ছাত্র আন্দোলনে এবার উত্তাল হয়ে উঠলো মধ্য ইউরোপের দেশ সার্বিয়া। একটি রেলস্টেশনের ছাদ ভেঙে পড়ার ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয় এই আন্দোলন। রোববার (২২ ডিসেম্বর) দেশটির রাজধানী বেলগ্রেডে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য জড়ো হয়েছিলেন প্রায় ২৯ হাজার মানুষ। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন ছাত্ররা। তবে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষকেরাও।
কয়েক সপ্তাহ ধরেই বেলগ্রেডে একের পর এক আন্দোলন হচ্ছে। তবে রোববারের জমায়েত ছিল ঐতিহাসিক। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, অন্তত ২৯ হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছে এই দিনে।
গত ১ নভেম্বর উত্তর সার্বিয়ার নভি সাদ স্টেশনে ভেঙে পড়েছিল ছাদ। এতে মৃত্যু হয় ১৫ জনের । অভিযোগ ওঠে, দুর্নীতির কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এরপরেই সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক আন্দোলন শুরু হয়।
অভিযোগ, সাম্প্রতিককালে দুইবার ওই স্টেশনে সংস্কারের কাজ হয়েছে। একটি চীনা সংস্থাকে দিয়ে সেই কাজ করানো হয়। কাজের নামে সেখানে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চাপের মুখে সরকার ১৩ জনকে গ্রেফতার করে। তার মধ্যে একজন মন্ত্রীও ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ওই মন্ত্রীকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলে জনতার রোষ আরও বেড়ে যায়।
প্রাথমিকভাবে দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিস বলেছিলেন, আন্দোলন নিয়ে তিনি এতটুকু চিন্তিত নন। বিরোধীরাই এই আন্দোলনের পেছনে কলকাঠি নাড়ছে। কিন্তু রোববারের জমায়েত দেখার পর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
গত সাত সপ্তাহ ধরে সার্বিয়ায় যে আন্দোলন চলছে, তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ছাত্ররা। অভিনেতা, কৃষক ইউনিয়নের গোষ্ঠীও তাতে শামিল হয়েছে। তবে ছাত্ররা লাগাতার রাস্তায় নেমে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
রোববার রাজধানী বেলগ্রেডের জমায়েতে প্রথম ১৫ মিনিট নীরবতা পালন করা হয় মৃত ১৫ জনকে স্মরণ করে। পরের আধ ঘণ্টা গর্জনের আধ ঘণ্টা বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ওই আধ ঘণ্টা প্রবল আওয়াজের মাধ্যমে প্রতিবাদ দেখানো হয়। এই ঘটনার পর সার্বিয়ার সরকার স্কুলগুলোতে শীতের ছুটি বাড়িয়ে দিয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে
কয়েক সপ্তাহ ধরেই বেলগ্রেডে একের পর এক আন্দোলন হচ্ছে। তবে রোববারের জমায়েত ছিল ঐতিহাসিক। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, অন্তত ২৯ হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছে এই দিনে।
গত ১ নভেম্বর উত্তর সার্বিয়ার নভি সাদ স্টেশনে ভেঙে পড়েছিল ছাদ। এতে মৃত্যু হয় ১৫ জনের । অভিযোগ ওঠে, দুর্নীতির কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এরপরেই সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক আন্দোলন শুরু হয়।
অভিযোগ, সাম্প্রতিককালে দুইবার ওই স্টেশনে সংস্কারের কাজ হয়েছে। একটি চীনা সংস্থাকে দিয়ে সেই কাজ করানো হয়। কাজের নামে সেখানে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চাপের মুখে সরকার ১৩ জনকে গ্রেফতার করে। তার মধ্যে একজন মন্ত্রীও ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ওই মন্ত্রীকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলে জনতার রোষ আরও বেড়ে যায়।
প্রাথমিকভাবে দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিস বলেছিলেন, আন্দোলন নিয়ে তিনি এতটুকু চিন্তিত নন। বিরোধীরাই এই আন্দোলনের পেছনে কলকাঠি নাড়ছে। কিন্তু রোববারের জমায়েত দেখার পর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
গত সাত সপ্তাহ ধরে সার্বিয়ায় যে আন্দোলন চলছে, তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ছাত্ররা। অভিনেতা, কৃষক ইউনিয়নের গোষ্ঠীও তাতে শামিল হয়েছে। তবে ছাত্ররা লাগাতার রাস্তায় নেমে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
রোববার রাজধানী বেলগ্রেডের জমায়েতে প্রথম ১৫ মিনিট নীরবতা পালন করা হয় মৃত ১৫ জনকে স্মরণ করে। পরের আধ ঘণ্টা গর্জনের আধ ঘণ্টা বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ওই আধ ঘণ্টা প্রবল আওয়াজের মাধ্যমে প্রতিবাদ দেখানো হয়। এই ঘটনার পর সার্বিয়ার সরকার স্কুলগুলোতে শীতের ছুটি বাড়িয়ে দিয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে