দিন দিন অক্ষমতা বাড়ছে বিদ্যুতের সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো)। দিনে দিনে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানি ও আমদানি নির্ভরতার দিকে ঝুঁকে পড়ছে। এতে করে সুবিধাভোগী কোম্পানিগুলো আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। ফলে অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে বিদ্যুতের এই প্রতিষ্ঠানটি। এ যেন চেরাগের গোড়ায় অন্ধকার!
বাংলাস্কুপের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, দেশের ১৪৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৪০টিই বিউবোর অধীনে। কিন্তু অধিকাংশ কেন্দ্র জ্বালানি সংকট, কারিগরি জটিলতাসহ নানা কারণে সক্ষমতার চাইতে কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। ফলে বাধ্য হয়ে চাহিদা পূরণে পিডিবিকে নির্ভর করতে হচ্ছে বেসরকারি ও আমদানিকৃত বিদ্যুতের ওপর। এতে কেন্দ্রগুলোর কাছে বিপুল পরিমাণ ঋণে পড়ছে প্রতিষ্ঠানটি।
জানা যায়, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখতে ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার (আইপিপি), ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (রেন্টাল, কুইক রেন্টাল) এবং ভারত থেকে বিদ্যুৎ কেনে বিউবো। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদানিসহ ১০টি প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হয় বিদ্যুৎ। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, সামিট গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, ইউনাইটেড গ্রুপ, বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, ওরিয়ন গ্রুপ, কনফিডেন্স গ্রুপ, বরিশাল ইলেকট্রিক ও দেশ এনার্জি।
বিউবো সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেসরকারি খাত ও ভারত থেকে ৭৯ হাজার ৩৯০ কোটি টাকার বিদ্যুৎ কিনেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো)। এর মধ্যে ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানিসহ ১০টি প্রতিষ্ঠান নিয়েছে ৪৭ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। শুধু আদানির প্রতিষ্ঠান নিয়েছে ১২ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিউবোর নিজস্ব পলিসি ও ভুল পরিকল্পনার কারণে চাইলেও কাটাতে পারছে না বেসরকারি বিদ্যুৎনির্ভরতা। ফলে বছরের পর বছর বেড়ে চলেছে খরচ ও ভর্তুকির পরিমাণ। সরকারি বিদ্যুৎ খাতে যথাযথভাবে বিনিয়োগ ও সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করা হলে আর্থিক এ চাপ অনেকটা কমে আসবে।
এ বিষয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইজাজ হোসেন বলেন, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বিউবোরর ভুল আছে। তা না হলে বিপুল পরিমাণ এ অর্থ আইপিপিসহ আমদানি করা বিদ্যুতের পেছনে খরচ হতো না। অথচ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দোহাই দেখিয়ে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, যার বেশিরভাগই বেসরকারি মালিকানাধীন। এটা বলাও হচ্ছে যে, একটি নির্দিষ্ট মহলকে খুশি করতে এ ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আদতে তা বিউবোর বোঝাই বাড়িয়ে দিয়েছে এটা যেমন সত্য তেমনি এই প্রতিষ্ঠানের অক্ষমতাকেও বাড়িয়ে দিচ্ছে এই সমস্ত কর্মকাণ্ড। তবে বিউবোর বর্তমান চেয়ারম্যান সবকিছু কাটিয়ে উঠার জন্য চেষ্টা করছেন। আশা করছি তিনি সফল হবেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাংলাস্কুপকে বলেন, ‘সিস্টেম চালানোর স্বার্থে যখন যেটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয় আমরা তখন সেটা প্রয়োগ করি। তবে আমদানি নির্ভরতা এখন আর আগের মত নেই। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মহোদয়ের পরামর্শক্রমে দেশের স্বার্থে আমরা স্বনির্ভর হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ১৪৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে ৪০টি বিপিডির অধিনে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর হিসাব ধরলে এর সংখ্যা দাঁড়ায় ৬২টির মত।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে
বাংলাস্কুপের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, দেশের ১৪৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৪০টিই বিউবোর অধীনে। কিন্তু অধিকাংশ কেন্দ্র জ্বালানি সংকট, কারিগরি জটিলতাসহ নানা কারণে সক্ষমতার চাইতে কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। ফলে বাধ্য হয়ে চাহিদা পূরণে পিডিবিকে নির্ভর করতে হচ্ছে বেসরকারি ও আমদানিকৃত বিদ্যুতের ওপর। এতে কেন্দ্রগুলোর কাছে বিপুল পরিমাণ ঋণে পড়ছে প্রতিষ্ঠানটি।
জানা যায়, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখতে ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার (আইপিপি), ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (রেন্টাল, কুইক রেন্টাল) এবং ভারত থেকে বিদ্যুৎ কেনে বিউবো। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদানিসহ ১০টি প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হয় বিদ্যুৎ। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, সামিট গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, ইউনাইটেড গ্রুপ, বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, ওরিয়ন গ্রুপ, কনফিডেন্স গ্রুপ, বরিশাল ইলেকট্রিক ও দেশ এনার্জি।
বিউবো সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেসরকারি খাত ও ভারত থেকে ৭৯ হাজার ৩৯০ কোটি টাকার বিদ্যুৎ কিনেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো)। এর মধ্যে ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানিসহ ১০টি প্রতিষ্ঠান নিয়েছে ৪৭ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। শুধু আদানির প্রতিষ্ঠান নিয়েছে ১২ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিউবোর নিজস্ব পলিসি ও ভুল পরিকল্পনার কারণে চাইলেও কাটাতে পারছে না বেসরকারি বিদ্যুৎনির্ভরতা। ফলে বছরের পর বছর বেড়ে চলেছে খরচ ও ভর্তুকির পরিমাণ। সরকারি বিদ্যুৎ খাতে যথাযথভাবে বিনিয়োগ ও সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করা হলে আর্থিক এ চাপ অনেকটা কমে আসবে।
এ বিষয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইজাজ হোসেন বলেন, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বিউবোরর ভুল আছে। তা না হলে বিপুল পরিমাণ এ অর্থ আইপিপিসহ আমদানি করা বিদ্যুতের পেছনে খরচ হতো না। অথচ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দোহাই দেখিয়ে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, যার বেশিরভাগই বেসরকারি মালিকানাধীন। এটা বলাও হচ্ছে যে, একটি নির্দিষ্ট মহলকে খুশি করতে এ ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আদতে তা বিউবোর বোঝাই বাড়িয়ে দিয়েছে এটা যেমন সত্য তেমনি এই প্রতিষ্ঠানের অক্ষমতাকেও বাড়িয়ে দিচ্ছে এই সমস্ত কর্মকাণ্ড। তবে বিউবোর বর্তমান চেয়ারম্যান সবকিছু কাটিয়ে উঠার জন্য চেষ্টা করছেন। আশা করছি তিনি সফল হবেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাংলাস্কুপকে বলেন, ‘সিস্টেম চালানোর স্বার্থে যখন যেটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয় আমরা তখন সেটা প্রয়োগ করি। তবে আমদানি নির্ভরতা এখন আর আগের মত নেই। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মহোদয়ের পরামর্শক্রমে দেশের স্বার্থে আমরা স্বনির্ভর হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ১৪৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে ৪০টি বিপিডির অধিনে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর হিসাব ধরলে এর সংখ্যা দাঁড়ায় ৬২টির মত।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে