সম্প্রতি মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে একক যাত্রার টিকিটের ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। প্রায় সময়ই একক টিকিট না পাওয়ায় যাত্রীদের ফেরত যেতে হচ্ছে স্টেশন থেকে। এই সমস্যা সমাধানে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ নতুন টিকিট কার্ড আনাসহ আলাদাভাবে কিউআর সিস্টেম চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানায়, বর্তমানে মেট্রোরেলে দিনে গড়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ যাত্রী যাতায়াত করেন। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক যাত্রী একক যাত্রার টিকিট ব্যবহার করেন। বাকি যাত্রীরা নিজস্ব এমআরটি কার্ড ব্যবহার করে যাতায়াত করেন। তবে ডিসেম্বরের শুরুতে একক টিকিটের সংকট দেখা দেয়। দিনে দিনে এই সংকট বেড়েই চলছে।
টিকিট সংকটের কারণ হিসেবে ডিএমটিসিএল থেকে জানানো হয়, প্রায় ২ লাখ একক যাত্রার টিকিট যাত্রীরা সঙ্গে করে নিয়ে গেছে। কিছু কার্ড নষ্ট হয়ে গেছেন। মেট্রোরেলে ন্যূনতম ৪০ থেকে ৫০ হাজার টিকিট প্রয়োজন। সেখানে বর্তমানে মাত্র ৩০ হাজার টিকিট রয়েছে। এ টিকিটের সংকট তৈরি হয়েছে।
তবে টিকিট সংকট কাটাতে কাজ করছে বলে জানায় মেট্রোরেল পরিচালনা কর্তৃপক্ষ। ডিএমটিসিএল সূত্র থেকে জানা যায়, দেশের বাইরে থেকে নতুন করে ৪ লাখ ৯০ হাজার একক যাত্রার টিকিট কার্ড আনা হচ্ছে। নভেম্বর মাসে ২০ হাজার টিকিট আসলেও তা চাহিদা পূরণে যথেষ্ট নয়। আগামী সপ্তাহে আরও ২০ হাজার টিকিট আসছে। ফেব্রুয়ারি মাসে আসবে আরও ২০ হাজার। মার্চে এক লাখ এবং মার্চের পর আরও এক লাখ ৯০ হাজার টিকিট আসবে। এভাবে টিকিট সংকট কেটে যাবে। পাশাপাশি কাগজের কিউআরসহ মোবাইল স্ক্যানার ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ডিএমটিসিএলের সাম্প্রতিক বোর্ড মিটিংয়ে কিউআর সিস্টেম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও কাজ শুরু হয়নি। দ্রিতই ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ।
সূত্র জানায়, টিকিট ভেন্ডর মেশিনের পাশাপাশি কিউআর সিস্টেমের জন্য আলাদা বুথ থাকবে। এই বুথ থেকে কিউআর সম্বলিত কাগজ বের হবে— যা টিকিটের কাজ করবে। এছাড়া মোবাইল স্ক্যানারের মাধ্যমে কিউআর টিকিট ব্যবহারেরও ব্যবস্থা রাখা হবে।
এই কিউআর টিকিট ব্যবহারের জন্য স্টেশনগুলোতে একটি করে আলাদা প্রবেশপথ রাখা হবে। চাইলেও এক দিনের কিউআর কাগজের টিকিট অন্য দিন ব্যবহার করতে পারবেন না যাত্রীরা। তাই এসব কার্ড যাত্রীরা নিয়ে গেলেও সমস্যা হবে না।
এবিষয়ে ডিএমটিসিএলের ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রউফ বলেন, ‘যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। তাই বর্তমান যে সিস্টেম রয়েছে, এর পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই এটি চালুর কাজ শুরু করা হবে।’
মেট্রোরেল চলাচলের জন্য ডিএমটিসিএল স্থায়ী কার্ড হিসেবে এমআরটি পাস চালু করেছিল। এজন্য সাত লাখ ২৮ হাজার এমআরটি পাস আনা হয়েছিল। সবগুলোই পাস বিক্রি হয়ে গেছে। এখন আর নতুন এমআরটি পাস আনবে না ডিএমটিসিএল। কারণ ২০১৫ সালে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এক কার্ডে সব গণপরিবহনের ভাড়া পরিশোধের জন্য ‘র্যাপিড পাস’ চালু করে। ডিটিসিএ চাচ্ছে— মেট্রোরেলেও পুরোপুরি র্যাপিড পাস ব্যবহার করা হোক। এতে ক্লিয়ারিং হাউস হিসেবে ডিটিসিএ মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তা কোড সরবরাহ করে আসলেও এখন আর করছে না। ফলে এমআরটি পাস আর নয়, এখন থেকে সব র্যাপিড পাস দেওয়া হবে। র্যাপিড পাস কেনার জন্য মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে আলাদা করে বুথ থাকবে।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানায়, বর্তমানে মেট্রোরেলে দিনে গড়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ যাত্রী যাতায়াত করেন। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক যাত্রী একক যাত্রার টিকিট ব্যবহার করেন। বাকি যাত্রীরা নিজস্ব এমআরটি কার্ড ব্যবহার করে যাতায়াত করেন। তবে ডিসেম্বরের শুরুতে একক টিকিটের সংকট দেখা দেয়। দিনে দিনে এই সংকট বেড়েই চলছে।
টিকিট সংকটের কারণ হিসেবে ডিএমটিসিএল থেকে জানানো হয়, প্রায় ২ লাখ একক যাত্রার টিকিট যাত্রীরা সঙ্গে করে নিয়ে গেছে। কিছু কার্ড নষ্ট হয়ে গেছেন। মেট্রোরেলে ন্যূনতম ৪০ থেকে ৫০ হাজার টিকিট প্রয়োজন। সেখানে বর্তমানে মাত্র ৩০ হাজার টিকিট রয়েছে। এ টিকিটের সংকট তৈরি হয়েছে।
তবে টিকিট সংকট কাটাতে কাজ করছে বলে জানায় মেট্রোরেল পরিচালনা কর্তৃপক্ষ। ডিএমটিসিএল সূত্র থেকে জানা যায়, দেশের বাইরে থেকে নতুন করে ৪ লাখ ৯০ হাজার একক যাত্রার টিকিট কার্ড আনা হচ্ছে। নভেম্বর মাসে ২০ হাজার টিকিট আসলেও তা চাহিদা পূরণে যথেষ্ট নয়। আগামী সপ্তাহে আরও ২০ হাজার টিকিট আসছে। ফেব্রুয়ারি মাসে আসবে আরও ২০ হাজার। মার্চে এক লাখ এবং মার্চের পর আরও এক লাখ ৯০ হাজার টিকিট আসবে। এভাবে টিকিট সংকট কেটে যাবে। পাশাপাশি কাগজের কিউআরসহ মোবাইল স্ক্যানার ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ডিএমটিসিএলের সাম্প্রতিক বোর্ড মিটিংয়ে কিউআর সিস্টেম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও কাজ শুরু হয়নি। দ্রিতই ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ।
সূত্র জানায়, টিকিট ভেন্ডর মেশিনের পাশাপাশি কিউআর সিস্টেমের জন্য আলাদা বুথ থাকবে। এই বুথ থেকে কিউআর সম্বলিত কাগজ বের হবে— যা টিকিটের কাজ করবে। এছাড়া মোবাইল স্ক্যানারের মাধ্যমে কিউআর টিকিট ব্যবহারেরও ব্যবস্থা রাখা হবে।
এই কিউআর টিকিট ব্যবহারের জন্য স্টেশনগুলোতে একটি করে আলাদা প্রবেশপথ রাখা হবে। চাইলেও এক দিনের কিউআর কাগজের টিকিট অন্য দিন ব্যবহার করতে পারবেন না যাত্রীরা। তাই এসব কার্ড যাত্রীরা নিয়ে গেলেও সমস্যা হবে না।
এবিষয়ে ডিএমটিসিএলের ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রউফ বলেন, ‘যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। তাই বর্তমান যে সিস্টেম রয়েছে, এর পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই এটি চালুর কাজ শুরু করা হবে।’
মেট্রোরেল চলাচলের জন্য ডিএমটিসিএল স্থায়ী কার্ড হিসেবে এমআরটি পাস চালু করেছিল। এজন্য সাত লাখ ২৮ হাজার এমআরটি পাস আনা হয়েছিল। সবগুলোই পাস বিক্রি হয়ে গেছে। এখন আর নতুন এমআরটি পাস আনবে না ডিএমটিসিএল। কারণ ২০১৫ সালে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এক কার্ডে সব গণপরিবহনের ভাড়া পরিশোধের জন্য ‘র্যাপিড পাস’ চালু করে। ডিটিসিএ চাচ্ছে— মেট্রোরেলেও পুরোপুরি র্যাপিড পাস ব্যবহার করা হোক। এতে ক্লিয়ারিং হাউস হিসেবে ডিটিসিএ মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তা কোড সরবরাহ করে আসলেও এখন আর করছে না। ফলে এমআরটি পাস আর নয়, এখন থেকে সব র্যাপিড পাস দেওয়া হবে। র্যাপিড পাস কেনার জন্য মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে আলাদা করে বুথ থাকবে।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে