ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর থেকে বারবার দ্রুত সময়ে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে দলটির এই দাবিকে অনেকেই ভালোভাবে নিচ্ছে না। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাসহ কেউ কেউ সমালোচনাও করছেন এই দাবির। বিএনপি কেন বারবার ভোটের দাবি জানাচ্ছে, তারা কি সংস্কারের বিরোধী, এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ‘ঐক্য, সংস্কার, নির্বাচন’ শীর্ষক সংলাপে যোগ দিয়ে তিনি দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা নির্বাচনের কথা বলছি কেন, কারণ গণতান্ত্রিক একটি ব্যবস্থায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন হচ্ছে প্রধান ফটক। প্রধান দরজা। ফখরুল বলেন, এখন বক্তব্য আসছে বিএনপি সংস্কার চায় না, নির্বাচন চায়। এই কথাটি সঠিক নয়। আমরা বলেছি প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন। সেই সংস্কারটুকু শেষে আমরা নির্বাচনে যেতে চাই।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ২০১২ সাল থেকে আমরা আমাদের নেতৃবৃন্দসহ সংগ্রাম শুরু করেছি। অনেক রাজনৈতিক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, অনেককে পঙ্গু করা হয়েছে, কারাগারে দেওয়া হয়েছে এবং অনেক বছর ধরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমরা সংগ্রাম করছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমার দলে ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রয়েছে। আমাদের দলের সাতশ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। দলের ২০ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কিন্তু কখনো থেমে থাকিনি। এখন কথা উঠেছে সোচ্চার হওয়ার, সোচ্চার আমরা প্রথম থেকে থাকার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আপনাদের অনেককে আমরা পাইনি। এখন তাদের সামনে দেখতে পাচ্ছি, অনেক ভালো লাগছে, অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হচ্ছি।
ফখরুল বলেন, সংস্কারের বিষয়ে আমরা অনেক বেশি আন্তরিক। আপনারা অনেকেই জানেন, ২০১৬ সালে আমাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ‘ভিশন- ২০৩০’ ডকুমেন্ট তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে রাজনৈতিক সংস্কারের কথা স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে। যে বিষয়গুলোতে আমরা পরিবর্তন আনতে চাই সে বিষয়ে আমরা উল্লেখ করেছিলাম। আজকে যে বিষয়গুলো সামনে চলে এসেছে প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, এক ব্যক্তি যেন দুইবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আসতে না পারেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা। একসঙ্গে দুই কক্ষ বিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে ২০১৬ সালে আমরা নিয়ে এসেছিলাম। ২০২২ সাল থেকে আমরা যারা একসাথে আন্দোলন করেছি, সকলের পরামর্শের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে ৩১ দফা ঘোষণা করি। সংস্কারের বিষয়ে আমরা প্রথম থেকেই আন্তরিক।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের প্রধান সমস্যাটা কোথায়? আমার কাছে মনে হয়েছে এখানে কখনো গণতন্ত্রের চর্চাই হয়নি। এখানে সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। এখানে যদি ডেমোক্রেটিক চর্চায় না হয়ে ওঠে, তাহলে বারবার বলতে হয়, এভাবে না এভাবে করতে হবে। কারণ চর্চা ছাড়া সেটা গড়ে উঠবে না। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, যত সময় যাবে তত সমস্যা বাড়বে। রাষ্ট্রযন্ত্রে এখনো ফ্যাসিবাদীরা বসে রয়েছে। কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে গণতন্ত্রের জন্য উপযোগী করতে হবে। গণতন্ত্রের জন্য ধারাবাহিক প্রতিটি সংগ্রামকেই স্মরণে রাখা দরকার।
এই অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সকালে বক্তব্য দেন। এছাড়া বিভিন্ন রাজনীতি ও বিশিষ্টজন অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন জুলাই আগস্টে নিহতদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন এবং আন্দোলনে আহতরাও।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ‘ঐক্য, সংস্কার, নির্বাচন’ শীর্ষক সংলাপে যোগ দিয়ে তিনি দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা নির্বাচনের কথা বলছি কেন, কারণ গণতান্ত্রিক একটি ব্যবস্থায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন হচ্ছে প্রধান ফটক। প্রধান দরজা। ফখরুল বলেন, এখন বক্তব্য আসছে বিএনপি সংস্কার চায় না, নির্বাচন চায়। এই কথাটি সঠিক নয়। আমরা বলেছি প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন। সেই সংস্কারটুকু শেষে আমরা নির্বাচনে যেতে চাই।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ২০১২ সাল থেকে আমরা আমাদের নেতৃবৃন্দসহ সংগ্রাম শুরু করেছি। অনেক রাজনৈতিক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, অনেককে পঙ্গু করা হয়েছে, কারাগারে দেওয়া হয়েছে এবং অনেক বছর ধরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমরা সংগ্রাম করছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমার দলে ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রয়েছে। আমাদের দলের সাতশ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। দলের ২০ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কিন্তু কখনো থেমে থাকিনি। এখন কথা উঠেছে সোচ্চার হওয়ার, সোচ্চার আমরা প্রথম থেকে থাকার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আপনাদের অনেককে আমরা পাইনি। এখন তাদের সামনে দেখতে পাচ্ছি, অনেক ভালো লাগছে, অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হচ্ছি।
ফখরুল বলেন, সংস্কারের বিষয়ে আমরা অনেক বেশি আন্তরিক। আপনারা অনেকেই জানেন, ২০১৬ সালে আমাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ‘ভিশন- ২০৩০’ ডকুমেন্ট তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে রাজনৈতিক সংস্কারের কথা স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে। যে বিষয়গুলোতে আমরা পরিবর্তন আনতে চাই সে বিষয়ে আমরা উল্লেখ করেছিলাম। আজকে যে বিষয়গুলো সামনে চলে এসেছে প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, এক ব্যক্তি যেন দুইবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আসতে না পারেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা। একসঙ্গে দুই কক্ষ বিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে ২০১৬ সালে আমরা নিয়ে এসেছিলাম। ২০২২ সাল থেকে আমরা যারা একসাথে আন্দোলন করেছি, সকলের পরামর্শের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে ৩১ দফা ঘোষণা করি। সংস্কারের বিষয়ে আমরা প্রথম থেকেই আন্তরিক।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের প্রধান সমস্যাটা কোথায়? আমার কাছে মনে হয়েছে এখানে কখনো গণতন্ত্রের চর্চাই হয়নি। এখানে সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। এখানে যদি ডেমোক্রেটিক চর্চায় না হয়ে ওঠে, তাহলে বারবার বলতে হয়, এভাবে না এভাবে করতে হবে। কারণ চর্চা ছাড়া সেটা গড়ে উঠবে না। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, যত সময় যাবে তত সমস্যা বাড়বে। রাষ্ট্রযন্ত্রে এখনো ফ্যাসিবাদীরা বসে রয়েছে। কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে গণতন্ত্রের জন্য উপযোগী করতে হবে। গণতন্ত্রের জন্য ধারাবাহিক প্রতিটি সংগ্রামকেই স্মরণে রাখা দরকার।
এই অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সকালে বক্তব্য দেন। এছাড়া বিভিন্ন রাজনীতি ও বিশিষ্টজন অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন জুলাই আগস্টে নিহতদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন এবং আন্দোলনে আহতরাও।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে