
দেশে গত ১১ মাসে ৪৮৬ জন নারী ও কন্যাশিশু হত্যার শিকার হয়েছেন বলে তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। ‘পারিবারিক আইনে সমতা আনি, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ (২৫ নভেম্বর-১০ ডিসেম্বর) ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা।
রেখা সাহা বলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৬টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৩৬২ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৩৬ জন কন্যাশিশু। একই সময়ে ৪৮৬ জন নারী ও কন্যাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিবেদনে জানানো হয়, নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ২০২৪ সালের প্রথম ১১ মাসে নানা ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব সহিংসতায় শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, পরিবার, সমাজ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ইউএনউইমেন-এর তথ্যের বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালে সারা পৃথিবীতে প্রতি ১০ মিনিটে একজন নারী বা কন্যাশিশু পরিবারের সদস্য বা সঙ্গীর হাতে নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনা নারীর অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে এবং বৈষম্যের চিত্র আরও প্রকট করছে।
ফওজিয়া মোসলেম বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা যে নারীর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নারীর প্রতি বৈষম্যের চরম বহিঃপ্রকাশ, তা আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। নারীর পক্ষে অনেক আইন হয়েছে, নীতিমালা হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু চিত্র পরিবর্তন হয়নি।
পারিবারিক সহিংসতাকে নারীর প্রতি সহিংসতার বড় ক্ষেত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর বড় কারণ হচ্ছে পারিবারিক আইনে অসমতার ফলে সৃষ্ট নারীর ব্যক্তি জীবনের সব পর্যায়ে অধিকারহীনতা।
এসময় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ২৫ দফা সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে পুত্র ও কন্যার সমঅধিকার নিশ্চিতকরণ, নারীর জন্য ক্ষতিকর প্রথা বন্ধ, ধর্ষণের শিকার নারীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুসহ প্রমুখ।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা।
রেখা সাহা বলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৬টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৩৬২ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৩৬ জন কন্যাশিশু। একই সময়ে ৪৮৬ জন নারী ও কন্যাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিবেদনে জানানো হয়, নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ২০২৪ সালের প্রথম ১১ মাসে নানা ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব সহিংসতায় শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, পরিবার, সমাজ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ইউএনউইমেন-এর তথ্যের বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালে সারা পৃথিবীতে প্রতি ১০ মিনিটে একজন নারী বা কন্যাশিশু পরিবারের সদস্য বা সঙ্গীর হাতে নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনা নারীর অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে এবং বৈষম্যের চিত্র আরও প্রকট করছে।
ফওজিয়া মোসলেম বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা যে নারীর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নারীর প্রতি বৈষম্যের চরম বহিঃপ্রকাশ, তা আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। নারীর পক্ষে অনেক আইন হয়েছে, নীতিমালা হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু চিত্র পরিবর্তন হয়নি।
পারিবারিক সহিংসতাকে নারীর প্রতি সহিংসতার বড় ক্ষেত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর বড় কারণ হচ্ছে পারিবারিক আইনে অসমতার ফলে সৃষ্ট নারীর ব্যক্তি জীবনের সব পর্যায়ে অধিকারহীনতা।
এসময় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ২৫ দফা সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে পুত্র ও কন্যার সমঅধিকার নিশ্চিতকরণ, নারীর জন্য ক্ষতিকর প্রথা বন্ধ, ধর্ষণের শিকার নারীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুসহ প্রমুখ।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে