
ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) ২০৩০ সালের মধ্যে ন্যূনতম ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ ব্যবহার করার লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। এর অর্থ অঞ্চলজুড়ে বিদ্যুতায়ন বাড়াতে পারে। লক্ষ্যমাত্রার মেয়াদ যত কাছাকাছি আসছে, বিদ্যুতের চাহিদাও তত বাড়ছে। তবে ইউরোপের বিদ্যুৎ অবকাঠামো পরিবেশবান্ধব জ্বালানি রূপান্তরের জন্য প্রস্তুত কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন সংশ্লিষ্টরা। খবর ইউরোনিউজ।
ইউরোপীয় বহুজাতিক বিদ্যুৎ ও গ্যাস কোম্পানি ইওএন বলছে, বিদ্যুৎ অবকাঠামো নিয়ে সক্ষমতা ও সমন্বিতকরণের সমস্যায় ভুগছে ইউরোপ। কোম্পানির সিইও লিওনহার্ড বার্নবাউম উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘আপনার এলাকার সড়কগুলো কল্পনা করুন, যেগুলো দৈনিক গাড়ির চাপ সামলানোর উপযোগী। এবার সে সড়কে আরো দুই কোটি গাড়ি নামিয়ে দিন। চিন্তা করতে পারেন যানজট, দুর্ঘটনা ও বিলম্ব কতটা সমস্যা তৈরি হবে? ইউরোপের বিদ্যুৎ অবকাঠামো নিয়ে আমরা ঠিক এ সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি।’
লিওনহার্ড বলেন, ‘আমরা বিপুল পরিমাণ নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত করতে যাচ্ছি। কিন্তু বিদ্যমান অবকাঠামোর প্রায় সর্বোচ্চ সক্ষমতা ব্যবহার হচ্ছে। এ অবস্থায় আরো অবকাঠামো যেমন বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে, যাতে আমরা জ্বালানি রূপান্তর চালিয়ে যেতে পারি।’ বর্তমানে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থায় বছরে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি ইউরো বিনিয়োগ করা হচ্ছে। তবে লিওনহার্ড বলছেন, আগামী ২০-২৫ বছর বিনিয়োগ দ্বিগুণ করে বছরে প্রায় ৭ হাজার কোটি ইউরো করতে হবে। ইউরোপিয়ান কমিশনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুধু ইইউভুক্ত ২৭ দেশের ২০২২-৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ গ্রিডের জন্য ৫৮ হাজার ৪০০ কোটি ইউরো বিনিয়োগ প্রয়োজন।
কিন্তু বিপুল পরিমাণ এ খরচ কে বহন করবে, তা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা আছে। বিদ্যুৎ শিল্প এটি নিজ আয় থেকে বহন করতে পারবে না। গ্রাহক বা করদাতাদেরই এ খরচ বহন করতে হবে। লিওনহার্ড বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রি থেকে এ ব্যয় পুরোপুরি বহন করা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের মুনাফা থেকে করা বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়িয়ে যদি ৩ হাজার কোটি ইউরো করতে হয়, তা রীতিমতো অসম্ভব।’ তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতায়নই কার্বন নিঃসরণ কমানো, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী হওয়ার উপায়। অথচ ইইউতে এ হার স্থবির হয়ে গেছে। নতুন কমিশন শিগগিরই এ সমস্যা সমাধান করবে বলে আশা করি। বিদ্যুতায়ন না হলে জ্বালানি রূপান্তর আরো ব্যয়বহুল হয়ে যাবে।’
বর্তমানে ইউরোপে মোট জ্বালানি ব্যবহারের ২৩ শতাংশ বৈদ্যুতিক এবং এর মধ্যে ৭৪ শতাংশই পরিবেশবান্ধব জ্বালানি থেকে উৎপাদন হয় (৫০ শতাংশ নবায়নযোগ্য, ২৪ শতাংশ পারমাণবিক)। কার্বন নিঃসরণ কমাতে ইউরোপকে এ হার তিন গুণ করতে হবে। লিওনহার্ড বলেন, ‘আমরা মাত্র যান চলাচল ও যাতায়াত ব্যবস্থায় পরিবেশবান্ধব বিদ্যুতের ব্যবহার করছি। এছাড়া গ্রীষ্ম সামনে রেখে ও শিল্প খাতে বিদ্যুতায়ন শুরু করেছি। তাই ১০০ শতাংশে পৌঁছতে এখনো অনেক পথ বাকি। তবে লিওনহার্ড ইউরোপের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক তুলনায় ইউরোপের বিদ্যুৎ অবকাঠামো আসলে খুবই ভালো। তাই আমাদের খুব খারাপ পরিস্থিতিতে শুরু করতে হচ্ছে না।’
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন
ইউরোপীয় বহুজাতিক বিদ্যুৎ ও গ্যাস কোম্পানি ইওএন বলছে, বিদ্যুৎ অবকাঠামো নিয়ে সক্ষমতা ও সমন্বিতকরণের সমস্যায় ভুগছে ইউরোপ। কোম্পানির সিইও লিওনহার্ড বার্নবাউম উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘আপনার এলাকার সড়কগুলো কল্পনা করুন, যেগুলো দৈনিক গাড়ির চাপ সামলানোর উপযোগী। এবার সে সড়কে আরো দুই কোটি গাড়ি নামিয়ে দিন। চিন্তা করতে পারেন যানজট, দুর্ঘটনা ও বিলম্ব কতটা সমস্যা তৈরি হবে? ইউরোপের বিদ্যুৎ অবকাঠামো নিয়ে আমরা ঠিক এ সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি।’
লিওনহার্ড বলেন, ‘আমরা বিপুল পরিমাণ নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত করতে যাচ্ছি। কিন্তু বিদ্যমান অবকাঠামোর প্রায় সর্বোচ্চ সক্ষমতা ব্যবহার হচ্ছে। এ অবস্থায় আরো অবকাঠামো যেমন বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে, যাতে আমরা জ্বালানি রূপান্তর চালিয়ে যেতে পারি।’ বর্তমানে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থায় বছরে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি ইউরো বিনিয়োগ করা হচ্ছে। তবে লিওনহার্ড বলছেন, আগামী ২০-২৫ বছর বিনিয়োগ দ্বিগুণ করে বছরে প্রায় ৭ হাজার কোটি ইউরো করতে হবে। ইউরোপিয়ান কমিশনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুধু ইইউভুক্ত ২৭ দেশের ২০২২-৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ গ্রিডের জন্য ৫৮ হাজার ৪০০ কোটি ইউরো বিনিয়োগ প্রয়োজন।
কিন্তু বিপুল পরিমাণ এ খরচ কে বহন করবে, তা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা আছে। বিদ্যুৎ শিল্প এটি নিজ আয় থেকে বহন করতে পারবে না। গ্রাহক বা করদাতাদেরই এ খরচ বহন করতে হবে। লিওনহার্ড বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রি থেকে এ ব্যয় পুরোপুরি বহন করা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের মুনাফা থেকে করা বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়িয়ে যদি ৩ হাজার কোটি ইউরো করতে হয়, তা রীতিমতো অসম্ভব।’ তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতায়নই কার্বন নিঃসরণ কমানো, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী হওয়ার উপায়। অথচ ইইউতে এ হার স্থবির হয়ে গেছে। নতুন কমিশন শিগগিরই এ সমস্যা সমাধান করবে বলে আশা করি। বিদ্যুতায়ন না হলে জ্বালানি রূপান্তর আরো ব্যয়বহুল হয়ে যাবে।’
বর্তমানে ইউরোপে মোট জ্বালানি ব্যবহারের ২৩ শতাংশ বৈদ্যুতিক এবং এর মধ্যে ৭৪ শতাংশই পরিবেশবান্ধব জ্বালানি থেকে উৎপাদন হয় (৫০ শতাংশ নবায়নযোগ্য, ২৪ শতাংশ পারমাণবিক)। কার্বন নিঃসরণ কমাতে ইউরোপকে এ হার তিন গুণ করতে হবে। লিওনহার্ড বলেন, ‘আমরা মাত্র যান চলাচল ও যাতায়াত ব্যবস্থায় পরিবেশবান্ধব বিদ্যুতের ব্যবহার করছি। এছাড়া গ্রীষ্ম সামনে রেখে ও শিল্প খাতে বিদ্যুতায়ন শুরু করেছি। তাই ১০০ শতাংশে পৌঁছতে এখনো অনেক পথ বাকি। তবে লিওনহার্ড ইউরোপের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক তুলনায় ইউরোপের বিদ্যুৎ অবকাঠামো আসলে খুবই ভালো। তাই আমাদের খুব খারাপ পরিস্থিতিতে শুরু করতে হচ্ছে না।’
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন