টেস্টে ক্রিকেটে বাংলাদেশের এমন নৈপুণ্য দেখা যায় না নিয়মিত। কিন্তু এই বছরটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে। গত আগস্টে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার মতো বিরাট অর্জনের পর স্যাবাইনা পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অবশেষে জয় খরাও কাটিয়েছে বাংলাদেশ। চোটের কারণে নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বাদ পড়লে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান মেহেদী হাসান মিরাজ। আর তার নেতৃত্বেই ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বাংলাদেশ টেস্ট জেতার স্বাদ পেয়েছে। ১০১ রানের দারুণ জয়ের পর অধিনায়ক মিরাজ জানিয়েছেন, কীভাবে এসেছে এই সাফল্য।
এই সিরিজে প্রথমবারের মতো নেতৃত্ব পেয়েছিলেন মিরাজ। অ্যান্টিগাতে প্রথম ম্যাচে তার শুরুটাও হয় বাজে। তবে অ্যান্টিগাতে যা হয়নি, সেটি পুষিয়ে নিতে পেরেছেন জ্যামাইকায়। জাকের আলী অনিক, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা কিংবা তাইজুল ইসলামের বোলিংয়ের অনেক প্রভাব থাকলেও অধিনায়ক হিসেবে মিরাজও এই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের মতে এই টেস্ট জয় তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি। ম্যাচ শেষ মিরাজ বলেছেন, ‘খুবই ভালো লাগছে, প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতেছি, এটা অবশ্যই আমার জন্য বড় একটা অর্জন। যেহেতু আমি প্রথম অধিনায়কত্ব করছি, এটা আমার জন্য বড় একটা পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে।’
জয়ের সব কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের দিয়ে মিরাজ বলেছেন, ‘জয়ের কৃতিত্ব দিতে চাই সব খেলোয়াড়কে। আমি যেভাবে পরামর্শ দিয়েছি, সবাই মেনে নিয়েছে। কন্ডিশনটা সহজ ছিল না। সব খেলোয়াড়ের জন্যই অনেক কঠিন ছিল। সবাই মানসিকভাবে এমন ছিল যে ম্যাচটা জিততে হবে। সবাই চেয়েছিল মন থেকে ম্যাচটা জেতার জন্য। এর জন্যই আমরা জিততে পেরেছি।’
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে রান রেট ছিল ২.২৮। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪.৪৭! মূলত ইতিবাচক ভাবনার কারণেই ম্যাচটি জিতেছে বাংলাদেশ। এভাবে ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে দলে পুরো প্রভাব রেখেছেন অধিনায়ক মিরাজ, ‘আমি খেলোয়াড়দের একটা কথা বলেছি, এই উইকেটে ইতিবাচক চিন্তা ছাড়া খেললে অনেক কঠিন হবে। যেহেতু আমরা (প্রথম ইনিংসে) লিড পেয়েছি ১৮ রানের, এখানে রান করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি, এই উইকেটে যদি ২৫০ রান করতে পারি, আমাদের জন্য ম্যাচটা জেতা সহজ হবে। বার্তাটা এই ছিল-খেলোয়াড়রা ইতিবাচক খেলবে।’
মিরাজ আরও বলেছেন, ‘সৌরভ ভাই (মুমিনুল) অসুস্থ হওয়ার পর দলের সবাই বিমূঢ় হয়ে পড়েছিল। ওই জায়গায় ব্যাটিং করাটা একটু কঠিন। কিন্তু দীপুকে বলাতে সে রাজি হয়েছে। ওকে আমি একটা কথা বলেছিলাম, ‘‘এই উইকেটে তুমি ইতিবাচক খেলো। যদি মনে করো, প্রথম বলটাই মারার, তুমি প্রথম বলেই মারো। তোমাকে কেউ কিছু বলবে না। আমি তোমাকে অভয় দিলাম।’’ ও সেভাবেই খেলেছে। ওর ২৮টা রান খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমিও চারে একই মানসিকতা নিয়ে খেলেছি। কারণ এই উইকেটে রানটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। খেলোয়াড়দের প্রতি বার্তাটাই এটা ছিল। এর মানে এই না যে টেস্ট ক্রিকেট, শুধু ঠেকাব—আমরা এই পরিকল্পনায় খেলেছি।’
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে
এই সিরিজে প্রথমবারের মতো নেতৃত্ব পেয়েছিলেন মিরাজ। অ্যান্টিগাতে প্রথম ম্যাচে তার শুরুটাও হয় বাজে। তবে অ্যান্টিগাতে যা হয়নি, সেটি পুষিয়ে নিতে পেরেছেন জ্যামাইকায়। জাকের আলী অনিক, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা কিংবা তাইজুল ইসলামের বোলিংয়ের অনেক প্রভাব থাকলেও অধিনায়ক হিসেবে মিরাজও এই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের মতে এই টেস্ট জয় তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি। ম্যাচ শেষ মিরাজ বলেছেন, ‘খুবই ভালো লাগছে, প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতেছি, এটা অবশ্যই আমার জন্য বড় একটা অর্জন। যেহেতু আমি প্রথম অধিনায়কত্ব করছি, এটা আমার জন্য বড় একটা পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে।’
জয়ের সব কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের দিয়ে মিরাজ বলেছেন, ‘জয়ের কৃতিত্ব দিতে চাই সব খেলোয়াড়কে। আমি যেভাবে পরামর্শ দিয়েছি, সবাই মেনে নিয়েছে। কন্ডিশনটা সহজ ছিল না। সব খেলোয়াড়ের জন্যই অনেক কঠিন ছিল। সবাই মানসিকভাবে এমন ছিল যে ম্যাচটা জিততে হবে। সবাই চেয়েছিল মন থেকে ম্যাচটা জেতার জন্য। এর জন্যই আমরা জিততে পেরেছি।’
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে রান রেট ছিল ২.২৮। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪.৪৭! মূলত ইতিবাচক ভাবনার কারণেই ম্যাচটি জিতেছে বাংলাদেশ। এভাবে ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে দলে পুরো প্রভাব রেখেছেন অধিনায়ক মিরাজ, ‘আমি খেলোয়াড়দের একটা কথা বলেছি, এই উইকেটে ইতিবাচক চিন্তা ছাড়া খেললে অনেক কঠিন হবে। যেহেতু আমরা (প্রথম ইনিংসে) লিড পেয়েছি ১৮ রানের, এখানে রান করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি, এই উইকেটে যদি ২৫০ রান করতে পারি, আমাদের জন্য ম্যাচটা জেতা সহজ হবে। বার্তাটা এই ছিল-খেলোয়াড়রা ইতিবাচক খেলবে।’
মিরাজ আরও বলেছেন, ‘সৌরভ ভাই (মুমিনুল) অসুস্থ হওয়ার পর দলের সবাই বিমূঢ় হয়ে পড়েছিল। ওই জায়গায় ব্যাটিং করাটা একটু কঠিন। কিন্তু দীপুকে বলাতে সে রাজি হয়েছে। ওকে আমি একটা কথা বলেছিলাম, ‘‘এই উইকেটে তুমি ইতিবাচক খেলো। যদি মনে করো, প্রথম বলটাই মারার, তুমি প্রথম বলেই মারো। তোমাকে কেউ কিছু বলবে না। আমি তোমাকে অভয় দিলাম।’’ ও সেভাবেই খেলেছে। ওর ২৮টা রান খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমিও চারে একই মানসিকতা নিয়ে খেলেছি। কারণ এই উইকেটে রানটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। খেলোয়াড়দের প্রতি বার্তাটাই এটা ছিল। এর মানে এই না যে টেস্ট ক্রিকেট, শুধু ঠেকাব—আমরা এই পরিকল্পনায় খেলেছি।’
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে