বাংলা স্কুপ, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের গণপিটুনিতে নিহত মাসুদ কামাল তোফাজ্জলের মরদেহ বরগুনার পাথরঘাটায় মা, বাবা ও ভাইয়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল আটটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার তালুকের চরদুয়ানি তালিমুল কোরআন মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ সমাহিত করা হয়। এর আগে তোফাজ্জলের নানাবাড়ি উপজেলার শতকর এলাকায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে তোফাজ্জলের জানাজায় অংশ নেন দূরদূরান্ত থেকে আসা ও এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। এ সময় তাঁদের চোখে-মুখে ছিল ক্ষোভ আর ঘৃণার ছাপ। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের এমন পৈশাচিক নিষ্ঠুরতায় সারা দেশের মতো হতবাক হয়েছেন তোফাজ্জলের নিজ গ্রামের হাজার হাজার বাসিন্দারা। দাফন শেষে সকাল ৯টার দিকে হত্যায় জড়িতদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চরদোয়ানি বাজারের প্রধান সড়কে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।
জানাজায় অংশ নেওয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হোসাইন বলেন, ‘দুই রাত ঘুমাতে পারিনি, শুধু চোখের সামনে ভাত খাওয়ার দৃশ্য ভেসে ওঠে। তোফাজ্জলকে আমি নিজের অর্থ দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। এরপর ও ভাইয়ের মৃত্যুর পর আবার অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। ও আমার কোনো নিকটাত্মীয় নয়, তবু ওর জন্য মায়া লাগে। এ রকম একটা কাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে তা ভাবা যায় না।’
তোফাজ্জলের মামাতো বোন তানিয়া বলেন, ‘আমি আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। তারা পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করে দোষ এড়ানোর জন্য মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত করলে মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।’
গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতনের পর গণপিটুনিতে নিহত হন মানসিক ভারসাম্যহীন তোফাজ্জল। পরে সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে তোফাজ্জলের মরদেহ পাথরঘাটার নিজ গ্রাম চরদোয়ানিতে নিয়ে আসা হয়।
ডেস্ক/এসকে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের গণপিটুনিতে নিহত মাসুদ কামাল তোফাজ্জলের মরদেহ বরগুনার পাথরঘাটায় মা, বাবা ও ভাইয়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল আটটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার তালুকের চরদুয়ানি তালিমুল কোরআন মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ সমাহিত করা হয়। এর আগে তোফাজ্জলের নানাবাড়ি উপজেলার শতকর এলাকায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে তোফাজ্জলের জানাজায় অংশ নেন দূরদূরান্ত থেকে আসা ও এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। এ সময় তাঁদের চোখে-মুখে ছিল ক্ষোভ আর ঘৃণার ছাপ। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের এমন পৈশাচিক নিষ্ঠুরতায় সারা দেশের মতো হতবাক হয়েছেন তোফাজ্জলের নিজ গ্রামের হাজার হাজার বাসিন্দারা। দাফন শেষে সকাল ৯টার দিকে হত্যায় জড়িতদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চরদোয়ানি বাজারের প্রধান সড়কে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।
জানাজায় অংশ নেওয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হোসাইন বলেন, ‘দুই রাত ঘুমাতে পারিনি, শুধু চোখের সামনে ভাত খাওয়ার দৃশ্য ভেসে ওঠে। তোফাজ্জলকে আমি নিজের অর্থ দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। এরপর ও ভাইয়ের মৃত্যুর পর আবার অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। ও আমার কোনো নিকটাত্মীয় নয়, তবু ওর জন্য মায়া লাগে। এ রকম একটা কাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে তা ভাবা যায় না।’
তোফাজ্জলের মামাতো বোন তানিয়া বলেন, ‘আমি আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। তারা পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করে দোষ এড়ানোর জন্য মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত করলে মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।’
গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতনের পর গণপিটুনিতে নিহত হন মানসিক ভারসাম্যহীন তোফাজ্জল। পরে সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে তোফাজ্জলের মরদেহ পাথরঘাটার নিজ গ্রাম চরদোয়ানিতে নিয়ে আসা হয়।
ডেস্ক/এসকে