বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষকে (বেপজা) বিদেশি বিনিয়োগ আনতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশে প্রচার বাড়ানোর তাগিদও দেন তিনি।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে বেপজার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দেন সংস্থাটির নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান। এ সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ নির্দেশনা দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গ্যাস অনুসন্ধান ও সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে জ্বালানি আমদানির মাধ্যমে সুবিধা নিতে পারে কি না তা খতিয়ে দেখা উচিত। বেপজায় সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের সম্ভাবনা অনুসন্ধানের নির্দেশনাও দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক কূটনীতির জন্য একটি টিম তৈরি করুন এবং বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরুন। এর জন্য প্রয়োজনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করুন।
বিদেশে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, বিশেষ করে যারা চীন ও জাপানে আছেন তাদেরকে যুক্ত করে সেসব দেশের বিনিয়োগ আনা যায় কি না সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে বলেন প্রধান উপদেষ্টা। বিনিয়োগকারীরা যেন ভাষাগত সমস্যা অতিক্রম করে এ দেশে বিনিয়োগ করতে পারে, এ নিয়ে বিদেশে থাকা শিক্ষার্থীরা সহায়তা করতে পারে বলেও জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টাকে বেপজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান জানান, জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান এবং বৈশ্বিক রাজনৈতিক দৃশ্যপট পরিবর্তনের পর ইতোমধ্যেই বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। গত তিন সপ্তাহে চীনা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে আটটি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল চালু রয়েছে, যেখানে ৪৫২টি ফ্যাক্টরি রয়েছে। এসব জোনে আরও ১৩৬টি কারখানা নির্মাণাধীন রয়েছে। এছাড়া চালু থাকা কারখানাগুলোর মধ্যে শতাধিক স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের মালিকানাধীন। বাকিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই যৌথ উদ্যোগ। এসব কারখানা ৫২ শতাংশ তৈরি পোশাক সামগ্রী, টেক্সটাইল আইটেম এবং গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ উৎপাদন করে। অবশিষ্ট কারখানাগুলো বহুমুখী উৎপাদন করে থাকে যেমন- কফিন ও খেলনা সামগ্রী।
আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ, বেপজা এলাকায় বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা, চট্টগ্রাম-সাংহাই সরাসরি ফ্লাইট চলাচল এবং চীনের সাংহাই শহরে ভিসা কাউন্সেলর সার্ভিসসহ বিনিয়োগকারীরা কয়েকটি বিষয়ে জানিয়েছেন। এসব সুবিধা পেলে বিনিয়োগ বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর জোর দেন। তিনি জানান, সরকার দেশে বিদ্যমান প্ল্যান্টগুলো থেকে শিল্প কারখানায় যেন আরও বেশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পৌঁছাতে পারে সেজন্য একটি সমন্বিত বিতরণ ব্যবস্থা তৈরিতে কাজ করবে।
অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করার ব্যাপারে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের উচিত বেপজা’র পাশাপাশি বেজাকেও আরও আকর্ষণীয় করে তোলা এবং আরও বিনিয়োগ আনার জন্য বিশ্বজুড়ে এসব অঞ্চলে থাকা সুযোগ-সুবিধা প্রচার করা।
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/এসকে
সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে বেপজার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দেন সংস্থাটির নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান। এ সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ নির্দেশনা দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গ্যাস অনুসন্ধান ও সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে জ্বালানি আমদানির মাধ্যমে সুবিধা নিতে পারে কি না তা খতিয়ে দেখা উচিত। বেপজায় সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের সম্ভাবনা অনুসন্ধানের নির্দেশনাও দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক কূটনীতির জন্য একটি টিম তৈরি করুন এবং বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরুন। এর জন্য প্রয়োজনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করুন।
বিদেশে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, বিশেষ করে যারা চীন ও জাপানে আছেন তাদেরকে যুক্ত করে সেসব দেশের বিনিয়োগ আনা যায় কি না সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে বলেন প্রধান উপদেষ্টা। বিনিয়োগকারীরা যেন ভাষাগত সমস্যা অতিক্রম করে এ দেশে বিনিয়োগ করতে পারে, এ নিয়ে বিদেশে থাকা শিক্ষার্থীরা সহায়তা করতে পারে বলেও জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টাকে বেপজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান জানান, জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান এবং বৈশ্বিক রাজনৈতিক দৃশ্যপট পরিবর্তনের পর ইতোমধ্যেই বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। গত তিন সপ্তাহে চীনা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে আটটি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল চালু রয়েছে, যেখানে ৪৫২টি ফ্যাক্টরি রয়েছে। এসব জোনে আরও ১৩৬টি কারখানা নির্মাণাধীন রয়েছে। এছাড়া চালু থাকা কারখানাগুলোর মধ্যে শতাধিক স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের মালিকানাধীন। বাকিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই যৌথ উদ্যোগ। এসব কারখানা ৫২ শতাংশ তৈরি পোশাক সামগ্রী, টেক্সটাইল আইটেম এবং গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ উৎপাদন করে। অবশিষ্ট কারখানাগুলো বহুমুখী উৎপাদন করে থাকে যেমন- কফিন ও খেলনা সামগ্রী।
আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ, বেপজা এলাকায় বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা, চট্টগ্রাম-সাংহাই সরাসরি ফ্লাইট চলাচল এবং চীনের সাংহাই শহরে ভিসা কাউন্সেলর সার্ভিসসহ বিনিয়োগকারীরা কয়েকটি বিষয়ে জানিয়েছেন। এসব সুবিধা পেলে বিনিয়োগ বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর জোর দেন। তিনি জানান, সরকার দেশে বিদ্যমান প্ল্যান্টগুলো থেকে শিল্প কারখানায় যেন আরও বেশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পৌঁছাতে পারে সেজন্য একটি সমন্বিত বিতরণ ব্যবস্থা তৈরিতে কাজ করবে।
অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করার ব্যাপারে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের উচিত বেপজা’র পাশাপাশি বেজাকেও আরও আকর্ষণীয় করে তোলা এবং আরও বিনিয়োগ আনার জন্য বিশ্বজুড়ে এসব অঞ্চলে থাকা সুযোগ-সুবিধা প্রচার করা।
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/এসকে