সরকারি বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠান নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানিতে নিজেকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বানাতে চাপ প্রয়োগ ও অনিয়মের আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বর্তমান এমডি প্রকৌশলী কাজী আবসার উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এছাড়াও আবসার উদ্দিন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সময় ওই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকায় ব্যাপক অনিয়ম করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, তাঁর প্রশ্রয়ে ভারতীয় কোম্পানি পুরাতন যন্ত্রপাতি দিয়ে ওই কেন্দ্রটি নির্মাণ করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এমনকি, তাঁকে গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করার পরও এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন আবসার উদ্দিন।
জানা যায়, কাজী আবসার উদ্দিন সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের ‘স্নেহধন্য’, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের নেতা এবং সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার ‘ভাগনে’ পরিচয় ব্যবহার করে এ অনিয়ম করেছেন বলে জানা গেছে। তিনি স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে এমডি হয়েছেন বলে দাবি উঠেছে।
সূত্রমতে, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন মাসুদুল ইসলাম। সেখানে দ্বিতীয় হন হাসিবুল হাসান, আর তৃতীয় হয়েছিলেন কাজী আবসার উদ্দিন। কিন্তু নানা নাটকীয়তার পর প্রথম হওয়া ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয় তৃতীয় ব্যক্তি আবসার উদ্দিনকে। তিনি এখনও কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব পালন করছেন।
ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান একইসঙ্গে নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (এনডব্লিলিউপিজিসিএল) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। সম্প্রতি তিনি অবসরোত্তর ছুটিতে গেছেন।
নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর তৎকালীন বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমানের সই করা বোর্ড মিটিংয়ের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, ওই বছরের ২৯ অক্টোবর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে নিয়োগের জন্য আট জনকে ডাকা হয়। তবে পরীক্ষায় অংশ নেন চারজন। তাদের মধ্যে ৯১ নম্বর পেয়ে প্রথম হন মাসুদুল ইসলাম। দ্বিতীয় স্থান পাওয়া হাসিবুল হাসান পান ৮৫ নম্বর। আর কাজী আবসার উদ্দিন আহমেদ ৮৩ পেয়ে তৃতীয় এবং এ এইচ এম মহিউদ্দিন ৮১ নম্বর পেয়ে চতুর্থ হন।
অভিযোগ রয়েছে, চারজনের মধ্যে তৃতীয় হওয়া আবসার উদ্দিন ষড়যন্ত্র শুরু করেন। তিনি সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের ‘স্নেহধন্য’ বলে প্রচার করে প্রভাব খাটিয়ে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেন। পানি, বিদ্যুৎ, প্রকৌশল পরিষদ তথা বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের নেতা এবং রাজশাহী অঞ্চলের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার (রাজশাহী-২) ‘ভাগনে’ পরিচয়ে তিনি স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে নিজেকে নিয়োগ দিতে বিদ্যুৎ বিভাগকে বাধ্য করেন।
জানা গেছে, কোম্পানিতে যোগদান করেই তিনি নিজের জন্য একটি এবং পরিবারের ব্যবহারের জন্য দুটি গাড়ি বরাদ্দ নেন। একমাত্র চলমান প্রকল্পের সমাপ্তি ঘনিয়ে আসায় তিনি প্রকল্প ভেরিয়েশনের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে অবৈধ অর্থ আয় করে চলেছেন।
কোম্পানিটির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আবসার উদ্দিন কোম্পানিতে যোগ দিয়ে হেন কোনও অপকর্ম নেই, যা করছেন না তিনি। ম্যানেজমেন্ট মিটিংয়ের নামে ঠিকাদারের অর্থে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে চীনে ভ্রমণের আয়োজন করেন, যা সরকারি আদেশে নিয়মাবলির পরিপন্থী। এমনকি, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ওই ভ্রমণ থেকেই ঠিকাদারের অর্থে সিঙ্গাপুরে পরিবার নিয়ে প্রমোদ ভ্রমণে যান। এ বিষয়ে তার সরকারি আদেশে কোনও উল্লেখ নেই। সরকারি আদেশের বাইরে একজন সরকারি কর্মকর্তা কীভাবে বিদেশ ভ্রমণ করেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে কাজী আবসার উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এদিকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আবসার উদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেন ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রজনতা মঞ্চ। রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন থেকে 'ভারতীয় দালাল খুনি হাসিনার অনুসারী কাজী আবসার উদ্দিন আহমেদ'কে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই কাজী আবসার উদ্দিন আহমেদ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সময় ওই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। তার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ভারতীয় কোম্পানি পুরোনো যন্ত্রপাতি দিয়ে কেন্দ্রটি নির্মাণ করেছে। রামপাল ঠিকমতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে না। কিন্তু ঠিকই পূর্ণমাত্রায় কেন্দ্রটির ক্যাপাসিটি পেমেন্ট পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে করে কেন্দ্রটি প্রতিদিন অন্তত তিন কোটি ৪০ লাখ টাকার মতো বেশি অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। চুক্তির পুরো সময়ে যার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ২৪ হাজার কোটি টাকায়।
বক্তারা বলেন, গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার একমাস আগে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের বাসায় আবসার সপরিবার দাওয়াত খেয়ে এসেছেন। আবসারকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। তিনি ভারতীয় স্বার্থ দেখতে কী পরিমাণ অর্থ নিয়েছেন, তা সহজেই বোঝা যাবে।
মানববন্ধনে সংগঠনের সদস্য সচিব ডি কে সোলায়মান বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা মঞ্চ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, সুন্দরবনের পাশে পরিবেশ বিধ্বংসী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে দুর্নীতি ও রাষ্ট্রীয় ক্ষতির প্রধান কারিগর কাজী আবসার উদ্দিন এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সময় ভারতীয় কোম্পানিকে একপাক্ষিক সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশকে কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষতির মুখে ফেলেছেন। পুরানো ও অকার্যকর যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে কেন্দ্রটি নির্মাণের সুযোগ তিনি ভারতীয় কোম্পানি ভেল-কে দিয়েছেন, যার ফলে এই কেন্দ্রটি এখন দেশের কাঁধে একটি বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মানববন্ধনে দাবি করা হয়, কাজী আবসার উদ্দিনকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে তার দুর্নীতির বিচার নিশ্চিত করতে হবে; রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে; পরিবেশ ও রাষ্ট্রের ক্ষতি রোধে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং দেশীয় সম্পদ রক্ষায় জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী সব প্রকল্প পর্যালোচনা করতে হবে।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে
জানা যায়, কাজী আবসার উদ্দিন সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের ‘স্নেহধন্য’, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের নেতা এবং সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার ‘ভাগনে’ পরিচয় ব্যবহার করে এ অনিয়ম করেছেন বলে জানা গেছে। তিনি স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে এমডি হয়েছেন বলে দাবি উঠেছে।
সূত্রমতে, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন মাসুদুল ইসলাম। সেখানে দ্বিতীয় হন হাসিবুল হাসান, আর তৃতীয় হয়েছিলেন কাজী আবসার উদ্দিন। কিন্তু নানা নাটকীয়তার পর প্রথম হওয়া ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয় তৃতীয় ব্যক্তি আবসার উদ্দিনকে। তিনি এখনও কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব পালন করছেন।
ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান একইসঙ্গে নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (এনডব্লিলিউপিজিসিএল) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। সম্প্রতি তিনি অবসরোত্তর ছুটিতে গেছেন।
নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর তৎকালীন বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমানের সই করা বোর্ড মিটিংয়ের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, ওই বছরের ২৯ অক্টোবর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে নিয়োগের জন্য আট জনকে ডাকা হয়। তবে পরীক্ষায় অংশ নেন চারজন। তাদের মধ্যে ৯১ নম্বর পেয়ে প্রথম হন মাসুদুল ইসলাম। দ্বিতীয় স্থান পাওয়া হাসিবুল হাসান পান ৮৫ নম্বর। আর কাজী আবসার উদ্দিন আহমেদ ৮৩ পেয়ে তৃতীয় এবং এ এইচ এম মহিউদ্দিন ৮১ নম্বর পেয়ে চতুর্থ হন।
অভিযোগ রয়েছে, চারজনের মধ্যে তৃতীয় হওয়া আবসার উদ্দিন ষড়যন্ত্র শুরু করেন। তিনি সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের ‘স্নেহধন্য’ বলে প্রচার করে প্রভাব খাটিয়ে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেন। পানি, বিদ্যুৎ, প্রকৌশল পরিষদ তথা বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের নেতা এবং রাজশাহী অঞ্চলের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার (রাজশাহী-২) ‘ভাগনে’ পরিচয়ে তিনি স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে নিজেকে নিয়োগ দিতে বিদ্যুৎ বিভাগকে বাধ্য করেন।
জানা গেছে, কোম্পানিতে যোগদান করেই তিনি নিজের জন্য একটি এবং পরিবারের ব্যবহারের জন্য দুটি গাড়ি বরাদ্দ নেন। একমাত্র চলমান প্রকল্পের সমাপ্তি ঘনিয়ে আসায় তিনি প্রকল্প ভেরিয়েশনের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে অবৈধ অর্থ আয় করে চলেছেন।
কোম্পানিটির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আবসার উদ্দিন কোম্পানিতে যোগ দিয়ে হেন কোনও অপকর্ম নেই, যা করছেন না তিনি। ম্যানেজমেন্ট মিটিংয়ের নামে ঠিকাদারের অর্থে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে চীনে ভ্রমণের আয়োজন করেন, যা সরকারি আদেশে নিয়মাবলির পরিপন্থী। এমনকি, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ওই ভ্রমণ থেকেই ঠিকাদারের অর্থে সিঙ্গাপুরে পরিবার নিয়ে প্রমোদ ভ্রমণে যান। এ বিষয়ে তার সরকারি আদেশে কোনও উল্লেখ নেই। সরকারি আদেশের বাইরে একজন সরকারি কর্মকর্তা কীভাবে বিদেশ ভ্রমণ করেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে কাজী আবসার উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এদিকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আবসার উদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেন ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রজনতা মঞ্চ। রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন থেকে 'ভারতীয় দালাল খুনি হাসিনার অনুসারী কাজী আবসার উদ্দিন আহমেদ'কে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই কাজী আবসার উদ্দিন আহমেদ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সময় ওই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। তার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ভারতীয় কোম্পানি পুরোনো যন্ত্রপাতি দিয়ে কেন্দ্রটি নির্মাণ করেছে। রামপাল ঠিকমতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে না। কিন্তু ঠিকই পূর্ণমাত্রায় কেন্দ্রটির ক্যাপাসিটি পেমেন্ট পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে করে কেন্দ্রটি প্রতিদিন অন্তত তিন কোটি ৪০ লাখ টাকার মতো বেশি অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। চুক্তির পুরো সময়ে যার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ২৪ হাজার কোটি টাকায়।
বক্তারা বলেন, গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার একমাস আগে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের বাসায় আবসার সপরিবার দাওয়াত খেয়ে এসেছেন। আবসারকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। তিনি ভারতীয় স্বার্থ দেখতে কী পরিমাণ অর্থ নিয়েছেন, তা সহজেই বোঝা যাবে।
মানববন্ধনে সংগঠনের সদস্য সচিব ডি কে সোলায়মান বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা মঞ্চ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, সুন্দরবনের পাশে পরিবেশ বিধ্বংসী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে দুর্নীতি ও রাষ্ট্রীয় ক্ষতির প্রধান কারিগর কাজী আবসার উদ্দিন এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সময় ভারতীয় কোম্পানিকে একপাক্ষিক সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশকে কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষতির মুখে ফেলেছেন। পুরানো ও অকার্যকর যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে কেন্দ্রটি নির্মাণের সুযোগ তিনি ভারতীয় কোম্পানি ভেল-কে দিয়েছেন, যার ফলে এই কেন্দ্রটি এখন দেশের কাঁধে একটি বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মানববন্ধনে দাবি করা হয়, কাজী আবসার উদ্দিনকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে তার দুর্নীতির বিচার নিশ্চিত করতে হবে; রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে; পরিবেশ ও রাষ্ট্রের ক্ষতি রোধে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং দেশীয় সম্পদ রক্ষায় জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী সব প্রকল্প পর্যালোচনা করতে হবে।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে