স্বাধীনতা পর থেকে দেশের মিডিয়ায় ইসলামোফোবিয়া আছে। ইসলামোফোবিয়া মোকাবিলা করবেন বলে জানিয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আমার দেশ পত্রিকার নবযাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই জনগণকে আমার দেশ উপহার দিতে যাচ্ছি। এটা আমাদের নতুন যাত্রা। আপনারা আমাদের এক মাস সময় দেন। পত্রিকা শুরু করলে প্রথম মাসে অনেক ভুল-ভ্রান্তি হয়। আপনারা ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
পত্রিকাটির সম্পাদকীয় নীতি কেমন হবে জানিয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, আমরা সঠিক খবরটা দেওয়ার চেষ্টা করবো। আপনারা জানেন, হাসিনার ফ্যাসিবাদ আমলে অনেক পত্রিকা ইসলামী জঙ্গি নাটক সাজিয়েছে, বড় বড় অনেক পত্রিকায় শুধু এক পক্ষের বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। বক্তব্যে ভিক্টিমের কখনো বক্তব্য ছিল না। শুধু পুলিশ, র্যাবের বক্তব্য দিয়ে মিডিয়া নিউজ করতো। দুই পক্ষের বক্তব্য দেয়নি। আমি একজন সম্পাদক, কোনো পত্রিকার নাম উল্লেখ করবো না। গত ১৭ বছরের হাসিনার পরিবারের বিরুদ্ধে কারও লেখার সামর্থ্য ছিল না। আমার দেশে আগেই লেখা শুরু করছিল। আমার দেশের দরজা অসহায় মানুষের জন্য সবসময় খোলা থাকবে বলে জানান মাহমুদূর রহমান।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশ। অথচ ফিলস্তিন ইস্যুতে আমাদের পত্রিকাগুলোতে লেখা কম। দেশের পত্রিকাগুলো ফিলিস্তিন নিয়ে আন্তর্জাতিক পাতায় এক দুই কলাম রাখে মাত্র। প্রথম পাতায় ফিলিস্তিন নিউজ যায় না। আমরা কাশ্মির মুসলিম নির্যাতন, চীনের উইঘুর মুসলিম নির্যাতন ও রোহিঙ্গা মুসলিমসহ সারাবিশ্বে নির্যাতিত মুসলমানদের নিয়ে লিখবো। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে দালালির কারণে মানুষের মাঝে পত্রিকা পড়ার অভ্যাস কমে গেছে। বড় বড় পত্রিকার সার্কুলেশন কমেছে ৫০ শতাংশ। আমরা মানুষের মাঝে পত্রিকার প্রতি আস্থা বাড়াবো। পত্রিকা হলো সমাজ-সংস্কৃতির দর্পণ। আমরা চাই, মানুষ অপেক্ষা করুক। সকাল বেলা পত্রিকার জন্য অধীর আগ্রহে থাকুক। আমার দেশে সেই পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মাহমুদুর রহমান বলেন, আমরা স্বাধীনতার কথা বলবো। আমরা আগেও কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করিনি। এখনো করবো না। হাসিনার আমলে আমরা অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে ছিলাম। আমরা কখনোই কোনো দলকে এডিশনাল কাভারেজ দেইনি। এখনো কোন দলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নেই। যে দল আধিপত্যের বিরুদ্ধে থাকবে, গণতন্ত্রের পক্ষে থাকবে আমরা তাদের পক্ষে থাকবো। যখন শাহবাগ আন্দোলন চলছিল, তখন সব পত্রিকায় জ্বর ছিল। শাহবাগ যে হাসিনা ও পার্শ্ববর্তী দেশের চক্রান্ত ছিল,সেটা আমার দেশ পত্রিকা বুঝতে পেরেছে। তখন আমাদের হেডলাইন ছিল শাহবাগে ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কালের কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক কবি হাসান হাফিজসহ আমার দেশ পত্রিকার অন্যান্য সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন এসময়।
বাংলাস্কু/প্রতিবেদক/এনআইএন
পত্রিকাটির সম্পাদকীয় নীতি কেমন হবে জানিয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, আমরা সঠিক খবরটা দেওয়ার চেষ্টা করবো। আপনারা জানেন, হাসিনার ফ্যাসিবাদ আমলে অনেক পত্রিকা ইসলামী জঙ্গি নাটক সাজিয়েছে, বড় বড় অনেক পত্রিকায় শুধু এক পক্ষের বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। বক্তব্যে ভিক্টিমের কখনো বক্তব্য ছিল না। শুধু পুলিশ, র্যাবের বক্তব্য দিয়ে মিডিয়া নিউজ করতো। দুই পক্ষের বক্তব্য দেয়নি। আমি একজন সম্পাদক, কোনো পত্রিকার নাম উল্লেখ করবো না। গত ১৭ বছরের হাসিনার পরিবারের বিরুদ্ধে কারও লেখার সামর্থ্য ছিল না। আমার দেশে আগেই লেখা শুরু করছিল। আমার দেশের দরজা অসহায় মানুষের জন্য সবসময় খোলা থাকবে বলে জানান মাহমুদূর রহমান।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশ। অথচ ফিলস্তিন ইস্যুতে আমাদের পত্রিকাগুলোতে লেখা কম। দেশের পত্রিকাগুলো ফিলিস্তিন নিয়ে আন্তর্জাতিক পাতায় এক দুই কলাম রাখে মাত্র। প্রথম পাতায় ফিলিস্তিন নিউজ যায় না। আমরা কাশ্মির মুসলিম নির্যাতন, চীনের উইঘুর মুসলিম নির্যাতন ও রোহিঙ্গা মুসলিমসহ সারাবিশ্বে নির্যাতিত মুসলমানদের নিয়ে লিখবো। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে দালালির কারণে মানুষের মাঝে পত্রিকা পড়ার অভ্যাস কমে গেছে। বড় বড় পত্রিকার সার্কুলেশন কমেছে ৫০ শতাংশ। আমরা মানুষের মাঝে পত্রিকার প্রতি আস্থা বাড়াবো। পত্রিকা হলো সমাজ-সংস্কৃতির দর্পণ। আমরা চাই, মানুষ অপেক্ষা করুক। সকাল বেলা পত্রিকার জন্য অধীর আগ্রহে থাকুক। আমার দেশে সেই পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মাহমুদুর রহমান বলেন, আমরা স্বাধীনতার কথা বলবো। আমরা আগেও কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করিনি। এখনো করবো না। হাসিনার আমলে আমরা অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে ছিলাম। আমরা কখনোই কোনো দলকে এডিশনাল কাভারেজ দেইনি। এখনো কোন দলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নেই। যে দল আধিপত্যের বিরুদ্ধে থাকবে, গণতন্ত্রের পক্ষে থাকবে আমরা তাদের পক্ষে থাকবো। যখন শাহবাগ আন্দোলন চলছিল, তখন সব পত্রিকায় জ্বর ছিল। শাহবাগ যে হাসিনা ও পার্শ্ববর্তী দেশের চক্রান্ত ছিল,সেটা আমার দেশ পত্রিকা বুঝতে পেরেছে। তখন আমাদের হেডলাইন ছিল শাহবাগে ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কালের কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক কবি হাসান হাফিজসহ আমার দেশ পত্রিকার অন্যান্য সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন এসময়।
বাংলাস্কু/প্রতিবেদক/এনআইএন