রাজধানীর বিদ্যুৎ বিতরণী সংস্থা ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) লিমিটেডের বিভিন্ন ডিভিশনে বেশ কিছু কর্মচারী একই জায়গায় এক যুগেরও অধিক সময় পার করে দিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, ডিভিশনের শীর্ষ কর্মকর্তা ও সংস্থাটির মানবসম্পদ বিভাগকে (এইচআর) 'ম্যানেজ' করেই তাঁরা একই জায়গায় বছরের পর বছর কর্মরত থেকে গড়ে তুলেছেন অনিয়মের স্বর্গরাজ্য। একই সঙ্গে তাঁরা নিজস্ব সিন্ডিকেট তৈরি করেও হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা।
সম্প্রতি বাংলাস্কুপের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসংক্রান্ত চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। ডিপিডিসির ৩৬টি ডিভিশনের (কাস্টমার ডেস্ক) অন্তত বিশটিতেই বিভিন্ন স্তরের শতাধিক কর্মচারী রয়েছেন, যাঁরা একই জায়গায় একই পদে কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাত বছর পর্যন্ত কর্মরত। এর বাইরে, ১৭ বছর, ২১ বছর ও ২৩ বছরও কাজ করছেন কেউ কেউ। একই জায়গায় দীর্ঘদিন থাকা এই কর্মচারীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গ্রাহক হয়রানি, গ্রাহকের সঙ্গে স্বেচ্ছাচরিতা, উচ্চচাপ সংযোগকে পাশ কাটিয়ে গ্রাহককে নিম্নচাপ সংযোগ প্রদান থেকে শুরু করে একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। এদের কেউ কেউ বিদ্যুতের সাবস্টেশন ও সোলার প্লান্টের ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। অবৈধভাবে মালিক হয়েছেন বিপুল অর্থবিত্তের। এই সিন্ডিকেটের কাছে ডিভিশনের অনেক শীর্ষ কর্মকর্তারাও জিম্মি! এদের অনেকে নানা বাহনা করে একই জায়গায় বহু বছর ধরে চাকরি করে গেলেও এদের বিরুদ্ধে কেউ কোন পদক্ষেপ নিতে পারছে না। এতে করে ওই সমস্ত ডিভিশনে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। জানা যায়, ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলীরা কারো কারো ব্যাপারে এইচআর দপ্তরকে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও তা আমলে নেয়া হয়নি। উল্টো অভিযোগকারীকেই বদলি করা হয়েছে বলে সূত্রের দাবি। আবার কারো পদায়নের ফাইল উপরে উঠলেই রহস্যজনক কারণে তা থমকে যায়। এর কারণ হিসেবে টাকা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কথা জানিয়েছে এইচআর সূত্র।
সূত্র জানায়, ডিভিশনে বহু বছর ধরে কর্মরতরা নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ আবেদনকারীদের থেকে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। বিভিন্ন ডিভিশনে থাকা এই চক্রটি গ্রাহকের বিল কমিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েও আয় করছেন বিপুল পরিমাণের অর্থ। আবার কোন গ্রাহক এককালীন বিদ্যুৎ বিল দিতে না পারলে কিস্তি করতে গেলেও তাদেরকে কমিশন দিতে হয়। আবার কোন কোন ডিভিশনের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গেও রয়েছে এই চক্রের সখ্য। সবমিলিয়ে ওই সব ডিভিশনে তারা অনিয়মের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাংলা স্কুপের অনুসন্ধানে উঠে আসা বিপুল তথ্যের আংশিক পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল :
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) লিমিটেডের ফতুল্লা ডিভিশনের অফিস অ্যাসিস্টেন্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত আছেন মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (আইডি নং-২০৭৪২)। চাকরিতে যোগদানের সময় ২০০৮ সালের ১ জুলাই থেকে তিনি ফতুল্লাতেই আছেন। এক চেয়ারেই তিনি পার করেছেন প্রায় ১৭ বছর।
ডিপিডিসির কামরাঙ্গীরচর ডিভিশনের মোহাম্মদ আল মামুন (আইডি নং-২০৫৩৬) অফিস অ্যাসিস্টেন্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে একই জায়গায় চাকরি শুরুর পর থেকে টানা ১৯ বছর কর্মরত রয়েছেন। ডেসার সময় তাঁর চাকরির জয়েনিং ছিল ২০০৫ সালের ১৪ জুলাই। একই চেয়ারে তিনি ১৯ বছর কাটিয়েছেন।
ডিপিডিসির জুরাইন ডিভিশনের অফিস অ্যাসিস্টেন্ট পদে আব্দুল কাইয়ুম (আইডি নং-২০৭৪৭) এক চেয়ারেই ২১ বছর কর্মরত রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ (পূর্ব) ডিভিশনের অফিস অ্যাসিস্টেন্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে মো. সোলায়মান (আইডি নং-২০৭০২) ২৩ বছর ৭ মাস একই জায়গায় চাকরি করছেন। তাঁর চাকরির জয়েনিং ছিলো ২০০১ সালের ১ জুলাই।
খিলগাঁও ডিভিশনের অফিস অ্যাসিস্টেন্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে মো. শাহীন ইসলাম (আইডি নং-২০৫৫৭) ২০০৮ সালের ৩০ জুন থেকে প্রায় ১৭ বছর ধরে টানা এক অফিসেই কর্মরত রয়েছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ ডিভিশনের অফিস অ্যাসিস্টেন্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে শিল্পী আকতার (আইডি নং-২০৭২৭) ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে টানা ২১ বছর ১০ মাস কর্মরত আছেন।
জিগাতলা ডিভিশনের অফিস অ্যাসিস্টেন্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে মো. আলাউদ্দিন (আইডি নং-২০৬০২) ২০০৮ সালের ১ জুলাই থেকে একই স্থানে কর্মরত রয়েছেন ৮ বছর ধরে।
শীতলক্ষ্যা ডিভিশনের অফিস অ্যাসিস্টেন্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে মো. শাহাজান হাওলাদার (আইডি নং-২০৪০৯) ২০০৮ সালের ১ জুলাই চাকরিতে যোগদান করেন। ওই ডিভিশনে তিনি প্রায় ৯ বছর কর্মরত আছেন।
মো. রেজাউল করীম (আইডি নং-২০৩৮৬) রাজারবাগ ডিভিশনের অফিস অ্যাসিস্টেন্ট পদে ২০০৮ সালের ১ জুলাই যোগদান করেন। রাজারবাগে তিনি ২০১৪ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত প্রায় ১০ বছর ধরে কর্মরত আছেন।
মানিকনগর ডিভিশনের অফিস অ্যাসিস্টেন্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে রুনা নজরুল (আইডি নং-২০৫৫২) ২০০৮ সালের ১ জুলাই কাজে যোগদান করেন। তিনি ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে প্রায় ১০ বছর ধরে মানিকনগর ডিভিশনে কর্মরত রয়েছেন।
এ ব্যাপারে ডিপিডিসির জুরাইন ডিভিশনের অফিস অ্যাসিস্টেন্ট আব্দুল কাইয়ুম বলেন, মাঝখানে আমাকে একবার বদলির আদেশ হয়েছিলো। আমাদের নির্বাহী প্রকৌশলী স্যারের সুপারিশে এইচআর কর্তৃপক্ষ তা বাতিল করে দেয়। আর আমার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির কোন অভিযোগ নেই। এটা মিথ্যা অপবাদ।
ডিপিডিসির ফতুল্লা ডিভিশনের মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, নির্বাহী প্রকৌশলী আমাকে ছাড়তে চান না। তাই আমি একই জায়গায় কাজ করছি। আর অনিয়ম-দুর্নীতির কোনও প্রশ্নই আসে না।
সিদ্ধিরগঞ্জ ডিভিশনের শিল্পী আকতার বলেন, কর্তৃপক্ষ আমাকে কেন একই চেয়ারে এতো বছর রেখেছেন, তা আমিও জানতে চাই।
এ বিষয়ে ডিপিডিসির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (এইচআর) বাংলাস্কুপকে বলেন, নরমালি আমরা তিন বছর পর পর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন জায়গায় পদায়ন করে থাকি। ক্ষেত্রবিশেষে এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে। তবে এক যুগের বেশি সময় ধরে একই চেয়ারে থেকে কর্মচারীদের অনিয়ম-দুর্নীতির কথা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে জেনারেল ম্যানেজার (এইচআর) মোহাম্মদ হাসনত চৌধুরী সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলাস্কুপকে বলেন, আমি আপনাকে কিছু বলতে পারবো না। আপনি পারলে পাবলিক রিলেশনের (পিআর) ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো.শামীমুল হকের কাছে তথ্য চেয়ে আবেদন করুন। এ সময় বাংলা স্কুপের প্রতিবেদক তাঁকে বলেন, সাংবাদিকরা সব সময় আবেদন করে তথ্য নিতে গেলে দুর্নীতিবাজরা সজাগ হয়ে যায়। এই বিষয়টি তুলে ধরে করণীয় জানতে চাইলে তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
বাংলা স্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
সম্প্রতি বাংলাস্কুপের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসংক্রান্ত চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। ডিপিডিসির ৩৬টি ডিভিশনের (কাস্টমার ডেস্ক) অন্তত বিশটিতেই বিভিন্ন স্তরের শতাধিক কর্মচারী রয়েছেন, যাঁরা একই জায়গায় একই পদে কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাত বছর পর্যন্ত কর্মরত। এর বাইরে, ১৭ বছর, ২১ বছর ও ২৩ বছরও কাজ করছেন কেউ কেউ। একই জায়গায় দীর্ঘদিন থাকা এই কর্মচারীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গ্রাহক হয়রানি, গ্রাহকের সঙ্গে স্বেচ্ছাচরিতা, উচ্চচাপ সংযোগকে পাশ কাটিয়ে গ্রাহককে নিম্নচাপ সংযোগ প্রদান থেকে শুরু করে একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। এদের কেউ কেউ বিদ্যুতের সাবস্টেশন ও সোলার প্লান্টের ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। অবৈধভাবে মালিক হয়েছেন বিপুল অর্থবিত্তের। এই সিন্ডিকেটের কাছে ডিভিশনের অনেক শীর্ষ কর্মকর্তারাও জিম্মি! এদের অনেকে নানা বাহনা করে একই জায়গায় বহু বছর ধরে চাকরি করে গেলেও এদের বিরুদ্ধে কেউ কোন পদক্ষেপ নিতে পারছে না। এতে করে ওই সমস্ত ডিভিশনে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। জানা যায়, ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলীরা কারো কারো ব্যাপারে এইচআর দপ্তরকে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও তা আমলে নেয়া হয়নি। উল্টো অভিযোগকারীকেই বদলি করা হয়েছে বলে সূত্রের দাবি। আবার কারো পদায়নের ফাইল উপরে উঠলেই রহস্যজনক কারণে তা থমকে যায়। এর কারণ হিসেবে টাকা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কথা জানিয়েছে এইচআর সূত্র।
সূত্র জানায়, ডিভিশনে বহু বছর ধরে কর্মরতরা নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ আবেদনকারীদের থেকে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। বিভিন্ন ডিভিশনে থাকা এই চক্রটি গ্রাহকের বিল কমিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েও আয় করছেন বিপুল পরিমাণের অর্থ। আবার কোন গ্রাহক এককালীন বিদ্যুৎ বিল দিতে না পারলে কিস্তি করতে গেলেও তাদেরকে কমিশন দিতে হয়। আবার কোন কোন ডিভিশনের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গেও রয়েছে এই চক্রের সখ্য। সবমিলিয়ে ওই সব ডিভিশনে তারা অনিয়মের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাংলা স্কুপের অনুসন্ধানে উঠে আসা বিপুল তথ্যের আংশিক পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল :
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) লিমিটেডের ফতুল্লা ডিভিশনের অফিস অ্যাসিস্টেন্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত আছেন মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (আইডি নং-২০৭৪২)। চাকরিতে যোগদানের সময় ২০০৮ সালের ১ জুলাই থেকে তিনি ফতুল্লাতেই আছেন। এক চেয়ারেই তিনি পার করেছেন প্রায় ১৭ বছর।
ডিপিডিসির কামরাঙ্গীরচর ডিভিশনের মোহাম্মদ আল মামুন (আইডি নং-২০৫৩৬) অফিস অ্যাসিস্টেন্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে একই জায়গায় চাকরি শুরুর পর থেকে টানা ১৯ বছর কর্মরত রয়েছেন। ডেসার সময় তাঁর চাকরির জয়েনিং ছিল ২০০৫ সালের ১৪ জুলাই। একই চেয়ারে তিনি ১৯ বছর কাটিয়েছেন।
ডিপিডিসির জুরাইন ডিভিশনের অফিস অ্যাসিস্টেন্ট পদে আব্দুল কাইয়ুম (আইডি নং-২০৭৪৭) এক চেয়ারেই ২১ বছর কর্মরত রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ (পূর্ব) ডিভিশনের অফিস অ্যাসিস্টেন্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে মো. সোলায়মান (আইডি নং-২০৭০২) ২৩ বছর ৭ মাস একই জায়গায় চাকরি করছেন। তাঁর চাকরির জয়েনিং ছিলো ২০০১ সালের ১ জুলাই।
খিলগাঁও ডিভিশনের অফিস অ্যাসিস্টেন্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে মো. শাহীন ইসলাম (আইডি নং-২০৫৫৭) ২০০৮ সালের ৩০ জুন থেকে প্রায় ১৭ বছর ধরে টানা এক অফিসেই কর্মরত রয়েছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ ডিভিশনের অফিস অ্যাসিস্টেন্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে শিল্পী আকতার (আইডি নং-২০৭২৭) ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে টানা ২১ বছর ১০ মাস কর্মরত আছেন।
জিগাতলা ডিভিশনের অফিস অ্যাসিস্টেন্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে মো. আলাউদ্দিন (আইডি নং-২০৬০২) ২০০৮ সালের ১ জুলাই থেকে একই স্থানে কর্মরত রয়েছেন ৮ বছর ধরে।
শীতলক্ষ্যা ডিভিশনের অফিস অ্যাসিস্টেন্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে মো. শাহাজান হাওলাদার (আইডি নং-২০৪০৯) ২০০৮ সালের ১ জুলাই চাকরিতে যোগদান করেন। ওই ডিভিশনে তিনি প্রায় ৯ বছর কর্মরত আছেন।
মো. রেজাউল করীম (আইডি নং-২০৩৮৬) রাজারবাগ ডিভিশনের অফিস অ্যাসিস্টেন্ট পদে ২০০৮ সালের ১ জুলাই যোগদান করেন। রাজারবাগে তিনি ২০১৪ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত প্রায় ১০ বছর ধরে কর্মরত আছেন।
মানিকনগর ডিভিশনের অফিস অ্যাসিস্টেন্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে রুনা নজরুল (আইডি নং-২০৫৫২) ২০০৮ সালের ১ জুলাই কাজে যোগদান করেন। তিনি ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে প্রায় ১০ বছর ধরে মানিকনগর ডিভিশনে কর্মরত রয়েছেন।
এ ব্যাপারে ডিপিডিসির জুরাইন ডিভিশনের অফিস অ্যাসিস্টেন্ট আব্দুল কাইয়ুম বলেন, মাঝখানে আমাকে একবার বদলির আদেশ হয়েছিলো। আমাদের নির্বাহী প্রকৌশলী স্যারের সুপারিশে এইচআর কর্তৃপক্ষ তা বাতিল করে দেয়। আর আমার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির কোন অভিযোগ নেই। এটা মিথ্যা অপবাদ।
ডিপিডিসির ফতুল্লা ডিভিশনের মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, নির্বাহী প্রকৌশলী আমাকে ছাড়তে চান না। তাই আমি একই জায়গায় কাজ করছি। আর অনিয়ম-দুর্নীতির কোনও প্রশ্নই আসে না।
সিদ্ধিরগঞ্জ ডিভিশনের শিল্পী আকতার বলেন, কর্তৃপক্ষ আমাকে কেন একই চেয়ারে এতো বছর রেখেছেন, তা আমিও জানতে চাই।
এ বিষয়ে ডিপিডিসির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (এইচআর) বাংলাস্কুপকে বলেন, নরমালি আমরা তিন বছর পর পর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন জায়গায় পদায়ন করে থাকি। ক্ষেত্রবিশেষে এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে। তবে এক যুগের বেশি সময় ধরে একই চেয়ারে থেকে কর্মচারীদের অনিয়ম-দুর্নীতির কথা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে জেনারেল ম্যানেজার (এইচআর) মোহাম্মদ হাসনত চৌধুরী সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলাস্কুপকে বলেন, আমি আপনাকে কিছু বলতে পারবো না। আপনি পারলে পাবলিক রিলেশনের (পিআর) ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো.শামীমুল হকের কাছে তথ্য চেয়ে আবেদন করুন। এ সময় বাংলা স্কুপের প্রতিবেদক তাঁকে বলেন, সাংবাদিকরা সব সময় আবেদন করে তথ্য নিতে গেলে দুর্নীতিবাজরা সজাগ হয়ে যায়। এই বিষয়টি তুলে ধরে করণীয় জানতে চাইলে তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
বাংলা স্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে