লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে রাশেদ আলম নামে এক যুবক তার ফুফাতো বোন শেফালী বেগম ও ভাবনা আক্তারকে কাঠ দিয়ে মারধর করেছেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পরে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে রাশেদের নামে মামলা করা হয়। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামের সাহাদুল্লাহ হাজী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদকাসক্ত রাশেদ নিজেকে মানসিক রোগী দাবি করেন এবং তার মানসিক রোগের সনদ রয়েছে বলেও জানান। তিনি নিজেকে লাহারকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছেন।
১৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, রাশেদ জনসম্মুখে এক নারীকে কাঠ দিয়ে আঘাত করছেন। উপস্থিত লোকজন তাকে থামানোর চেষ্টা করলেও তিনি থামেননি। গ্রেপ্তার হওয়া রাশেদ সাহাদুল্লাহ হাজী বাড়ির মৃত মাহবুবুল ইসলামের ছেলে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাশেদ মাদকাসক্ত এবং মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত।
ভুক্তভোগী ভাবনা আক্তার জানান, ২০০৩ সালে আমার মা ফাতেমা আক্তার নানার বাড়ি থেকে জমি কেনেন। সেই জমি রাশেদ অন্য একজনের কাছে বিক্রি করে দেয়। সেখানে ঘর করতে গেলে আমি এবং আমার খালাতো বোন শেফালী বাধা দেই। এতে রাশেদ আমাদের ওপর হামলা চালায়।
লাহারকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মো. তফসির জানান, রাশেদ কখনো যুবলীগের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। মাদকাসক্ত এবং মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে এলাকায় তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। লাহারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন মহব্বত বলেন, রাশেদ একজন খারাপ প্রকৃতির ছেলে। তার বিরুদ্ধে জমি দখল, মাদক ব্যবসা এবং বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, মারধরের ঘটনায় দুই নারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত রাশেদকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে রাশেদের পরিবারের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামের সাহাদুল্লাহ হাজী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদকাসক্ত রাশেদ নিজেকে মানসিক রোগী দাবি করেন এবং তার মানসিক রোগের সনদ রয়েছে বলেও জানান। তিনি নিজেকে লাহারকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছেন।
১৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, রাশেদ জনসম্মুখে এক নারীকে কাঠ দিয়ে আঘাত করছেন। উপস্থিত লোকজন তাকে থামানোর চেষ্টা করলেও তিনি থামেননি। গ্রেপ্তার হওয়া রাশেদ সাহাদুল্লাহ হাজী বাড়ির মৃত মাহবুবুল ইসলামের ছেলে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাশেদ মাদকাসক্ত এবং মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত।
ভুক্তভোগী ভাবনা আক্তার জানান, ২০০৩ সালে আমার মা ফাতেমা আক্তার নানার বাড়ি থেকে জমি কেনেন। সেই জমি রাশেদ অন্য একজনের কাছে বিক্রি করে দেয়। সেখানে ঘর করতে গেলে আমি এবং আমার খালাতো বোন শেফালী বাধা দেই। এতে রাশেদ আমাদের ওপর হামলা চালায়।
লাহারকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মো. তফসির জানান, রাশেদ কখনো যুবলীগের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। মাদকাসক্ত এবং মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে এলাকায় তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। লাহারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন মহব্বত বলেন, রাশেদ একজন খারাপ প্রকৃতির ছেলে। তার বিরুদ্ধে জমি দখল, মাদক ব্যবসা এবং বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, মারধরের ঘটনায় দুই নারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত রাশেদকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে রাশেদের পরিবারের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে