জুলাই-আগস্টের ধাক্কা কাটিয়ে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে দেশের পণ্য রফতানি। এই রফতানি প্রবৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে বর্তমানে বড় ধরনের স্বস্তি এনে দিয়েছে। তবে সেই তুলনায় চাপমুক্ত হতে পারেননি গার্মেন্ট মালিকরা। কারণ, গত বছরের তুলনায় এবার রফতানি বাড়লেও এই খাতের উদ্যোক্তাদের আয় বাড়েনি। উল্টো বেড়েছে খরচ। বায়ারদের লিডটাইম পূরণে অনেক মালিককে সাম্প্রতিককালে বাধ্য হয়ে অর্ডারের পোশাক এয়ার ফ্রেইটের মাধ্যমে নিজস্ব খরচে পাঠাতে হয়েছে। এতে বেশিরভাগ উদ্যোক্তাকে লোকসান গুনতে হয়েছে। এখন পর্যন্ত অক্টোবর মাসের বেতন দিতে পারেনি ৩টি পোশাক কারখানা।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, বাংলাদেশের রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। নভেম্বরে এই পোশাক খাতের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে ওভেন পোশাক রফতানি বেড়েছে ২০ শতাংশ। ইপিবির হিসাবে নভেম্বর মাসে তৈরি পোশাক রফতানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩০ কোটি ৬১ লাখ ডলারে—যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২৮৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
রফতানির এই উল্লম্ফন অর্থনীতিতে কিছুটা স্বস্তি দিলেও একটুও চাপ কমেনি তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের। তারা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে এই শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষে কারখানা বন্ধসহ নানা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়। এই অস্থিরতা এখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এছাড়া সম্প্রতি সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘রফতানি বাড়লেও এই খাতের উদ্যোক্তাদের চাপ কমেনি।’ তিনি জানান, বিভিন্ন কারণে তাদের খরচ বেড়ে গেছে। অনেকেই লোকসান গুনছেন। কীভাবে পোশাক খাতের ব্যবসা ধরে রাখতে তারা লোকসান গুনছেন, তার ব্যাখ্যাও দেন এই উদ্যোক্তা। তিনি বলেন, ‘সুতার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে। সামনের বছর তাদের ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে। অর্থাৎ এখানে খরচ বাড়বে। এছাড়া, জুলাই- সেপ্টেম্বরের রাজনৈতিক ও শ্রমিক অসন্তোষের সুযোগ নিয়েছেন বিদেশি ক্রেতারাও।’ মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘ক্রেতারা জোর করে কম দাম দিচ্ছেন। তারা ভাবছেন আমরা সমস্যায় আছি। এখনও ডিসকাউন্টের জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ‘বিদেশি ক্রেতাদের চাপে অতিরিক্ত চার্জ দিয়ে আকাশপথে পণ্য পাঠাতে হয়েছে। আকাশ পথে পাঠানো প্রতিটি চালানে আমাদের লোকসান গুনতে হয়েছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, শুধু ক্রেতা ধরে রাখার জন্য আমরা লোকসান দিয়ে মালামাল পাঠিয়েছি। এরপরও রফতানি আয় বাড়ায় আমরা খুশি। তবে আমাদের অর্ডার কমছে। দাম কম দেওয়ার চেষ্টা করা একটি অর্ডার তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন জানিয়ে বলেন, ‘কারণ এই অর্ডার নিলে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হতো। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ব্যাংক ঋণের সুদহার দাঁড়িয়েছে ১৬ শতাংশের বেশি। প্রতি মাসেই এই হার বাড়ছে।’ মোহাম্মদ হাতেম মনে করেন, এভাবে চলতে থাকলে অনেকেই ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারবে না।
জানা গেছে, এখনও তৈরি পোশাক খাতের অস্থিরতা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। বিভিন্ন দাবিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরে শ্রমিক অসন্তোষ ও কর্মবিরতির কথা শোনা যাচ্ছে। ৭ ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, ওইদিন পর্যন্ত ঢাকা ও চট্টগ্রামের ২ হাজার ৯৩ কারখানার মধ্যে ৩টি ছাড়া বাকি সব কারখানার শ্রমিকদের অক্টোবর মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকার ২টি ও চট্টগ্রামের একটি কারখানার বেতন পরিশোধ করা হয়নি। এছাড়া গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকায় বিজিএমইএ’র সদস্য ১টি কারখানা বন্ধ আছে।
পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ গত ১৯ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর পোশাক শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে অন্তত ৪০ কোটি ডলারের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।
একাধিক রফতানিকারক বলেছেন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে অনেক ক্রয়াদেশের পণ্য সময়মতো জাহাজীকরণ করা যায়নি। পরে আটকে থাকা ক্রয়াদেশের পণ্য রফতানি হয়েছে। তা ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজার ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বৃহত্তম দুই বাজার থেকে বসন্ত ও গ্রীষ্ম মৌসুমের ক্রয়াদেশ আসাও বেড়েছে। সেসব পণ্যেরও জাহাজীকরণ শুরু হওয়ায় রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষ করে সামনে খ্রিষ্টানদের বড়দিনসহ বিভিন্ন উৎসব রয়েছে। এ ছাড়া বিগত সময়ের ক্রয়াদেশগুলোও এ সময় সম্পন্ন হয়েছে। এসব কারণে রফতানি বেড়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে। শিল্প এলাকায় যৌথবাহিনী মোতায়েন থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এসব উদ্যোগ রফতানিতে ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে। তবে ব্যাংকের তারল্য সংকটের কারণে এই খাতের উদ্যোক্তারা প্রত্যাশিত মাত্রায় ঋণ পাচ্ছেন না, সেই সঙ্গে কাঁচামাল আমদানিতে ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা পণ্য উৎপাদনকে ব্যাহত করছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘রফতানি বেড়েছে, এর অর্থ এই নয় যে আমরা বেশি লাভ করতে পারছি, বা বেশি ভালো আছি। ক্রেতা ধরে রাখতে বর্তমানে অনেক কারখানা উৎপাদন খরচের চেয়ে কম বা সমান দামে অর্ডার নিচ্ছে।’
এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘রফতানির ভলিউম বাড়লেও কারখানার মালিকদের আয় বাড়েনি। বরং সুতাসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খরচ আরও বেড়েছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, কিছু দিন আগের অস্থিরতার সুযোগে বিদেশি ক্রেতারা পণ্যের দাম কমিয়ে দিয়েছে। তবে যারা বায়ারদের লিডটাইম পূরণে বিমানে পণ্য পাঠিয়েছে— তাদের আর্থিক লোকসান গুনতে হয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে ইউরোপে প্রতি কিলোগ্রাম রফতানি পোশাক কার্গো বিমানে পাঠানোর খরচ ৬ ডলার। একইভাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নির্ধারিত চালানের জন্য এয়ার ফ্রেইট খরচ প্রতি কিলোগ্রামে সাড়ে ৭ থেকে ৮ ডলার।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, বাংলাদেশের রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। নভেম্বরে এই পোশাক খাতের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে ওভেন পোশাক রফতানি বেড়েছে ২০ শতাংশ। ইপিবির হিসাবে নভেম্বর মাসে তৈরি পোশাক রফতানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩০ কোটি ৬১ লাখ ডলারে—যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২৮৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
রফতানির এই উল্লম্ফন অর্থনীতিতে কিছুটা স্বস্তি দিলেও একটুও চাপ কমেনি তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের। তারা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে এই শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষে কারখানা বন্ধসহ নানা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়। এই অস্থিরতা এখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এছাড়া সম্প্রতি সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘রফতানি বাড়লেও এই খাতের উদ্যোক্তাদের চাপ কমেনি।’ তিনি জানান, বিভিন্ন কারণে তাদের খরচ বেড়ে গেছে। অনেকেই লোকসান গুনছেন। কীভাবে পোশাক খাতের ব্যবসা ধরে রাখতে তারা লোকসান গুনছেন, তার ব্যাখ্যাও দেন এই উদ্যোক্তা। তিনি বলেন, ‘সুতার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে। সামনের বছর তাদের ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে। অর্থাৎ এখানে খরচ বাড়বে। এছাড়া, জুলাই- সেপ্টেম্বরের রাজনৈতিক ও শ্রমিক অসন্তোষের সুযোগ নিয়েছেন বিদেশি ক্রেতারাও।’ মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘ক্রেতারা জোর করে কম দাম দিচ্ছেন। তারা ভাবছেন আমরা সমস্যায় আছি। এখনও ডিসকাউন্টের জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ‘বিদেশি ক্রেতাদের চাপে অতিরিক্ত চার্জ দিয়ে আকাশপথে পণ্য পাঠাতে হয়েছে। আকাশ পথে পাঠানো প্রতিটি চালানে আমাদের লোকসান গুনতে হয়েছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, শুধু ক্রেতা ধরে রাখার জন্য আমরা লোকসান দিয়ে মালামাল পাঠিয়েছি। এরপরও রফতানি আয় বাড়ায় আমরা খুশি। তবে আমাদের অর্ডার কমছে। দাম কম দেওয়ার চেষ্টা করা একটি অর্ডার তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন জানিয়ে বলেন, ‘কারণ এই অর্ডার নিলে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হতো। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ব্যাংক ঋণের সুদহার দাঁড়িয়েছে ১৬ শতাংশের বেশি। প্রতি মাসেই এই হার বাড়ছে।’ মোহাম্মদ হাতেম মনে করেন, এভাবে চলতে থাকলে অনেকেই ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারবে না।
জানা গেছে, এখনও তৈরি পোশাক খাতের অস্থিরতা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। বিভিন্ন দাবিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরে শ্রমিক অসন্তোষ ও কর্মবিরতির কথা শোনা যাচ্ছে। ৭ ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, ওইদিন পর্যন্ত ঢাকা ও চট্টগ্রামের ২ হাজার ৯৩ কারখানার মধ্যে ৩টি ছাড়া বাকি সব কারখানার শ্রমিকদের অক্টোবর মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকার ২টি ও চট্টগ্রামের একটি কারখানার বেতন পরিশোধ করা হয়নি। এছাড়া গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকায় বিজিএমইএ’র সদস্য ১টি কারখানা বন্ধ আছে।
পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ গত ১৯ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর পোশাক শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে অন্তত ৪০ কোটি ডলারের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।
একাধিক রফতানিকারক বলেছেন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে অনেক ক্রয়াদেশের পণ্য সময়মতো জাহাজীকরণ করা যায়নি। পরে আটকে থাকা ক্রয়াদেশের পণ্য রফতানি হয়েছে। তা ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজার ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বৃহত্তম দুই বাজার থেকে বসন্ত ও গ্রীষ্ম মৌসুমের ক্রয়াদেশ আসাও বেড়েছে। সেসব পণ্যেরও জাহাজীকরণ শুরু হওয়ায় রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষ করে সামনে খ্রিষ্টানদের বড়দিনসহ বিভিন্ন উৎসব রয়েছে। এ ছাড়া বিগত সময়ের ক্রয়াদেশগুলোও এ সময় সম্পন্ন হয়েছে। এসব কারণে রফতানি বেড়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে। শিল্প এলাকায় যৌথবাহিনী মোতায়েন থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এসব উদ্যোগ রফতানিতে ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে। তবে ব্যাংকের তারল্য সংকটের কারণে এই খাতের উদ্যোক্তারা প্রত্যাশিত মাত্রায় ঋণ পাচ্ছেন না, সেই সঙ্গে কাঁচামাল আমদানিতে ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা পণ্য উৎপাদনকে ব্যাহত করছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘রফতানি বেড়েছে, এর অর্থ এই নয় যে আমরা বেশি লাভ করতে পারছি, বা বেশি ভালো আছি। ক্রেতা ধরে রাখতে বর্তমানে অনেক কারখানা উৎপাদন খরচের চেয়ে কম বা সমান দামে অর্ডার নিচ্ছে।’
এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘রফতানির ভলিউম বাড়লেও কারখানার মালিকদের আয় বাড়েনি। বরং সুতাসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খরচ আরও বেড়েছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, কিছু দিন আগের অস্থিরতার সুযোগে বিদেশি ক্রেতারা পণ্যের দাম কমিয়ে দিয়েছে। তবে যারা বায়ারদের লিডটাইম পূরণে বিমানে পণ্য পাঠিয়েছে— তাদের আর্থিক লোকসান গুনতে হয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে ইউরোপে প্রতি কিলোগ্রাম রফতানি পোশাক কার্গো বিমানে পাঠানোর খরচ ৬ ডলার। একইভাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নির্ধারিত চালানের জন্য এয়ার ফ্রেইট খরচ প্রতি কিলোগ্রামে সাড়ে ৭ থেকে ৮ ডলার।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে