২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসম্বের) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে তিনি নির্বাচনের সময় জানান।
প্রেস সচিব বলেন, সংস্কার ও নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সরকার কাজ করছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা দিয়ে দিয়েছেন। এর চেয়ে পরিষ্কার রোডম্যাপ আর কী হতে পারে। উনি তো জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন করা হবে। প্রেস উইং থেকে আরো জানানো হয়, তফসিল বা দিনক্ষণ ঘোষণার কাজ নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে। সরকারের দায়িত্ব তাদের সহায়তা করা। ব্রিফিং-এ আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সেক্রেটারি ফয়েজ আহম্মদ।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথম দিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়ে গেছে। কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এখন থেকে তাদের হাতে দায়িত্ব ন্যস্ত হলো ভবিষ্যৎ সরকার গঠন করার প্রক্রিয়া শুরু করার। তারা তাদের প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছেন।
বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে— এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচনী রোডম্যাপ খুব স্পষ্ট দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত তারিখ কী? সেটা নির্ভর করবে সংস্কারের ওপর। তিনি একটা সময় দিয়ে দিয়েছেন। এর চেয়ে পরিষ্কার রোডম্যাপ কী হতে পারে? আপনি আশা করতে পারেন ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। এখন আপনি যদি বলেন মনোনয়ন দাখিলের সময় কবে? সেটা নির্বাচন কমিশন দেবে।
উপপ্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ, কবে মনোনয়ন দাখিল হবে এগুলো নির্বাচন কমিশনের কাজ। সরকারের কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। নির্বাচনটা যাতে সুষ্ঠু হয় এ জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের জাতীয় দাবি আছে রাজনৈতিক দল ও মানুষের পক্ষ থেকে। জুলাই বিপ্লবের চেতনা হচ্ছে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভোট দিতে পারে নাই। প্রধান উপদেষ্টার কাছে তরুণদের দাবি তারা যেন ভোট দিতে পারে, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত যেন হয়।
সংস্কার কমিশনগুলো দ্রুত প্রতিবেদন দেবে বলে আশা প্রকাশ করে আজাদ মজুমদার বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে জাতীয় উদ্যোগের চেষ্টা হবে। জাতীয় ঐক্যমতে সংস্কারের বিষয়গুলো তৈরি হয়ে গেলে নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিতে পারবে। নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ কমিশন শুরু করে দিয়েছে। নির্বাচনের চূড়ান্ত দিনক্ষণ জানতে হলে সবার উচিত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা। মোটা দাগে সরকার নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমার কথা বলেছেন। এ সময়ে মধ্যে থেকে নির্বাচন আয়োজন করতে গেলে যে প্রয়োজনীয়তার কথা ইতোমধ্যে আলোচিত হয়েছে। এখনও আলোচনা হচ্ছে বা সামনে যে ইস্যুগুলো আসবে, সেগুলো নিয়ে সরকার কীভাবে কাজ করবে তার রূপরেখা, পদ্ধতির আউটলাইন প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা করেছেন। জাতীয় ঐকমত্য হলে নির্বাচনের সময়সীমা বাড়বে কি না এমন প্রশ্নে আজাদ মজুমদার বলেন, যখন পরিস্থিতি তৈরি হবে তখন দেখা যাবে। এ বিষয়ে এখন ধারণা জল্পনা-কল্পনার সময় হয়নি।
এসময় প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ৯ম ও ১০ম শ্রেনীর পাঠ্যবই যুগোপযোগী করা হবে। ইউনিভার্সিটি গ্রান্ড কমিশননের নাম ইউনিভার্সিটি কমিশন করা হবে।
এর আগে, সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, সরকার চাইলে যে কোনো সময় নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুত কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা একটা সময়সীমা ঘোষণা করেছেন। সেই অনুযায়ী আমরা এগোবো। তবে কাজ করার জন্য আমাদের নিজস্ব একটি কর্মপরিকল্পনা আছে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুত কমিশন : সিইসি
২০২৫ সালের শেষে বা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে নির্বাচন
মঙ্গলবার (১৭ ডিসম্বের) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে তিনি নির্বাচনের সময় জানান।
প্রেস সচিব বলেন, সংস্কার ও নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সরকার কাজ করছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা দিয়ে দিয়েছেন। এর চেয়ে পরিষ্কার রোডম্যাপ আর কী হতে পারে। উনি তো জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন করা হবে। প্রেস উইং থেকে আরো জানানো হয়, তফসিল বা দিনক্ষণ ঘোষণার কাজ নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে। সরকারের দায়িত্ব তাদের সহায়তা করা। ব্রিফিং-এ আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সেক্রেটারি ফয়েজ আহম্মদ।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথম দিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়ে গেছে। কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এখন থেকে তাদের হাতে দায়িত্ব ন্যস্ত হলো ভবিষ্যৎ সরকার গঠন করার প্রক্রিয়া শুরু করার। তারা তাদের প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছেন।
বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে— এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচনী রোডম্যাপ খুব স্পষ্ট দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত তারিখ কী? সেটা নির্ভর করবে সংস্কারের ওপর। তিনি একটা সময় দিয়ে দিয়েছেন। এর চেয়ে পরিষ্কার রোডম্যাপ কী হতে পারে? আপনি আশা করতে পারেন ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। এখন আপনি যদি বলেন মনোনয়ন দাখিলের সময় কবে? সেটা নির্বাচন কমিশন দেবে।
উপপ্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ, কবে মনোনয়ন দাখিল হবে এগুলো নির্বাচন কমিশনের কাজ। সরকারের কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। নির্বাচনটা যাতে সুষ্ঠু হয় এ জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের জাতীয় দাবি আছে রাজনৈতিক দল ও মানুষের পক্ষ থেকে। জুলাই বিপ্লবের চেতনা হচ্ছে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভোট দিতে পারে নাই। প্রধান উপদেষ্টার কাছে তরুণদের দাবি তারা যেন ভোট দিতে পারে, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত যেন হয়।
সংস্কার কমিশনগুলো দ্রুত প্রতিবেদন দেবে বলে আশা প্রকাশ করে আজাদ মজুমদার বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে জাতীয় উদ্যোগের চেষ্টা হবে। জাতীয় ঐক্যমতে সংস্কারের বিষয়গুলো তৈরি হয়ে গেলে নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিতে পারবে। নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ কমিশন শুরু করে দিয়েছে। নির্বাচনের চূড়ান্ত দিনক্ষণ জানতে হলে সবার উচিত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা। মোটা দাগে সরকার নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমার কথা বলেছেন। এ সময়ে মধ্যে থেকে নির্বাচন আয়োজন করতে গেলে যে প্রয়োজনীয়তার কথা ইতোমধ্যে আলোচিত হয়েছে। এখনও আলোচনা হচ্ছে বা সামনে যে ইস্যুগুলো আসবে, সেগুলো নিয়ে সরকার কীভাবে কাজ করবে তার রূপরেখা, পদ্ধতির আউটলাইন প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা করেছেন। জাতীয় ঐকমত্য হলে নির্বাচনের সময়সীমা বাড়বে কি না এমন প্রশ্নে আজাদ মজুমদার বলেন, যখন পরিস্থিতি তৈরি হবে তখন দেখা যাবে। এ বিষয়ে এখন ধারণা জল্পনা-কল্পনার সময় হয়নি।
এসময় প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ৯ম ও ১০ম শ্রেনীর পাঠ্যবই যুগোপযোগী করা হবে। ইউনিভার্সিটি গ্রান্ড কমিশননের নাম ইউনিভার্সিটি কমিশন করা হবে।
এর আগে, সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, সরকার চাইলে যে কোনো সময় নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুত কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা একটা সময়সীমা ঘোষণা করেছেন। সেই অনুযায়ী আমরা এগোবো। তবে কাজ করার জন্য আমাদের নিজস্ব একটি কর্মপরিকল্পনা আছে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুত কমিশন : সিইসি
২০২৫ সালের শেষে বা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে নির্বাচন