অবৈধ অটোরিকশার উৎপাত, ফুটপাত ও সড়ক দখল, প্রধান সড়কে যত্রতত্র মোটরসাইকেল, ভ্যানসহ বিভিন্ন মালামাল রাখা এবং ট্রাফিক সিগনাল না মানায় রংপুর নগরীর একাধিক জায়গায় তীব্র যানজট লেগে থাকছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। নগরবাসীর অভিযোগ, যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ ব্যর্থ।
সরেজমিন দেখা গেছে, নগরীর একমাত্র প্রধান সড়ক মেডিক্যাল মোড় থেকে শুরু করে সিটি বাজার, জাহাজ কোম্পানি মোড়, অপরদিকে শাপলা চত্বর থেকে স্টেশন ও লালবাগ সড়কে যানজট থাকে সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে সিটি বাজার থেকে জাহাজ কোম্পানির মোড় এলাকায় সকাল থেকে রাত ৯-১০টা পর্যন্ত টানা যানজট লেগে থাকে।
জানা গেছে, রংপুর সিটি করপোরেশন থেকে ৮ হাজার অটোরিকশার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তবে নগরীতে প্রতিদিন চলাচল করছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার অটোরিকশা। একই অবস্থা ব্যাটারিচালিত রিকশার ক্ষেত্রেও। এ সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি। নগরীতে যানজটের অন্যতম কারণ এসব অবৈধ যানবাহন।
রংপুর সিটি করপোরেশনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত অটোরিকশা চালক রহমত আলী বলেন, ‘এভাবে চলে না। লাইসেন্স আছে ৮ হাজার, চলাচল করছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার অটোরিকশা। সড়কে অবৈধ যানবাহান বন্ধ না করা গেলে যানজট কমার সম্ভাবনা নেই।’
এ বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত নগর পরিকল্পনাবিদ হাসান সোবহান জানান, রংপুর নগরীতে যান চলাচলে কোনও নিয়ম-শৃঙ্খলা নেই। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে ট্রাফিক বিভাগ কেউই যানজট নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না। সড়কে সব মিলিয়ে লাখের বেশি যানবাহন চলে। অবৈধ যান চলাচল বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে যানজট নিরসন সম্ভব হবে না।
এদিকে শিক্ষার্থীরা বলছেন স্কুল-কলেজ ছুটির পর অনেক সময় ধরে যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে। যথা সময়ে স্কুলে পৌঁছানোও দুষ্কর হয়ে উঠছে। সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাশনিন, শাম্মিসহ অনেকে এমন অভিযোগ করেছেন। একই অভিযোগ করেন লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অথৈ, মরতুজা, জেসমিন সুলতানা। সিটি বাজারে আসা চাকরিজীবী মমতাজ, রবিউলসহ অনেকেও যানজেটে ভোগান্তির কথা জানান। তারা বলেন, কাঁচাবাজার করে সিটি বাজার থেকে বের হয়ে জাহাজ কোম্পানি এলাকা পর্যন্ত যেতে ৩০ থেকে ৫০ মিনিট লাগছে।
গণমাধ্যমকর্মী সুশান্ত ভৈামিক বলন, ‘সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। কেউ কথা শোনে না। ট্রাফিক সিগনাল অমান্য করা হচ্ছে প্রায় সময়। অথচ ট্রাফিক পুলিশ প্রতিরোধ করতে পারছে না।’ ব্যবসায়ী মোস্তফা বলেন, ‘মোটরসাইকেলগুলো ট্রাফিক আইন মানছে না। অনেকটা হযবরল অবস্থা চলছে রংপুর নগরীতে।’
নাম প্রকাশ না করা শর্তে ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা এক সার্জেন্ট বলেন, পুলিশের কথা এখন অনেকেই শোনে না। আমরাও ব্যবস্থা নেই না। কারণ নাই কথাতেই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল করতে ট্রাফিক আইনকে শ্রদ্ধা করে মানেুষকে সেভাবে চলাচল করতে হবে। কিন্তু সেটা কি হচ্ছে? ট্রাফিক আইন মানতে বাধ্য করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা জরুরি।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের ট্রাফিক শাখার পরিদর্শক (প্রশাসন) রশিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী ট্রাফিক ব্যবস্থা পরিচালনা করছি। কিছু কিছু এলাকায় যানজট আছে, সেগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে।’
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে
সরেজমিন দেখা গেছে, নগরীর একমাত্র প্রধান সড়ক মেডিক্যাল মোড় থেকে শুরু করে সিটি বাজার, জাহাজ কোম্পানি মোড়, অপরদিকে শাপলা চত্বর থেকে স্টেশন ও লালবাগ সড়কে যানজট থাকে সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে সিটি বাজার থেকে জাহাজ কোম্পানির মোড় এলাকায় সকাল থেকে রাত ৯-১০টা পর্যন্ত টানা যানজট লেগে থাকে।
জানা গেছে, রংপুর সিটি করপোরেশন থেকে ৮ হাজার অটোরিকশার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তবে নগরীতে প্রতিদিন চলাচল করছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার অটোরিকশা। একই অবস্থা ব্যাটারিচালিত রিকশার ক্ষেত্রেও। এ সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি। নগরীতে যানজটের অন্যতম কারণ এসব অবৈধ যানবাহন।
রংপুর সিটি করপোরেশনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত অটোরিকশা চালক রহমত আলী বলেন, ‘এভাবে চলে না। লাইসেন্স আছে ৮ হাজার, চলাচল করছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার অটোরিকশা। সড়কে অবৈধ যানবাহান বন্ধ না করা গেলে যানজট কমার সম্ভাবনা নেই।’
এ বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত নগর পরিকল্পনাবিদ হাসান সোবহান জানান, রংপুর নগরীতে যান চলাচলে কোনও নিয়ম-শৃঙ্খলা নেই। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে ট্রাফিক বিভাগ কেউই যানজট নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না। সড়কে সব মিলিয়ে লাখের বেশি যানবাহন চলে। অবৈধ যান চলাচল বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে যানজট নিরসন সম্ভব হবে না।
এদিকে শিক্ষার্থীরা বলছেন স্কুল-কলেজ ছুটির পর অনেক সময় ধরে যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে। যথা সময়ে স্কুলে পৌঁছানোও দুষ্কর হয়ে উঠছে। সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাশনিন, শাম্মিসহ অনেকে এমন অভিযোগ করেছেন। একই অভিযোগ করেন লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অথৈ, মরতুজা, জেসমিন সুলতানা। সিটি বাজারে আসা চাকরিজীবী মমতাজ, রবিউলসহ অনেকেও যানজেটে ভোগান্তির কথা জানান। তারা বলেন, কাঁচাবাজার করে সিটি বাজার থেকে বের হয়ে জাহাজ কোম্পানি এলাকা পর্যন্ত যেতে ৩০ থেকে ৫০ মিনিট লাগছে।
গণমাধ্যমকর্মী সুশান্ত ভৈামিক বলন, ‘সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। কেউ কথা শোনে না। ট্রাফিক সিগনাল অমান্য করা হচ্ছে প্রায় সময়। অথচ ট্রাফিক পুলিশ প্রতিরোধ করতে পারছে না।’ ব্যবসায়ী মোস্তফা বলেন, ‘মোটরসাইকেলগুলো ট্রাফিক আইন মানছে না। অনেকটা হযবরল অবস্থা চলছে রংপুর নগরীতে।’
নাম প্রকাশ না করা শর্তে ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা এক সার্জেন্ট বলেন, পুলিশের কথা এখন অনেকেই শোনে না। আমরাও ব্যবস্থা নেই না। কারণ নাই কথাতেই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল করতে ট্রাফিক আইনকে শ্রদ্ধা করে মানেুষকে সেভাবে চলাচল করতে হবে। কিন্তু সেটা কি হচ্ছে? ট্রাফিক আইন মানতে বাধ্য করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা জরুরি।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের ট্রাফিক শাখার পরিদর্শক (প্রশাসন) রশিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী ট্রাফিক ব্যবস্থা পরিচালনা করছি। কিছু কিছু এলাকায় যানজট আছে, সেগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে।’
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে