অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, আমাদের নামে যে অজস্র মিথ্যা এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলা রয়েছে, সেই মামলাগুলোকে তুলে নেওয়ার জন্য আপনারা দাবাড়ুদের মতো দাবার গুটি সাজিয়েছেন। এটা হলে ওইটা হবে, আর ওইটা হলে এটা হবে। এটাতো ন্যায়বিচার নয়। আমরা এ সরকারের কাছে জাস্টিস চাই, ন্যায়বিচার চাই।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পরিষদের উদ্যোগে সাবেক মন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক ছাত্রনেতা জাকির খানসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানসহ অসংখ্য নেতাকর্মীর নামে যে অজস্র মামলা রয়েছে, সে মামলাগুলো এখনও কেন তুলে নেওয়া হচ্ছে না। যে মামলাগুলোতে আমাদের সাজা দেওয়া হয়েছে— সেই মামলাগুলোর তথ্যপ্রমাণ কোনও কিছুই পাওয়া যায়নি। যার সবচেয়ে বড় প্রমাণ বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান নিজেই। বেগম খালেদা জিয়া দুই কোটি টাকা এক অ্যাকাউন্ট থেকে আরেক অ্যাকাউন্টে নিয়েছেন, এই অপরাধের কারণে যে জজ বেগম জিয়াকে ১২ বছরের সাজা দিয়েছে, সেই জজকে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রমোশন দিয়ে বিচারপতি বানানো হয়েছে।
শেখ হাসিনার উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়িছাড়া করেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে দেশছাড়া করেছে। পৃথিবীর কোথাও পাবেন না, কোনও রাজনৈতিক দল টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে একটা গণঅভ্যুত্থানের কারণে সবাই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বাংলাদেশে যারা জনগণের রোষানলে পড়ে দেশের শাসন ব্যবস্থা থেকে পালিয়ে গেছে, সেই পালিয়ে যাওয়া বাহিনীর কাছে যদি আমরা আর্তনাদ করে বলি, ফিরিয়ে দাও আমাদের ১৬টি বছর, এতে কোনও লাভ হবে না। কারণ তাদের এখন দেওয়ার কিছু নেই। তারা (আ.লীগ) বরং বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে নিতে চায়। কিন্তু, যাদের দেওয়ার আছে, যারা সব শ্রেণির মানুষের সমর্থন নিয়ে আজকে দেশ পরিচালনা করছেন, তারা একটা জায়গায় গিয়ে সবচেয়ে বড় হোঁচট খেয়েছেন। সেটা হচ্ছে, দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে না পারা। সাধারণ মানুষ এখন প্রশ্ন করে বলে— আগে সংসার নাকি সংস্কার। কারণ মানুষের এখন সংসারই তো চলছে না। প্রতিটি জিনিসের মূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু, বাংলাদেশ চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবির, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পারভেজ মল্লিক, এল কে রনি, দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নেতারা।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পরিষদের উদ্যোগে সাবেক মন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক ছাত্রনেতা জাকির খানসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানসহ অসংখ্য নেতাকর্মীর নামে যে অজস্র মামলা রয়েছে, সে মামলাগুলো এখনও কেন তুলে নেওয়া হচ্ছে না। যে মামলাগুলোতে আমাদের সাজা দেওয়া হয়েছে— সেই মামলাগুলোর তথ্যপ্রমাণ কোনও কিছুই পাওয়া যায়নি। যার সবচেয়ে বড় প্রমাণ বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান নিজেই। বেগম খালেদা জিয়া দুই কোটি টাকা এক অ্যাকাউন্ট থেকে আরেক অ্যাকাউন্টে নিয়েছেন, এই অপরাধের কারণে যে জজ বেগম জিয়াকে ১২ বছরের সাজা দিয়েছে, সেই জজকে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রমোশন দিয়ে বিচারপতি বানানো হয়েছে।
শেখ হাসিনার উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়িছাড়া করেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে দেশছাড়া করেছে। পৃথিবীর কোথাও পাবেন না, কোনও রাজনৈতিক দল টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে একটা গণঅভ্যুত্থানের কারণে সবাই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বাংলাদেশে যারা জনগণের রোষানলে পড়ে দেশের শাসন ব্যবস্থা থেকে পালিয়ে গেছে, সেই পালিয়ে যাওয়া বাহিনীর কাছে যদি আমরা আর্তনাদ করে বলি, ফিরিয়ে দাও আমাদের ১৬টি বছর, এতে কোনও লাভ হবে না। কারণ তাদের এখন দেওয়ার কিছু নেই। তারা (আ.লীগ) বরং বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে নিতে চায়। কিন্তু, যাদের দেওয়ার আছে, যারা সব শ্রেণির মানুষের সমর্থন নিয়ে আজকে দেশ পরিচালনা করছেন, তারা একটা জায়গায় গিয়ে সবচেয়ে বড় হোঁচট খেয়েছেন। সেটা হচ্ছে, দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে না পারা। সাধারণ মানুষ এখন প্রশ্ন করে বলে— আগে সংসার নাকি সংস্কার। কারণ মানুষের এখন সংসারই তো চলছে না। প্রতিটি জিনিসের মূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু, বাংলাদেশ চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবির, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পারভেজ মল্লিক, এল কে রনি, দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নেতারা।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে