ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর প্রধান তথ্য কমিশনারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পদত্যাগ করেছেন অপর তিন কমিশনারও। ফলে তিন মাস ধরে তথ্য কমিশনের যাবতীয় কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে দেশে তথ্য অধিকার আইনের সুষ্ঠু ব্যবহার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই অবিলম্বে প্রধান তথ্য কমিশনার ও তথ্য কমিশনার নিয়োগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তথ্য অধিকার ফোরাম।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ফোরামের আহ্বায়ক শাহীন আনাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়। এতে বলা হয়, তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ বাংলাদেশের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ আইন, যা দেশের সব নাগরিককে সরকারের কাছে সংরক্ষিত যাবতীয় তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করে। আইনটির মাধ্যমে জনগণ দেশের সব ধরনের সরকারি ও বেশ কিছু আধা সরকারি সংস্থার কাছে থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে, সেসব প্রতিষ্ঠানের কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারে। একই সঙ্গে দুর্নীতি রোধ, জনগণের কাছে সরকারি কমকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা, সরকারি কাজে জনগণের মনে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, দেশে জনসেবার মানোন্নয়ন করা এবং সরকারের সঙ্গে জনগণের নৈকট্য স্থাপনের কাজে ভূমিকা পালন করতে পারে। দেশে সুশাসন, সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় আইনটির কোনো বিকল্প নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তথ্য অধিকার ফোরাম লক্ষ্য করছে, জুলাই-আগস্টে দেশের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের পটভূমিতে সেপ্টেম্বর মাসে তথ্য অধিকার আইনের মূল পরিচালন সংস্থা ‘তথ্য কমিশন’-এর তিনজন কমিশনারের পদত্যাগের কারণে প্রায় তিন মাস ধরে এই কমিশনের যাবতীয় কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। দেশে তথ্য অধিকার আইনের সুষ্ঠু ব্যবহার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জনগণ তথ্য চেয়ে আবেদন করলেও অভিযোগগুলোর শুনানি প্রক্রিয়া হচ্ছে না। ফলে বিরোধগুলো অমীমাংসিত রয়ে যাচ্ছে, কোনো সমাধান মিলছে না।
তথ্য অধিকার ফোরাম মনে করে, তথ্য কমিশনাররা অনেক দিন নিযুক্ত না থাকলে দেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ এই আইন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা তথ্যের অবাধ প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং জনগণকে এই আইন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করবে। তাই অন্তর্র্বতী সরকারের কাছে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৪(১) অনুযায়ী পাঁচ সদস্যের সমন্বয়ে অতি দ্রুত একটি বাছাই কমিটি গঠন করে অবিলম্বে তথ্য কমিশনে প্রধান তথ্য কমিশনার ও অন্যান্য তথ্য কমিশনার নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ফোরাম।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/এএইচ/ এসকে
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ফোরামের আহ্বায়ক শাহীন আনাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়। এতে বলা হয়, তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ বাংলাদেশের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ আইন, যা দেশের সব নাগরিককে সরকারের কাছে সংরক্ষিত যাবতীয় তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করে। আইনটির মাধ্যমে জনগণ দেশের সব ধরনের সরকারি ও বেশ কিছু আধা সরকারি সংস্থার কাছে থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে, সেসব প্রতিষ্ঠানের কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারে। একই সঙ্গে দুর্নীতি রোধ, জনগণের কাছে সরকারি কমকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা, সরকারি কাজে জনগণের মনে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, দেশে জনসেবার মানোন্নয়ন করা এবং সরকারের সঙ্গে জনগণের নৈকট্য স্থাপনের কাজে ভূমিকা পালন করতে পারে। দেশে সুশাসন, সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় আইনটির কোনো বিকল্প নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তথ্য অধিকার ফোরাম লক্ষ্য করছে, জুলাই-আগস্টে দেশের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের পটভূমিতে সেপ্টেম্বর মাসে তথ্য অধিকার আইনের মূল পরিচালন সংস্থা ‘তথ্য কমিশন’-এর তিনজন কমিশনারের পদত্যাগের কারণে প্রায় তিন মাস ধরে এই কমিশনের যাবতীয় কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। দেশে তথ্য অধিকার আইনের সুষ্ঠু ব্যবহার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জনগণ তথ্য চেয়ে আবেদন করলেও অভিযোগগুলোর শুনানি প্রক্রিয়া হচ্ছে না। ফলে বিরোধগুলো অমীমাংসিত রয়ে যাচ্ছে, কোনো সমাধান মিলছে না।
তথ্য অধিকার ফোরাম মনে করে, তথ্য কমিশনাররা অনেক দিন নিযুক্ত না থাকলে দেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ এই আইন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা তথ্যের অবাধ প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং জনগণকে এই আইন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করবে। তাই অন্তর্র্বতী সরকারের কাছে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৪(১) অনুযায়ী পাঁচ সদস্যের সমন্বয়ে অতি দ্রুত একটি বাছাই কমিটি গঠন করে অবিলম্বে তথ্য কমিশনে প্রধান তথ্য কমিশনার ও অন্যান্য তথ্য কমিশনার নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ফোরাম।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/এএইচ/ এসকে