৭১-এর পর রাজনীতিতে আমরা ব্যর্থ হয়েছিলাম, কিন্তু এবার নয় বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এছাড়া ভারতের দ্ব্যর্থহীনভাবে বাংলাদেশে জুলাইয়ের অভ্যুত্থান এবং ছাত্র-জনতার গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ভোরে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে ‘ভারত ও বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক নিয়ে’ শীর্ষক এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহফুজ বলেন, ভারতের উচিত বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে বাংলাদেশে জুলাই অভ্যুত্থান এবং ছাত্র-জনতার গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেওয়া। এটি দিয়েই শুরু করতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানকে পাশ কাটিয়ে নতুন বাংলাদেশের ভিত রচনা করা হলে তা দুই দেশের সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হবে
উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলার এই অংশে ভারতপ্রেমী বা ভারতীয় মিত্ররা ভাবছে যে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যাবে এবং জুলাই বিপ্লব এবং ফ্যাসিবাদীদের নৃশংসতাকে এড়িয়ে গেলে তাদের কিছুই হবে না। এটা একটা ভুল ধারণা। মানুষ সব দেখছে!’তিনি বলেন, ভারতীয় সংস্থা জুলাই বিপ্লবকে কিছু জঙ্গি, হিন্দু-বিরোধী এবং ইসলামপন্থিদের ক্ষমতা দখল হিসাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের অপপ্রচার ও উসকানি ব্যর্থ হচ্ছে। তিনি আরও লেখেন, ‘দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর বাংলাদেশের জনগণ বিনা বাধায় গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করছে! সত্য এসেছে... মিথ্যা ধ্বংস হবে। চিরকাল!
ভারতের উচিত ৭৫ এর প্লেবুক পরিবর্তন করে বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা। এটা ৭৫ পরবর্তী পরিস্থিতি নয়। জুলাইয়ের বিদ্রোহ ছিল একটি গণতান্ত্রিক, প্রজন্মভিত্তিক এবং দায়িত্বশীল সংগ্রাম। আর এই সংগ্রাম চলবে দীর্ঘ সময় ধরে। আগের মতো নয়, বাংলাদেশি জনগণ ঐক্যবদ্ধ ও মর্যাদাপূর্ণ। তারা মরার আগ পর্যন্ত তাদের মর্যাদার জন্য লড়াই করবে।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘দিল্লি নাকি ঢাকা, ঢাকা, ঢাকা! মাতৃভূমি নাকি শাহাদাত! এই শ্লোগানগুলো প্রতিধ্বনিত হচ্ছে এদেশের প্রতিটি কোণে বাংলাদেশকে একক অঙ্গে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এবং ভারত যেন এই ঐক্যবদ্ধ, মর্যাদাপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে তার শত্রু না করে। '৭১-এর পর রাজনীতিতে আমরা ব্যর্থ হয়েছিলাম, কিন্তু এবার নয়! আল্লাহ ভরসা!’
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ভোরে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে ‘ভারত ও বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক নিয়ে’ শীর্ষক এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহফুজ বলেন, ভারতের উচিত বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে বাংলাদেশে জুলাই অভ্যুত্থান এবং ছাত্র-জনতার গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেওয়া। এটি দিয়েই শুরু করতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানকে পাশ কাটিয়ে নতুন বাংলাদেশের ভিত রচনা করা হলে তা দুই দেশের সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হবে
উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলার এই অংশে ভারতপ্রেমী বা ভারতীয় মিত্ররা ভাবছে যে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যাবে এবং জুলাই বিপ্লব এবং ফ্যাসিবাদীদের নৃশংসতাকে এড়িয়ে গেলে তাদের কিছুই হবে না। এটা একটা ভুল ধারণা। মানুষ সব দেখছে!’তিনি বলেন, ভারতীয় সংস্থা জুলাই বিপ্লবকে কিছু জঙ্গি, হিন্দু-বিরোধী এবং ইসলামপন্থিদের ক্ষমতা দখল হিসাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের অপপ্রচার ও উসকানি ব্যর্থ হচ্ছে। তিনি আরও লেখেন, ‘দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর বাংলাদেশের জনগণ বিনা বাধায় গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করছে! সত্য এসেছে... মিথ্যা ধ্বংস হবে। চিরকাল!
ভারতের উচিত ৭৫ এর প্লেবুক পরিবর্তন করে বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা। এটা ৭৫ পরবর্তী পরিস্থিতি নয়। জুলাইয়ের বিদ্রোহ ছিল একটি গণতান্ত্রিক, প্রজন্মভিত্তিক এবং দায়িত্বশীল সংগ্রাম। আর এই সংগ্রাম চলবে দীর্ঘ সময় ধরে। আগের মতো নয়, বাংলাদেশি জনগণ ঐক্যবদ্ধ ও মর্যাদাপূর্ণ। তারা মরার আগ পর্যন্ত তাদের মর্যাদার জন্য লড়াই করবে।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘দিল্লি নাকি ঢাকা, ঢাকা, ঢাকা! মাতৃভূমি নাকি শাহাদাত! এই শ্লোগানগুলো প্রতিধ্বনিত হচ্ছে এদেশের প্রতিটি কোণে বাংলাদেশকে একক অঙ্গে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এবং ভারত যেন এই ঐক্যবদ্ধ, মর্যাদাপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে তার শত্রু না করে। '৭১-এর পর রাজনীতিতে আমরা ব্যর্থ হয়েছিলাম, কিন্তু এবার নয়! আল্লাহ ভরসা!’
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে