জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির কথা চিন্তা করে মৌলভীবাজারের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি বলেন, সংরক্ষিত বনাঞ্চলে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে জীব বৈচিত্র্যের বিশাল ক্ষতি হতো। এই প্রকল্প আগেই বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত এসেছে। আজ এটা একনেকের মাধ্যমে বাদ দেওয়া হলো।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, দেশের আইন অনুযায়ী মৌলভীবাজারের এই অঞ্চলটা জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষিত এলাকা। এখানে ইকো পার্ক করা হয় পর্যটনের জন্য..। সমীক্ষা করে দেখা গেছে— জীব বৈচিত্র্য বিশেষ করে হাতিদের চলাফেরাসহ অন্যান্য জীবজন্তুর ভীষণ ক্ষতি হবে। কিছু কিছু বনাঞ্চলে আমরা সাফারি পার্ক করেছি। কিন্তু সব দেশেই কিছু কিছু বন অঞ্চল সংরক্ষিত থাকা উচিত। ইকোলজিক্যালি সেনসেটিভ অঞ্চল। সেটা সংরক্ষিত হিসেবে থাকে। এটা আগে থেকেই সংরক্ষিত অঞ্চল ছিল। কেনও এখানে ইকোপার্কের জন্য এক বড় প্রকল্প হয়েছিল সেটাই আশ্চর্যের বিষয়।
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এখনও বাদ দেওয়ার কাজ শেষ হয়নি। আরও বাদ পড়বে। আমরা এ ধরনের প্রকল্প বাদ দিচ্ছি। তবে এখনো এর চূড়ান্ত হিসাব করা হয়নি। কোনও প্রকল্পে দুর্নীতি হলে সে বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
মৌলভীবাজারের সংরক্ষিত বন লাঠিটিলা বনের ৫ হাজার ৬৩১ একর জমিতে ‘বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজার (১ম পর্যায়) প্রকল্পটি একনেক সভায় ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর অনুমোদিত হয়েছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর গঠিত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে প্রকল্পটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
একনেক বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন— অর্থ এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ; আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল; পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন; শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সংযুক্ত উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে
তিনি বলেন, সংরক্ষিত বনাঞ্চলে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে জীব বৈচিত্র্যের বিশাল ক্ষতি হতো। এই প্রকল্প আগেই বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত এসেছে। আজ এটা একনেকের মাধ্যমে বাদ দেওয়া হলো।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, দেশের আইন অনুযায়ী মৌলভীবাজারের এই অঞ্চলটা জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষিত এলাকা। এখানে ইকো পার্ক করা হয় পর্যটনের জন্য..। সমীক্ষা করে দেখা গেছে— জীব বৈচিত্র্য বিশেষ করে হাতিদের চলাফেরাসহ অন্যান্য জীবজন্তুর ভীষণ ক্ষতি হবে। কিছু কিছু বনাঞ্চলে আমরা সাফারি পার্ক করেছি। কিন্তু সব দেশেই কিছু কিছু বন অঞ্চল সংরক্ষিত থাকা উচিত। ইকোলজিক্যালি সেনসেটিভ অঞ্চল। সেটা সংরক্ষিত হিসেবে থাকে। এটা আগে থেকেই সংরক্ষিত অঞ্চল ছিল। কেনও এখানে ইকোপার্কের জন্য এক বড় প্রকল্প হয়েছিল সেটাই আশ্চর্যের বিষয়।
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এখনও বাদ দেওয়ার কাজ শেষ হয়নি। আরও বাদ পড়বে। আমরা এ ধরনের প্রকল্প বাদ দিচ্ছি। তবে এখনো এর চূড়ান্ত হিসাব করা হয়নি। কোনও প্রকল্পে দুর্নীতি হলে সে বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
মৌলভীবাজারের সংরক্ষিত বন লাঠিটিলা বনের ৫ হাজার ৬৩১ একর জমিতে ‘বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজার (১ম পর্যায়) প্রকল্পটি একনেক সভায় ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর অনুমোদিত হয়েছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর গঠিত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে প্রকল্পটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
একনেক বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন— অর্থ এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ; আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল; পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন; শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সংযুক্ত উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে