কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) বা এআই আধুনিক প্রযুক্তির সবচেয়ে আলোচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে নকল করে কাজ সম্পাদন করাই এর প্রধান কাজ। স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবসা, শিক্ষা, কৃষি থেকে শুরু করে সৃজনশীল শিল্প—প্রতিটি ক্ষেত্রে এআইয়ের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এরই মধ্যে সরাসরি এআই ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালু করেছে। দেশে প্রথমবারের মতো চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং ডেটা সায়েন্স প্রোগ্রাম চালু করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। ২৫ জানুয়ারি থেকে এআই প্রোগ্রামের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম সেমিস্টারের শ্রেণি পাঠদান শুরু হবে।
নতুন এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিভিন্ন শাখা সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবেন এবং আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ শিখতে পারবেন। এটি শুধু তাঁদের পেশাগত দক্ষতা বাড়াবে না, বরং প্রযুক্তিচালিত ভবিষ্যতের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাঁদের প্রস্তুত করবে। বর্তমানে ডেটা সায়েন্স তথ্য বিশ্লেষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে বিকাশ ঘটছে, যা সিদ্ধান্ত গ্রহণের কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীদের ডেটা সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং সমস্যা সমাধান করতে সহায়তা করবে, ফলে তাঁরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে; যেমন ব্যবসা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ইত্যাদিতে কাজ করার যোগ্য হয়ে উঠবেন। বিশ্ববিদ্যালয়-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির প্রভাব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এআই এবং ডেটা সায়েন্সে দক্ষ পেশাদারদের চাহিদাও দ্রুত বাড়ছে।
চার বছরের বিএসসি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীরা মেশিন লার্নিং, বিগ ডেটা অ্যানালিটিকস, নিউরাল নেটওয়ার্ক, ক্লাউড কম্পিউটিং, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, এআই ইথিকসসহ আধুনিক ও প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয়ের ওপর দক্ষতা অর্জন করবেন। গ্রিন ইউনিভার্সিটির উন্নত ল্যাব সুবিধা এবং হাতে-কলমে শেখার সুযোগ শিক্ষার্থীদের বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা দেবে, যা তাঁদের কর্মজীবনে সফল হতে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়টি এআই কোর্সের জন্য আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষকদের নিয়োগ করেছে, যাঁরা এআই গবেষণায় সুপরিচিত এবং বাস্তব জীবনে সমস্যা সমাধানে অভিজ্ঞ। এই শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অত্যাধুনিক গবেষণা ও বৈশ্বিক প্রযুক্তিগত প্রবণতার সঙ্গে পরিচিত হবেন। প্রাথমিক পর্যায়ে চারজন শিক্ষক দিয়ে এ বিভাগের যাত্রা শুরু হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে একজন পিএইচডি ডিগ্রিধারী অধ্যাপক, একজন সহযোগী অধ্যাপক এবং দুজন লেকচারার রয়েছেন। বেশির ভাগ শিক্ষকের বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি রয়েছে।
গ্রিন ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত অবকাঠামো এবং সাশ্রয়ী খরচে শিক্ষার সুযোগ তৈরি করেছে। ঢাকার সন্নিকটে পূর্বাচল আমেরিকান সিটির নান্দনিক পরিবেশে স্থায়ী ক্যাম্পাস গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা আধুনিক সুবিধা উপভোগ করছেন। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অর্ধশতাধিক বাস ও মাইক্রোবাসের ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এ ছাড়া সাশ্রয়ী খরচে কোর্স সম্পন্ন করার সুযোগও রয়েছে। চার বছর মেয়াদি এই কোর্স সম্পন্ন করতে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকা খরচ হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালার আওতায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির সুবিধা দেওয়া হয়। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা তাঁদের টিউশন ফির ২৫ শতাংশ বৃত্তি হিসেবে পাবেন।
এআই অ্যান্ড ডেটা সায়েন্স বিভাগের জন্য শিক্ষার্থী ভর্তিপ্রক্রিয়া ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। যেসব শিক্ষার্থীর এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৮ বা তার বেশি, কেবল তারা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে শিক্ষার্থীরা চূড়ান্তভাবে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির নতুন কোর্স বিশেষত প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে। স্নাতক শেষ করার পর শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি কোম্পানি, গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এবং স্টার্টআপে কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকবেন। এ ছাড়া অনেকে এআই শিক্ষার মাধ্যমে নতুন উদ্যোগ শুরু করতে আগ্রহী হয়ে উঠবেন, যা উদ্ভাবনী প্রযুক্তির বিকাশে সহায়ক হবে। চার বছর মেয়াদি এই কোর্স শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতি আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বরং যাঁরা প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন আনতে চান, তাঁদের জন্যও একটি অমূল্য সুযোগ। নতুন এআই কোর্সটি শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত ভবিষ্যৎ গড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা আগামী দিনের প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ডেটা সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আবুল হাসান বলেন, ‘আমাদের পাঠদান প্রক্রিয়া স্মার্ট হবে, যেখানে তাত্ত্বিক শিক্ষা ও ল্যাবনির্ভর ব্যবহারিক শিক্ষার সমন্বয় থাকবে। উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারিকুলাম পর্যালোচনা করে আমরা একটি আধুনিক মডেল তৈরি করেছি, যা ইউজিসি অনুমোদন দিয়েছে। ২৫ জানুয়ারি থেকে প্রথম ব্যাচের পাঠদান শুরু করা হবে। বিভাগটি নির্ধারিতসংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে এবং ভালো রেজাল্টধারী শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপও দেওয়া হচ্ছে।
দেশের প্রযুক্তি খাত দিন দিন বিস্তৃত হচ্ছে। এই অগ্রগতির মূলে রয়েছে সফটওয়্যার শিল্প। এ শিল্পের বিস্তারের লক্ষ্যে গ্রিন ইউনিভার্সিটি সম্প্রতি বিএসসি ইন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামটি চালু করেছে। এর সিলেবাস এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে গ্র্যাজুয়েটরা বিভিন্ন সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ পান। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এই প্রোগ্রামের একটি বড় শক্তি হলো এর অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষকেরা। তাঁরা শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞানই নয়, বাস্তব জীবনের প্রকল্প এবং গবেষণায়ও যুক্ত রয়েছেন। এর ফলে শিক্ষার্থীরা আধুনিক প্রযুক্তি এবং বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধান সম্পর্কে ধারণা লাভের সুযোগ পাচ্ছেন।
গ্রিন ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিভাগের পাঠদান প্রক্রিয়া বিশ্বমানের; কারণ, সিলেবাস প্রণয়নে আমরা অনুসরণ করেছি প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে। এখানে কম্পিউটার সায়েন্সের পাশাপাশি সফটওয়্যারও গুরুত্ব পায়। শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট শেখানোর জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব সুবিধা রয়েছে, যেখানে তাঁরা সফটওয়্যার-সংক্রান্ত যেকোনো টুলস ব্যবহার করতে পারেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেছেন, সিএসসির বিশেষায়িত অংশ হিসেবে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এআই অ্যান্ড ডেটা সায়েন্স বিভাগ চালু করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী ডেটার প্রসার এবং এআইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে এসব বিভাগের প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। সফটওয়্যার টেকনোলজি আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করছে এবং অটোমেশন ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়। এআই, ডেটা সায়েন্স, রোবটিকস, সফটওয়্যার—এগুলো ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুশনের অংশ। এ কারণে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ও এআই অ্যান্ড ডেটা সায়েন্স বিভাগের গুরুত্ব মেনে এসব বিভাগ চালু করেছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে স্নাতক পর্যায়ে এখন পর্যন্ত এআই অ্যান্ড ডেটা সায়েন্সের কোনো ডিপার্টমেন্ট নেই এবং এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম পদক্ষেপ। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিকভাবে কম্পিউটার সায়েন্স, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এআই অ্যান্ড ডেটা সায়েন্সের প্রথম দুই বছর একই হবে। থার্ড ও ফোর্থ ইয়ারে ল্যাবের প্রয়োজন হবে এবং কম্পিউটার সায়েন্সের বিভিন্ন ল্যাব এসব বিভাগের শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করতে পারবেন। এআইয়ের জন্য দুটি বিশেষায়িত ল্যাব নির্মাণাধীন রয়েছে, যা আগামী সেমিস্টার থেকে চালু হবে।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে
নতুন এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিভিন্ন শাখা সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবেন এবং আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ শিখতে পারবেন। এটি শুধু তাঁদের পেশাগত দক্ষতা বাড়াবে না, বরং প্রযুক্তিচালিত ভবিষ্যতের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাঁদের প্রস্তুত করবে। বর্তমানে ডেটা সায়েন্স তথ্য বিশ্লেষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে বিকাশ ঘটছে, যা সিদ্ধান্ত গ্রহণের কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীদের ডেটা সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং সমস্যা সমাধান করতে সহায়তা করবে, ফলে তাঁরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে; যেমন ব্যবসা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ইত্যাদিতে কাজ করার যোগ্য হয়ে উঠবেন। বিশ্ববিদ্যালয়-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির প্রভাব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এআই এবং ডেটা সায়েন্সে দক্ষ পেশাদারদের চাহিদাও দ্রুত বাড়ছে।
চার বছরের বিএসসি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীরা মেশিন লার্নিং, বিগ ডেটা অ্যানালিটিকস, নিউরাল নেটওয়ার্ক, ক্লাউড কম্পিউটিং, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, এআই ইথিকসসহ আধুনিক ও প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয়ের ওপর দক্ষতা অর্জন করবেন। গ্রিন ইউনিভার্সিটির উন্নত ল্যাব সুবিধা এবং হাতে-কলমে শেখার সুযোগ শিক্ষার্থীদের বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা দেবে, যা তাঁদের কর্মজীবনে সফল হতে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়টি এআই কোর্সের জন্য আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষকদের নিয়োগ করেছে, যাঁরা এআই গবেষণায় সুপরিচিত এবং বাস্তব জীবনে সমস্যা সমাধানে অভিজ্ঞ। এই শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অত্যাধুনিক গবেষণা ও বৈশ্বিক প্রযুক্তিগত প্রবণতার সঙ্গে পরিচিত হবেন। প্রাথমিক পর্যায়ে চারজন শিক্ষক দিয়ে এ বিভাগের যাত্রা শুরু হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে একজন পিএইচডি ডিগ্রিধারী অধ্যাপক, একজন সহযোগী অধ্যাপক এবং দুজন লেকচারার রয়েছেন। বেশির ভাগ শিক্ষকের বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি রয়েছে।
গ্রিন ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত অবকাঠামো এবং সাশ্রয়ী খরচে শিক্ষার সুযোগ তৈরি করেছে। ঢাকার সন্নিকটে পূর্বাচল আমেরিকান সিটির নান্দনিক পরিবেশে স্থায়ী ক্যাম্পাস গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা আধুনিক সুবিধা উপভোগ করছেন। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অর্ধশতাধিক বাস ও মাইক্রোবাসের ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এ ছাড়া সাশ্রয়ী খরচে কোর্স সম্পন্ন করার সুযোগও রয়েছে। চার বছর মেয়াদি এই কোর্স সম্পন্ন করতে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকা খরচ হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালার আওতায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির সুবিধা দেওয়া হয়। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা তাঁদের টিউশন ফির ২৫ শতাংশ বৃত্তি হিসেবে পাবেন।
এআই অ্যান্ড ডেটা সায়েন্স বিভাগের জন্য শিক্ষার্থী ভর্তিপ্রক্রিয়া ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। যেসব শিক্ষার্থীর এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৮ বা তার বেশি, কেবল তারা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে শিক্ষার্থীরা চূড়ান্তভাবে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির নতুন কোর্স বিশেষত প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে। স্নাতক শেষ করার পর শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি কোম্পানি, গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এবং স্টার্টআপে কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকবেন। এ ছাড়া অনেকে এআই শিক্ষার মাধ্যমে নতুন উদ্যোগ শুরু করতে আগ্রহী হয়ে উঠবেন, যা উদ্ভাবনী প্রযুক্তির বিকাশে সহায়ক হবে। চার বছর মেয়াদি এই কোর্স শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতি আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বরং যাঁরা প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন আনতে চান, তাঁদের জন্যও একটি অমূল্য সুযোগ। নতুন এআই কোর্সটি শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত ভবিষ্যৎ গড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা আগামী দিনের প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ডেটা সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আবুল হাসান বলেন, ‘আমাদের পাঠদান প্রক্রিয়া স্মার্ট হবে, যেখানে তাত্ত্বিক শিক্ষা ও ল্যাবনির্ভর ব্যবহারিক শিক্ষার সমন্বয় থাকবে। উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারিকুলাম পর্যালোচনা করে আমরা একটি আধুনিক মডেল তৈরি করেছি, যা ইউজিসি অনুমোদন দিয়েছে। ২৫ জানুয়ারি থেকে প্রথম ব্যাচের পাঠদান শুরু করা হবে। বিভাগটি নির্ধারিতসংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে এবং ভালো রেজাল্টধারী শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপও দেওয়া হচ্ছে।
দেশের প্রযুক্তি খাত দিন দিন বিস্তৃত হচ্ছে। এই অগ্রগতির মূলে রয়েছে সফটওয়্যার শিল্প। এ শিল্পের বিস্তারের লক্ষ্যে গ্রিন ইউনিভার্সিটি সম্প্রতি বিএসসি ইন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামটি চালু করেছে। এর সিলেবাস এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে গ্র্যাজুয়েটরা বিভিন্ন সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ পান। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এই প্রোগ্রামের একটি বড় শক্তি হলো এর অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষকেরা। তাঁরা শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞানই নয়, বাস্তব জীবনের প্রকল্প এবং গবেষণায়ও যুক্ত রয়েছেন। এর ফলে শিক্ষার্থীরা আধুনিক প্রযুক্তি এবং বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধান সম্পর্কে ধারণা লাভের সুযোগ পাচ্ছেন।
গ্রিন ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিভাগের পাঠদান প্রক্রিয়া বিশ্বমানের; কারণ, সিলেবাস প্রণয়নে আমরা অনুসরণ করেছি প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে। এখানে কম্পিউটার সায়েন্সের পাশাপাশি সফটওয়্যারও গুরুত্ব পায়। শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট শেখানোর জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব সুবিধা রয়েছে, যেখানে তাঁরা সফটওয়্যার-সংক্রান্ত যেকোনো টুলস ব্যবহার করতে পারেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেছেন, সিএসসির বিশেষায়িত অংশ হিসেবে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এআই অ্যান্ড ডেটা সায়েন্স বিভাগ চালু করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী ডেটার প্রসার এবং এআইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে এসব বিভাগের প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। সফটওয়্যার টেকনোলজি আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করছে এবং অটোমেশন ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়। এআই, ডেটা সায়েন্স, রোবটিকস, সফটওয়্যার—এগুলো ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুশনের অংশ। এ কারণে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ও এআই অ্যান্ড ডেটা সায়েন্স বিভাগের গুরুত্ব মেনে এসব বিভাগ চালু করেছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে স্নাতক পর্যায়ে এখন পর্যন্ত এআই অ্যান্ড ডেটা সায়েন্সের কোনো ডিপার্টমেন্ট নেই এবং এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম পদক্ষেপ। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিকভাবে কম্পিউটার সায়েন্স, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এআই অ্যান্ড ডেটা সায়েন্সের প্রথম দুই বছর একই হবে। থার্ড ও ফোর্থ ইয়ারে ল্যাবের প্রয়োজন হবে এবং কম্পিউটার সায়েন্সের বিভিন্ন ল্যাব এসব বিভাগের শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করতে পারবেন। এআইয়ের জন্য দুটি বিশেষায়িত ল্যাব নির্মাণাধীন রয়েছে, যা আগামী সেমিস্টার থেকে চালু হবে।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে