ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন (ডিপিডিসি) কোম্পানির কাকরাইল ডিভিশনের একটি চক্র মো. মুসা মুজিব গং নামে এক গ্রাহকের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিদ্যুৎচুরির ঘটনায় গঠিত দ্বিতীয় তদন্ত কমিটি চলতি সপ্তাহেই প্রতিবেদন জমা দিবে। বিদ্যুৎচুরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ১০ জুলাই ডিভিশনের কারিগরি দলের কাছে দেয়া গ্রাহকের লিখিত স্বীকারোক্তি এবং ২৪ জুলাই ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন) সোনামনি চাকমার কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগে দুই ধরনের বক্তব্য নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল।
লিখিত স্বীকারোক্তিতে গ্রাহক জানান, কারিগরি দল মিটার দুটি সিলগালা করে তাঁর হেফাজতে রেখে গেছে। কিন্তু নির্বাহী পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগে বলেন, মিটার দুটি কারিগরি দল ওইদিন নিয়ে গেছে। এদিকে, কাকরাইল ডিভিশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মিটার দুটি ডিভিশনের স্টোরে এখনো জমা হয়নি। প্রশ্ন উঠেছে , মিটার দুটি তাহলে কোথায়।
প্রসঙ্গত, স্থাপনার মালিক প্রবাসে থাকায় দেখাভালের দায়িত্বে আছেন আইয়ুব আলী গং। মালিকের পক্ষে তিনিই দুই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। সঠিক তদন্ত হলে গ্রাহককে অর্ধকোটি টাকার বেশি বিল গুনতে হবে বলে জানা গেছে। তাই বিভ্রান্তি ছড়াতেই আইয়ুব আলী গং দুই ধরনের বক্তব্য দিয়েছে বলে অভিযোগ।
বিদ্যুৎচুরির ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। আর গ্রাহককে জরিমানার বিল থেকে বাঁচাতে কাকরাইল ডিভিশনের চক্রটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এর কিছুদিন পরই তদন্ত কমিটি দায়সারা প্রতিবেদন জমা দেয়। পরবর্তীতে এসংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণাদি সংগ্রহের পর গ্রাহকের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিদ্যুৎচুরি! শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলা স্কুপ। এরপরই ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় দ্বিতীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে।
জানা যায়, কাকরাইল ডিভিশনের মুসা মজিদ গং, গ্রাহক নাম্বার-১৯২১১১৩১ এর বাণিজ্যিক বর্তমান মিটার নং-এসএস ১৭১০৭৭০৯, যা পূর্বের বিলে মিটার নাম্বার ছিল ৭৫৪৫৯১। ওই মিটারে ২০২৪ সালের জুন মাসে রিডিং ছিল ৩৩৭০১ ইউনিট। ২০২৪ সালের জুন মাসে ওই ডিভিশনের কারিগরি দল গ্রাহক স্থাপনা থেকে যে মিটারটি খুলে নিয়ে আসে, তখন মিটার নাম্বারটি ছিল ৭৫৪৫৯৫। তাতে রিডিং ছিল ১০২০৩ ইউনিট। বিদ্যুৎ বিলের মিটার নাম্বার ও স্থাপনা থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সময় মিটার নাম্বারটি মিল না থাকায় তা ডুপ্লিকেট মিটার হিসাবে ধরা হয়। ওই গ্রাহকের ৭৫৪৫৯৫ নাম্বারের মিটারটি ডিপিডিসির তদন্ত দল এখনও হাতে পায়নি বলে সূত্র জানিয়েছে।
কাকরাইল ডিভিশন কর্তৃপক্ষ ওই স্থাপনার বাণিজ্যিক মিটারটিতে (এসএস ১৭১০৭৭০৯) ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই তিন মাসে গড়ে ৮০০০ টাকার বেশি করে গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল হয়। যা অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি। আগে ওই স্থাপনায় অনেক কম বিল হত। এতে ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ বিপুল পরিমাণের রাজস্ব হারিয়েছে।
আর ওই স্থাপনায় আবাসিক বর্তমান মিটার নং-এসএস ১৭১০৭৭০৫, গ্রাহক নং-১৯২৬৬২২৬, যা পূর্বে মিটার নাম্বার ছিল ২৯৮৩১৭। ওই গ্রাহকের ২০২৪ সালের জুন মাসে বিদ্যুৎ বিলে রিডিং ছিল ৬৮২২ ইউনিট। ওই স্থাপনায় ডিভিশন থেকে ইস্যুকৃত নতুন মিটারে (এসএস ১৭১০৭৭০৫) সংযোগ চালু হওয়ার পর ২০২৪ সালের জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে অফিস কর্তৃক বিল ইস্যু হয় গড়ে প্রায় ১৬০০ ইউনিট। যা বিগত সময়ে বিদ্যুৎ বিল হয়েছে গড়ে ৩০০ ইউনিটেরও কম।
এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, চলতি সপ্তাহেই এ ঘটনা গঠিত দ্বিতীয় তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিবে। এখন হদিস মেলেনি খোঁয়া মিটার দুইটির। আর ওই গ্রাহককে এখনো জরিমানা বিলের আওতায় আনা হয়নি বলে সূত্রটি জানায়। সূত্রের দাবি, বিদ্যুৎচুরির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের বাঁচাতে মাঠে সক্রিয় রয়েছে একটি চক্র।
কাকরাইল ডিভিশনের এক প্রকৌশলী জানান, গ্রাহকের আঙ্গিনায় ডিভিশনের লাগানো চেক মিটারে গত তিন মাসে বিদ্যুৎ ব্যবহারের যে রিডিং পাওয়া গেছে, সেই হিসাব ধরলে ২০১৫ সাল থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকৃত বিলের সঙ্গে তিনগুণ পেনাল্টি বিল যোগ করলে তা অর্ধকোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
বাংলা স্কুপ/বিশেষ প্রতিবেদক/এসকে
লিখিত স্বীকারোক্তিতে গ্রাহক জানান, কারিগরি দল মিটার দুটি সিলগালা করে তাঁর হেফাজতে রেখে গেছে। কিন্তু নির্বাহী পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগে বলেন, মিটার দুটি কারিগরি দল ওইদিন নিয়ে গেছে। এদিকে, কাকরাইল ডিভিশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মিটার দুটি ডিভিশনের স্টোরে এখনো জমা হয়নি। প্রশ্ন উঠেছে , মিটার দুটি তাহলে কোথায়।
প্রসঙ্গত, স্থাপনার মালিক প্রবাসে থাকায় দেখাভালের দায়িত্বে আছেন আইয়ুব আলী গং। মালিকের পক্ষে তিনিই দুই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। সঠিক তদন্ত হলে গ্রাহককে অর্ধকোটি টাকার বেশি বিল গুনতে হবে বলে জানা গেছে। তাই বিভ্রান্তি ছড়াতেই আইয়ুব আলী গং দুই ধরনের বক্তব্য দিয়েছে বলে অভিযোগ।
বিদ্যুৎচুরির ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। আর গ্রাহককে জরিমানার বিল থেকে বাঁচাতে কাকরাইল ডিভিশনের চক্রটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এর কিছুদিন পরই তদন্ত কমিটি দায়সারা প্রতিবেদন জমা দেয়। পরবর্তীতে এসংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণাদি সংগ্রহের পর গ্রাহকের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিদ্যুৎচুরি! শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলা স্কুপ। এরপরই ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় দ্বিতীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে।
জানা যায়, কাকরাইল ডিভিশনের মুসা মজিদ গং, গ্রাহক নাম্বার-১৯২১১১৩১ এর বাণিজ্যিক বর্তমান মিটার নং-এসএস ১৭১০৭৭০৯, যা পূর্বের বিলে মিটার নাম্বার ছিল ৭৫৪৫৯১। ওই মিটারে ২০২৪ সালের জুন মাসে রিডিং ছিল ৩৩৭০১ ইউনিট। ২০২৪ সালের জুন মাসে ওই ডিভিশনের কারিগরি দল গ্রাহক স্থাপনা থেকে যে মিটারটি খুলে নিয়ে আসে, তখন মিটার নাম্বারটি ছিল ৭৫৪৫৯৫। তাতে রিডিং ছিল ১০২০৩ ইউনিট। বিদ্যুৎ বিলের মিটার নাম্বার ও স্থাপনা থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সময় মিটার নাম্বারটি মিল না থাকায় তা ডুপ্লিকেট মিটার হিসাবে ধরা হয়। ওই গ্রাহকের ৭৫৪৫৯৫ নাম্বারের মিটারটি ডিপিডিসির তদন্ত দল এখনও হাতে পায়নি বলে সূত্র জানিয়েছে।
কাকরাইল ডিভিশন কর্তৃপক্ষ ওই স্থাপনার বাণিজ্যিক মিটারটিতে (এসএস ১৭১০৭৭০৯) ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই তিন মাসে গড়ে ৮০০০ টাকার বেশি করে গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল হয়। যা অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি। আগে ওই স্থাপনায় অনেক কম বিল হত। এতে ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ বিপুল পরিমাণের রাজস্ব হারিয়েছে।
আর ওই স্থাপনায় আবাসিক বর্তমান মিটার নং-এসএস ১৭১০৭৭০৫, গ্রাহক নং-১৯২৬৬২২৬, যা পূর্বে মিটার নাম্বার ছিল ২৯৮৩১৭। ওই গ্রাহকের ২০২৪ সালের জুন মাসে বিদ্যুৎ বিলে রিডিং ছিল ৬৮২২ ইউনিট। ওই স্থাপনায় ডিভিশন থেকে ইস্যুকৃত নতুন মিটারে (এসএস ১৭১০৭৭০৫) সংযোগ চালু হওয়ার পর ২০২৪ সালের জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে অফিস কর্তৃক বিল ইস্যু হয় গড়ে প্রায় ১৬০০ ইউনিট। যা বিগত সময়ে বিদ্যুৎ বিল হয়েছে গড়ে ৩০০ ইউনিটেরও কম।
এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, চলতি সপ্তাহেই এ ঘটনা গঠিত দ্বিতীয় তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিবে। এখন হদিস মেলেনি খোঁয়া মিটার দুইটির। আর ওই গ্রাহককে এখনো জরিমানা বিলের আওতায় আনা হয়নি বলে সূত্রটি জানায়। সূত্রের দাবি, বিদ্যুৎচুরির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের বাঁচাতে মাঠে সক্রিয় রয়েছে একটি চক্র।
কাকরাইল ডিভিশনের এক প্রকৌশলী জানান, গ্রাহকের আঙ্গিনায় ডিভিশনের লাগানো চেক মিটারে গত তিন মাসে বিদ্যুৎ ব্যবহারের যে রিডিং পাওয়া গেছে, সেই হিসাব ধরলে ২০১৫ সাল থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকৃত বিলের সঙ্গে তিনগুণ পেনাল্টি বিল যোগ করলে তা অর্ধকোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
বাংলা স্কুপ/বিশেষ প্রতিবেদক/এসকে