বাংলা স্কুপ, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টিকে নিতান্তই গুজব। এখনই কোনো রাজনৈতিক দল খোলার কোনো অভিপ্রায় নেই বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহীতে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আসিফ মাহমুদ বলেন, রাজনৈতিক দলের বিষয়ে যে রিউমার বা কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে, অনেকেই শুনতে চাচ্ছে আমাদের থেকে। এটা আমরা এর আগেও স্পষ্টভাবে বলেছি, এখনই কোনো রাজনৈতিক দল খোলার কোনো অভিপ্রায় আমাদের নেই।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের কারওরই ক্ষমতার অভিলাষ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবারই পেশাগত জীবন আছে, সবাই সেখানে ফিরে যেতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষ একটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে দায়িত্ব এই অন্তর্বর্তী সরকারকে দিয়েছে, সেটি যথাযথভাবে পালন করে মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে একটা নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই আমাদের লক্ষ্য।
নির্বাচন কিংবা ক্ষমতার পালাবদল নয়, ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থার বিলোপের জন্যই অভ্যুত্থান হয়েছে বলে উল্লেখ করেন আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, যে সংস্কারের কথা আমরা বলছি, সেটা ছিল এক দফারই অংশ। শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে; কিন্তু এক দফার যে মূল অংশ, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ—সেই ব্যবস্থার বিলোপের জন্য যে সংস্কারগুলো অত্যাবশকীয় সেগুলো করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং এটা জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতেই হয়েছে।
তিনি বলেন, জনগণ নির্বাচনের জন্য কিংবা ক্ষমতার পালাবদলের জন্য অভ্যুত্থানের জন্য আসেনি। যদি আসতো সেটা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেই আসত বলে আমি মনে করি। এই অভ্যুত্থান হয়েছে স্পষ্টভাবেই ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থার বিলোপের জন্য।
সমন্বয়ক পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজির বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এটা পুরোনো কালচার। যেকোনো ভালো উদ্যোগকে বিতর্কিত করার জন্য কিছু মানুষ তো থাকেই। আমরা মনে করি, এগুলোর অবসান ঘটবে। আমাদের মধ্যে যে জাতীয় ঐক্য হয়েছিল, তা থাকবে এবং তার মধ্য দিয়েই আমরা নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে পারব।’
এর আগে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক আবদুর রহিম খান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থা, বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। (সূত্র : প্রথম আলো)
ডেস্ক/এসকে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টিকে নিতান্তই গুজব। এখনই কোনো রাজনৈতিক দল খোলার কোনো অভিপ্রায় নেই বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহীতে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আসিফ মাহমুদ বলেন, রাজনৈতিক দলের বিষয়ে যে রিউমার বা কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে, অনেকেই শুনতে চাচ্ছে আমাদের থেকে। এটা আমরা এর আগেও স্পষ্টভাবে বলেছি, এখনই কোনো রাজনৈতিক দল খোলার কোনো অভিপ্রায় আমাদের নেই।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের কারওরই ক্ষমতার অভিলাষ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবারই পেশাগত জীবন আছে, সবাই সেখানে ফিরে যেতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষ একটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে দায়িত্ব এই অন্তর্বর্তী সরকারকে দিয়েছে, সেটি যথাযথভাবে পালন করে মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে একটা নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই আমাদের লক্ষ্য।
নির্বাচন কিংবা ক্ষমতার পালাবদল নয়, ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থার বিলোপের জন্যই অভ্যুত্থান হয়েছে বলে উল্লেখ করেন আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, যে সংস্কারের কথা আমরা বলছি, সেটা ছিল এক দফারই অংশ। শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে; কিন্তু এক দফার যে মূল অংশ, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ—সেই ব্যবস্থার বিলোপের জন্য যে সংস্কারগুলো অত্যাবশকীয় সেগুলো করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং এটা জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতেই হয়েছে।
তিনি বলেন, জনগণ নির্বাচনের জন্য কিংবা ক্ষমতার পালাবদলের জন্য অভ্যুত্থানের জন্য আসেনি। যদি আসতো সেটা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেই আসত বলে আমি মনে করি। এই অভ্যুত্থান হয়েছে স্পষ্টভাবেই ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থার বিলোপের জন্য।
সমন্বয়ক পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজির বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এটা পুরোনো কালচার। যেকোনো ভালো উদ্যোগকে বিতর্কিত করার জন্য কিছু মানুষ তো থাকেই। আমরা মনে করি, এগুলোর অবসান ঘটবে। আমাদের মধ্যে যে জাতীয় ঐক্য হয়েছিল, তা থাকবে এবং তার মধ্য দিয়েই আমরা নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে পারব।’
এর আগে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক আবদুর রহিম খান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থা, বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। (সূত্র : প্রথম আলো)
ডেস্ক/এসকে