরা গেলেও আইনগত সহায়তা ছাড়া মামলা করা যাবে না। এতে নির্মাণব্যয় কমিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জ সমন্বয় করার কোনো সুযোগ মিলছে না।
এদিকে আদানির চুক্তিকে অবৈধ ঘোষণার দাবিতে গত নভেম্বরে একাধিক রিট মামলা দায়ের করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ নভেম্বর আদানি পাওয়ার (ঝাড়খণ্ড) লিমিটেডের সঙ্গে সরকারের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির তদন্ত করতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
কমিটি গঠনের পর দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই সময়ের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের প্রক্রিয়া-সংক্রান্ত নথি দাখিল করতেও বলা হয়। একইসঙ্গে হাইকোর্ট আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা চুক্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে একটি রুল জারি করেছে।
এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশ দেয়ার জন্য চলতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশের প্রায় দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ নিয়োগ হয়নি। যদিও গত মাসে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সকে বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বলেছিলেন, আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা করবে বাংলাদেশ সরকার। তিনি সে সময় বলেন, ‘চুক্তিতে অসংগতি পাওয়া গেলে তা নিয়ে পুনরালোচনা করা হবে। দুর্নীতি বা ঘুষের মতো গুরুতর অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে চুক্তি বাতিল করা হবে।’ সূত্র : শেয়ারবিজ
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে
গত ২৬ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ সুপারিশ করে চুক্তি পর্যালোচনা কমিটি। এরপর প্রায় দুই মাস পেরুলেও এখনও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ফার্ম নিয়োগ করা হয়নি। ফলে চুক্তির অনিয়ম বা সুপারিশ কার্যক্রম পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি। এছাড়া আদানির চুক্তি পর্যালোচনায় ১৯ নভেম্বর উচ্চ আদালত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিলেও তার অগ্রগতি নেই।
জানতে চাইলে গত সপ্তাহে চুক্তি পর্যালোচনা কমিটির একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এখনও কোনো বিশেষজ্ঞ আইনজীবী বা আন্তর্জাতিক ল’ ফার্ম নিয়োগ হয়নি। তারা আরও বলেন, কমিটি যেসব অনিময় খুঁজে পেয়েছে তার ভিত্তিতে আরবিট্রেশন বা মামলায় যেতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে যাতে এগুলো ভ্যালিড হয় তাই আন্তর্জাতিক আইন ও তদন্তকারী সংস্থাকে অবিলম্বে যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে এ ধরনের মামলা ও সহায়তার পূর্ব-অভিজ্ঞতা থাকাটা জরুরি। তবে এখনও সেটি করা হয়নি।
সূত্রমতে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি প্রথমে সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির বিষয়ে কাজ শুরু করে। এগুলো হল- ভারতের গড্ডায় নির্মিত আদানি গ্রুপের এক হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পটুয়াখালীর পায়রায় নির্মিত এক হাজার ২৪৪ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, সামিটের নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাট ৩৩৫ মেগাওয়াট ডুয়াল ফুয়েল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ৫৮৩ মেগাওয়াট ডুয়াল ফুয়েল বিদ্যুৎকেন্দ্র, ইউনাইটেড ও আশুগঞ্জ পাওয়ারের যৌথ উদ্যোগের ১৯৫ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নির্মিত এস আলমের এক হাজার ২২৪ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ইউনিক গ্রুপের মেঘনাঘাট ৫৮৪ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক (এলএনজি) বিদ্যুৎকেন্দ্র।
প্রাথমিকভাবে এ সাতটি চুক্তি পর্যালোচনার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সমজাতীয় সরকারি ও বেসরকারি অন্যান্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণব্যয় কত ছিল তা পর্যালোচনা করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণব্যয় নির্ধারণ ঠিক ছিল কি না যাচাই করা হচ্ছে। এতে দেখা গেছে, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর নির্মাণব্যয় সরকারের তুলনায় অনেক বেশি ধরা হয়েছে। আবার নির্মাণব্যয় বেশি দেখিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জও নির্ধারণ করা হয়েছে অধিক হারে। নির্মাণব্যয় ছাড়াও বিনা দরপত্রে লাইসেন্স নেয়ার ক্ষেত্রে কী ধরনের অনৈতিক লেনদেন করা হয়েছে, তা বের করার চেষ্টা চলছে। অনৈতিক লেনদেনের সুবিধাভোগী কে বা কারা ছিল তাও খুঁজে দেখা হচ্ছে।
এছাড়া কমিটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অন্য চুক্তিগুলো বিশ্লেষণ করতে কমিটির আরও সময় প্রয়োজন। যদিও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ নিয়োগ না হওয়ায় ওই সাতটি চুক্তি পর্যালোচনার কাজেই ধীরগতি দেখা দিয়েছে। ফলে চার মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও কোনো প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি কমিটি।
পর্যালোচনা কমিটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা পিডিবির একাধিক কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে জানান, রেন্টাল-কুইক রেন্টালসহ বেসরকারি খাতে আওয়ামী লীগের সময়ে ৯১টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের লাইসেন্স দেয়া হয়, যার বেশিরভাগই দরপত্র ছাড়া। ফলে এগুলোর নির্মাণব্যয় অনেক বেশি ধরা হয়। এতে ক্যাপাসিটি চার্জের হারও ছিল দুই থেকে তিনগুণ। তবে সুষ্ঠু পর্যালোচনা ছাড়া এসব কেন্দ্রের চুক্তির ত্রুটি বা দুর্নীতিগুলো ধরা যাবে না। আবার ধরা গেলেও আইনগত সহায়তা ছাড়া মামলা করা যাবে না। এতে নির্মাণব্যয় কমিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জ সমন্বয় করার কোনো সুযোগ মিলছে না।
এদিকে আদানির চুক্তিকে অবৈধ ঘোষণার দাবিতে গত নভেম্বরে একাধিক রিট মামলা দায়ের করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ নভেম্বর আদানি পাওয়ার (ঝাড়খণ্ড) লিমিটেডের সঙ্গে সরকারের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির তদন্ত করতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
কমিটি গঠনের পর দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই সময়ের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের প্রক্রিয়া-সংক্রান্ত নথি দাখিল করতেও বলা হয়। একইসঙ্গে হাইকোর্ট আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা চুক্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে একটি রুল জারি করেছে।
এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশ দেয়ার জন্য চলতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশের প্রায় দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ নিয়োগ হয়নি। যদিও গত মাসে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সকে বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বলেছিলেন, আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা করবে বাংলাদেশ সরকার। তিনি সে সময় বলেন, ‘চুক্তিতে অসংগতি পাওয়া গেলে তা নিয়ে পুনরালোচনা করা হবে। দুর্নীতি বা ঘুষের মতো গুরুতর অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে চুক্তি বাতিল করা হবে।’ সূত্র : শেয়ারবিজ
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে