টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে ২০১৮ ও ২০২৪ সালে রাতের আধারে ঘুমন্ত তাবলিগ জামাতের সাথীদের হামলা, হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রতিবাদে তাবলিগ জামাতের সাদপন্থি গ্রুপকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে তাবলিগ জামাতের শুরায়ে নেজাম (যোবায়েরপন্থি) গ্রুপ।
শুক্রবার (১০জানুয়ারি) বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব দাবি করেন। এছাড়া তারা, টঙ্গী হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের জামিন বাতিল করে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
সমাবেশে শায়খুল হাদীস আল্লামা মহিউদ্দিন রাব্বানী অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। আমাদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারী করবেন না। আলেমরা ২০১৪ সালে শাপলা চত্বরে, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে। তাই তাদের তাবলিগ ভাগ করার চেষ্টা করবেন না। তাবলিগ চলবে আলেম ওলামাদের নেতৃত্বে। কোনো খুনিদের দ্বারা তাবলিগ চলবে না।
তিনি বলেন, টঙ্গীর ময়দানে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের জামিন বাতিল করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। অন্যথায় আলেম ওলামারা যদি কোনো কর্মসূচি নেয় সেখানে কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে। সারাদেশে সব মসজিদে তাবলিগের আলেম ওলামারা থাকবে। পথভ্রষ্ট ও খুনি সাদপন্থিদের দেশের কোনো মসজিদে জায়গা দেওয়া হবে না।
মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজী বলেন, ফ্যাসিবাদ সরকার তাবলিগ জামাতের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে গেছে। তারা কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানও ভাগ করে গেছে। ফ্যাসিবাদ আলেমদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করেছে। ফ্যাসিবাদ চলে গেলেও এখনও সচিবালয়সহ নানান জায়গায় ফ্যাসিবাদের দোসররা বসে আছে। তাদের কারণেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের জামিন দেওয়া হয়েছে। খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।
এ সময় অন্যান্য বক্তারা বলের, গত ১৮ ডিসেম্বর রাতের আধারে তাহাজ্জুদ নামাজের সময় অতর্কিত ভাবে তাবলিগ জামাতের সাদপন্থী গ্রুপ ঘুমন্ত সাথীদের ওপর হামলা করে। তারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সেদিন যারা খুনের নেশায় মেতে উঠেছিল তারা গ্রেপ্তার হলেও আদালত তাদেরকে জামিন দিয়েছে। তাদের জামিন বাতিল করে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।
তারা বলেন, টঙ্গীর ময়দানে একটি ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। আলেম ও ওলামারা এই ইজতেমার আয়োজন করবে। যারা খুনি তাদের সারাদেশে কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মাওলানা আবুল হাসান কাশেমী, মাওলানা আনোয়ার হোসেন রাজী, মাওলানা আলী ওসমান সাহেব, মুজিবুর রহমান হামিদী প্রমুখ। পরে সমাবেশ শেষে তারা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে একটি মিছিল নিয়ে কাকরাইল মসজিদের দিকে যান।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে
শুক্রবার (১০জানুয়ারি) বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব দাবি করেন। এছাড়া তারা, টঙ্গী হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের জামিন বাতিল করে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
সমাবেশে শায়খুল হাদীস আল্লামা মহিউদ্দিন রাব্বানী অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। আমাদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারী করবেন না। আলেমরা ২০১৪ সালে শাপলা চত্বরে, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে। তাই তাদের তাবলিগ ভাগ করার চেষ্টা করবেন না। তাবলিগ চলবে আলেম ওলামাদের নেতৃত্বে। কোনো খুনিদের দ্বারা তাবলিগ চলবে না।
তিনি বলেন, টঙ্গীর ময়দানে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের জামিন বাতিল করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। অন্যথায় আলেম ওলামারা যদি কোনো কর্মসূচি নেয় সেখানে কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে। সারাদেশে সব মসজিদে তাবলিগের আলেম ওলামারা থাকবে। পথভ্রষ্ট ও খুনি সাদপন্থিদের দেশের কোনো মসজিদে জায়গা দেওয়া হবে না।
মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজী বলেন, ফ্যাসিবাদ সরকার তাবলিগ জামাতের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে গেছে। তারা কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানও ভাগ করে গেছে। ফ্যাসিবাদ আলেমদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করেছে। ফ্যাসিবাদ চলে গেলেও এখনও সচিবালয়সহ নানান জায়গায় ফ্যাসিবাদের দোসররা বসে আছে। তাদের কারণেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের জামিন দেওয়া হয়েছে। খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।
এ সময় অন্যান্য বক্তারা বলের, গত ১৮ ডিসেম্বর রাতের আধারে তাহাজ্জুদ নামাজের সময় অতর্কিত ভাবে তাবলিগ জামাতের সাদপন্থী গ্রুপ ঘুমন্ত সাথীদের ওপর হামলা করে। তারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সেদিন যারা খুনের নেশায় মেতে উঠেছিল তারা গ্রেপ্তার হলেও আদালত তাদেরকে জামিন দিয়েছে। তাদের জামিন বাতিল করে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।
তারা বলেন, টঙ্গীর ময়দানে একটি ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। আলেম ও ওলামারা এই ইজতেমার আয়োজন করবে। যারা খুনি তাদের সারাদেশে কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মাওলানা আবুল হাসান কাশেমী, মাওলানা আনোয়ার হোসেন রাজী, মাওলানা আলী ওসমান সাহেব, মুজিবুর রহমান হামিদী প্রমুখ। পরে সমাবেশ শেষে তারা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে একটি মিছিল নিয়ে কাকরাইল মসজিদের দিকে যান।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে