বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও নানা সময়ে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছয় শিক্ষার্থীকে স্থায়ী এবং ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া ‘অপরাধ বিবেচনায়’ ১৫ শিক্ষার্থীর হলে আবাসিকতা বাতিলসহ বিভিন্ন শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা উপ-কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ ডিসেম্বর সিন্ডিকেটের ৫৩৫তম সভায় এ সিদ্ধান্তের অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।
জনসংযোগ দফতর সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি হামলা, র্যাগিং, হলে সিট বাণিজ্য, চুরি, দুর্ব্যবহার, নেশাদ্রব্য সেবনসহ বিভিন্ন অপরাধের বিবেচনায় অভিযুক্তদের এসব শাস্তি দেওয়া হয়েছে। শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ছয় জনকে স্থায়ী বহিষ্কার (ছাত্রত্ব না থাকলে তাদের সনদ বাতিল), পাঁচ জনকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার, চার জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার, দুই জনকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার, একজনকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, একজনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং ১৪ জনের আবাসিকতা বাতিলের পাশাপাশি পাঁচ জনকে মুচলেকা প্রদানের মাধ্যমে হলে অবস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে পাঁচ জন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রমাণিত অপরাধের জন্য শাস্তি দেওয়া হলেও অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে পুনরায় তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তবে, স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা ছাড়া মুচলেকার মাধ্যমে হলে থাকার অনুমতিপ্রাপ্ত পাঁচ জনসহ শাস্তিপ্রাপ্ত কোনও শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি নানা সময়ে বিভিন্ন অপরাধ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দফতর, বিভিন্ন বিভাগ ও হলে জমা পড়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এসব শাস্তি দেওয়া হলো। তবে আমরা এখনই তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে চাচ্ছি না। সিদ্ধান্তের কপি শাস্তিপ্রাপ্তদের সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হলে আশা করি আপনারা জানতে পারবেন।’
জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের। তবে, তাদের রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনও শাস্তি দেওয়া হয়নি; সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এ জায়গাটায় বার্তা থাকবে, ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে কেউ যুক্ত থাকলে তাকে দল-মত নির্বিশেষে শাস্তি পেতে হবে।’
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন
জনসংযোগ দফতর সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি হামলা, র্যাগিং, হলে সিট বাণিজ্য, চুরি, দুর্ব্যবহার, নেশাদ্রব্য সেবনসহ বিভিন্ন অপরাধের বিবেচনায় অভিযুক্তদের এসব শাস্তি দেওয়া হয়েছে। শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ছয় জনকে স্থায়ী বহিষ্কার (ছাত্রত্ব না থাকলে তাদের সনদ বাতিল), পাঁচ জনকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার, চার জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার, দুই জনকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার, একজনকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, একজনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং ১৪ জনের আবাসিকতা বাতিলের পাশাপাশি পাঁচ জনকে মুচলেকা প্রদানের মাধ্যমে হলে অবস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে পাঁচ জন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রমাণিত অপরাধের জন্য শাস্তি দেওয়া হলেও অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে পুনরায় তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তবে, স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা ছাড়া মুচলেকার মাধ্যমে হলে থাকার অনুমতিপ্রাপ্ত পাঁচ জনসহ শাস্তিপ্রাপ্ত কোনও শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি নানা সময়ে বিভিন্ন অপরাধ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দফতর, বিভিন্ন বিভাগ ও হলে জমা পড়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এসব শাস্তি দেওয়া হলো। তবে আমরা এখনই তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে চাচ্ছি না। সিদ্ধান্তের কপি শাস্তিপ্রাপ্তদের সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হলে আশা করি আপনারা জানতে পারবেন।’
জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের। তবে, তাদের রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনও শাস্তি দেওয়া হয়নি; সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এ জায়গাটায় বার্তা থাকবে, ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে কেউ যুক্ত থাকলে তাকে দল-মত নির্বিশেষে শাস্তি পেতে হবে।’
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন