বাংলা স্কুপ, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত ও আহতদের তথ্য চেয়ে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও কবরস্থান কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তদন্তের অংশ হিসেবে দেশের সব প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কাছে তথ্য ও ভিডিও ফুটেজ চেয়েও চিঠি দেয়া হয়েছে।
ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যে ছাত্রনেতারা ছিলেন, সমন্বয়করা ছিলেন তাঁদের সবার প্রতি আমাদের আহ্বান- আপনারা ফোরফ্রন্টে ছিলেন, ফিল্ডে ছিলেন; আপনার দেখেছেন কীভাবে ঘটনাগুলো ঘটেছে। আপনাদেরকে অর্গানাইজড ওয়েতে তদন্ত সংস্থাকে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করছি।
তাজুল ইসলাম বলেন, খুব সহসাই আমরা ছাত্রনেতাদেরকে বা সমন্বয়কদেরকে আমাদের এখানে আহ্বান জানাব। তাঁদের কাছে যে সমস্ত প্রমাণ আছে, এগুলো সংগ্রহের ব্যাপারে তাঁরা কীভাবে আমাদের সহযোগিতা করবেন- সেই বিষয়গুলো নির্ধারণের জন্য তাঁদেরকে আমরা এখানে আমন্ত্রণ জানাব।
ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর বলেন, প্রতিদিন আমরা যে সমস্ত কর্মকাণ্ড করব, আমরা চেষ্টা আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে জাতির কাছে তুলে ধরতে। যাতে যতদিন এই তদন্ত প্রক্রিয়া চলবে, স্বচ্ছতার সাথে তদন্তটা হয়। এবং জাতি জানতে পারেন, আমরা কতটুকু কাজ করতে পারছি। জাতি যাতে বুঝতে পারে এই বিচারপ্রক্রিয়ার মধ্যে কোন জায়গায় কোন রকমের অস্পষ্টতা নেই এবং প্রোপারলি কাজটা হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাজুল ইসলামকে চিফ প্রসিকিউটার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। একই সঙ্গে প্রসিকিউটার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় আরও চার আইনজীবীকে।
দায়িত্ব গ্রহণের পর রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চিফ প্রসিকিউটার তাজুল ইসলাম বলেন, জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার সকল আলামত সংগ্রহ করা, এখন তাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ। গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় দায়ের হওয়া অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকেসহ পলাতক সকল আসামিকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
ডেস্ক/এসকে