ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দিল্লির নিগমবোধ ঘাটে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হলো তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া।এসময় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ বহু রাজনীতিবিদ উপস্থিত ছিলেন। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
সকালে নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে এক ঘণ্টার জন্য নেওয়া হয় মনমোহনের মরদেহ। সেখানে সাধারণ জনগণ ও দলের নেতা-কর্মীরা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। সেখান থেকে সেনা ট্রাকে করে তাঁর মরদেহ নেওয়া হয় শ্মশানে।
এরপর পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ বহু রাজনীতিবিদ। এছাড়াও সেখানে ছিলেন মনমোহনের পরিবারের সদস্যরা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। এই সময়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। কংগ্রেসও দলের সব সরকারি কর্মসূচি, এমনকি প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন আগামী ৭ দিনের জন্য বাতিল করেছে।
এর আগে মনমোহন সিংয়ের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য স্থান বরাদ্দ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং কংগ্রেসের মধ্যে শুক্রবার বিতর্ক হয়। কংগ্রেস নিগমবোধ ঘাটে শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের জন্য বরাদ্দের নিন্দা জানায় এবং সেখানে তাঁর সম্মানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণের আহ্বান জানায়। এ নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। বিজেপি মুখপাত্র সি আর কেশবন কংগ্রেসের আচরণকে বিদ্রূপাত্মক আখ্যা দিয়ে বলেন, ২০০৪ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাওয়ের মৃত্যুর পর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার দিল্লিতে তাঁর কোনও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেনি।
তবে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, মনমোহন সিংয়ের স্মৃতিসৌধের জন্য স্থান বরাদ্দ করা হবে। তবে যেহেতু স্মৃতিসৌধ নির্মাণে স্থান বরাদ্দের প্রক্রিয়া ও ট্রাস্ট গঠন করতে হবে। তাই এর মধ্যেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার কথা জানায় বিজেপি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৮টা ১০ মিনিটে মনমোহন সিংকে এইমসের ইমারজেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপর রাত ৯টা ৫১ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ভারতের ‘অর্থনৈতিক সংস্কারের স্থপতি’ নামে পরিচিত মনমোহন সিং ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ জানিয়েছেন অনেক বিশ্ব নেতা।
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে
সকালে নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে এক ঘণ্টার জন্য নেওয়া হয় মনমোহনের মরদেহ। সেখানে সাধারণ জনগণ ও দলের নেতা-কর্মীরা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। সেখান থেকে সেনা ট্রাকে করে তাঁর মরদেহ নেওয়া হয় শ্মশানে।
এরপর পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ বহু রাজনীতিবিদ। এছাড়াও সেখানে ছিলেন মনমোহনের পরিবারের সদস্যরা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। এই সময়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। কংগ্রেসও দলের সব সরকারি কর্মসূচি, এমনকি প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন আগামী ৭ দিনের জন্য বাতিল করেছে।
এর আগে মনমোহন সিংয়ের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য স্থান বরাদ্দ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং কংগ্রেসের মধ্যে শুক্রবার বিতর্ক হয়। কংগ্রেস নিগমবোধ ঘাটে শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের জন্য বরাদ্দের নিন্দা জানায় এবং সেখানে তাঁর সম্মানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণের আহ্বান জানায়। এ নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। বিজেপি মুখপাত্র সি আর কেশবন কংগ্রেসের আচরণকে বিদ্রূপাত্মক আখ্যা দিয়ে বলেন, ২০০৪ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাওয়ের মৃত্যুর পর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার দিল্লিতে তাঁর কোনও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেনি।
তবে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, মনমোহন সিংয়ের স্মৃতিসৌধের জন্য স্থান বরাদ্দ করা হবে। তবে যেহেতু স্মৃতিসৌধ নির্মাণে স্থান বরাদ্দের প্রক্রিয়া ও ট্রাস্ট গঠন করতে হবে। তাই এর মধ্যেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার কথা জানায় বিজেপি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৮টা ১০ মিনিটে মনমোহন সিংকে এইমসের ইমারজেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপর রাত ৯টা ৫১ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ভারতের ‘অর্থনৈতিক সংস্কারের স্থপতি’ নামে পরিচিত মনমোহন সিং ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ জানিয়েছেন অনেক বিশ্ব নেতা।
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে