বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে বড় একটি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে মিসর। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আসওয়ানে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উদ্বোধন করা হয়। নবায়নযোগ্য এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে খরচ হয়েছে ৫০০ মিলিয়ন বা ৫০ কোটি ডলার। গত গ্রীষ্মে মিসর বড় ধরনের বিদ্যুৎ ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছিল।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, আবিদোস সোলার পিভি প্ল্যান্ট ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। এটি নির্মাণে সময় লেগেছে ১৮ মাস। দুবাইভিত্তিক জ্বালানি কোম্পানি এএমইএ পাওয়ার এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। প্রতিবছর এটি ১ হাজার ৫০০ গিগাওয়াট ঘণ্টা দূষণমুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, যার মাধ্যমে তিন লাখ বাড়ির বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো যাবে।
এই সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র বছরে ৭ লাখ ৮২ হাজার ৩০০ টন কার্বন ডাই–অক্সাইড নিঃসরণ কমাবে।
মিসরের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা মাদবুলি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করে বলেছেন, এই প্রকল্প দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বাড়াতে একটি পদক্ষেপ। এ ছাড়া প্রচলিত জ্বালানি উৎসের ওপর মিসরের যে নির্ভরশীলতা, তা কমাতেও এটি সাহায্য করবে। গ্রীষ্মে দেশটিতে বিদ্যুতের যে সংকট হয়, তা নিরসনে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ভূমিকা রাখবে।
গত গ্রীষ্মে প্রতিদিন মিসরে বিদ্যুতের ঘাটতি হয়েছে। কখনো কখনো দেশটিতে টানা তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। প্রচণ্ড গরমের কারণে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার বাড়লে লোডশেডিংও বাড়ে।
আসওয়ান সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রথমবারের মতো জাতীয় গ্রিডে গত সপ্তাহে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন, ডাচ এন্ট্রাপ্রেনিউরিয়াল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো–অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে।
আসওয়ানে সারা বছরই রোদ থাকে। সেখানে বর্তমানে বেনবান সোলার পার্ক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে, যেটির সক্ষমতা ১৬৫০ মেগাওয়াট। এটি আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে অন্যতম বড় সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র। ২০১৯ সালে এটির উদ্বোধন করা হয়েছিল।
শনিবার মিসর সরকার আরেকটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর আওতায় লোহিত সাগরের তীরে রাস শুকুর এলাকায় ৫০০ মেগাওয়াটের একটি বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০০ মিলিয়ন বা ৬০ কোটি ডলার।
মিসর সরকারের লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের উৎপাদন মোট সক্ষমতার ৪২ শতাংশে উন্নীত করা। বর্তমানে এই হার সাড়ে ১১ শতাংশ। সূত্র : প্রথম আলো
বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, আবিদোস সোলার পিভি প্ল্যান্ট ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। এটি নির্মাণে সময় লেগেছে ১৮ মাস। দুবাইভিত্তিক জ্বালানি কোম্পানি এএমইএ পাওয়ার এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। প্রতিবছর এটি ১ হাজার ৫০০ গিগাওয়াট ঘণ্টা দূষণমুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, যার মাধ্যমে তিন লাখ বাড়ির বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো যাবে।
এই সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র বছরে ৭ লাখ ৮২ হাজার ৩০০ টন কার্বন ডাই–অক্সাইড নিঃসরণ কমাবে।
মিসরের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা মাদবুলি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করে বলেছেন, এই প্রকল্প দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বাড়াতে একটি পদক্ষেপ। এ ছাড়া প্রচলিত জ্বালানি উৎসের ওপর মিসরের যে নির্ভরশীলতা, তা কমাতেও এটি সাহায্য করবে। গ্রীষ্মে দেশটিতে বিদ্যুতের যে সংকট হয়, তা নিরসনে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ভূমিকা রাখবে।
গত গ্রীষ্মে প্রতিদিন মিসরে বিদ্যুতের ঘাটতি হয়েছে। কখনো কখনো দেশটিতে টানা তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। প্রচণ্ড গরমের কারণে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার বাড়লে লোডশেডিংও বাড়ে।
আসওয়ান সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রথমবারের মতো জাতীয় গ্রিডে গত সপ্তাহে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন, ডাচ এন্ট্রাপ্রেনিউরিয়াল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো–অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে।
আসওয়ানে সারা বছরই রোদ থাকে। সেখানে বর্তমানে বেনবান সোলার পার্ক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে, যেটির সক্ষমতা ১৬৫০ মেগাওয়াট। এটি আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে অন্যতম বড় সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র। ২০১৯ সালে এটির উদ্বোধন করা হয়েছিল।
শনিবার মিসর সরকার আরেকটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর আওতায় লোহিত সাগরের তীরে রাস শুকুর এলাকায় ৫০০ মেগাওয়াটের একটি বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০০ মিলিয়ন বা ৬০ কোটি ডলার।
মিসর সরকারের লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের উৎপাদন মোট সক্ষমতার ৪২ শতাংশে উন্নীত করা। বর্তমানে এই হার সাড়ে ১১ শতাংশ। সূত্র : প্রথম আলো
বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে