বরিশালের চরমোনাই দরবারে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল। চরমোনাই মাদ্রাসার মূল মাঠ এবং ৩ নম্বর মাঠ নিয়ে দুটি মাঠে বুধবার (২৭ নভেম্বর) বাদ জোহর থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই মাহফিল।
অনুষ্ঠিত এ মাহফিল হচ্ছে চরমোনাইর শততম মাহফিল। উদ্বোধনী দিনে মাহফিলে লাখো মুসল্লির সমাগম হয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় আখেরি বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী এ মাহফিলের কার্যক্রম শেষ হবে।
উদ্বোধনী বয়ানে চরমোনাইয়ের পীর আলহাজ হজরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘দুনিয়াবি উদ্দেশ্যে নয়, বরং পথভোলা মানুষকে আল্লাহর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্যই চরমোনাই মাহফিল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তাই এখানে দুনিয়াবি কোনও উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আসার প্রয়োজন নেই। যদি এমন কেউ এসে থাকেন, তবে নিয়ত পরিবর্তন করে আত্মশুদ্ধির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। যারা চরমোনাইতে নতুন এসেছেন, তারা দুনিয়ার ধ্যান-খেয়াল বিদায় করে দিয়ে আখেরাতের খেয়াল-ধ্যান অন্তরে জায়গা দিন।’
তিনি বলেন, ‘দিল থেকে বড়ত্ব এবং আমিত্ব ভাব বের করে দিয়ে আল্লাহর কুদরতি পায়ে নিজেকে বিলীন করে দিতে হবে। সদা-সর্বদা আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে দিলকে তরতাজা রেখে আল্লাহর ওলি হয়ে চরমোনাই থেকে বিদায় নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে।’
তিন দিনব্যাপী মাহফিলের প্রথমদিন বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের উদ্যোগে প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দিন সারা দেশ থেকে আগত ওলামায়ে কেরামদের নিয়ে ওলামা সম্মেলন ও শেষদিন সকালে সারা দেশ থেকে আগত ছাত্র-জনতাকে নিয়ে ছাত্র গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়াও মাহফিলে আগত যুবক ও শ্রমিকদের নিয়ে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এবং ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজনে হবে বিশেষ মতবিনিময় সভা।
মাহফিলে আগত মুসল্লিদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ১০০ শয্যা বিশিষ্ট অস্থায়ী মাহফিল হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। এতে ১১ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে আরও ৪০ জন চিকিৎসকের সমন্বয়ে চিকিৎসাসেবা পরিচালিত হচ্ছে। ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি নৌ অ্যাম্বুলেন্স মাহফিল হাসপাতালে কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে। মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়া রোগীকে তাৎক্ষণিক মাহফিল হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য নিযুক্ত রয়েছে বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী।
বাংলাস্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে
অনুষ্ঠিত এ মাহফিল হচ্ছে চরমোনাইর শততম মাহফিল। উদ্বোধনী দিনে মাহফিলে লাখো মুসল্লির সমাগম হয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় আখেরি বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী এ মাহফিলের কার্যক্রম শেষ হবে।
উদ্বোধনী বয়ানে চরমোনাইয়ের পীর আলহাজ হজরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘দুনিয়াবি উদ্দেশ্যে নয়, বরং পথভোলা মানুষকে আল্লাহর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্যই চরমোনাই মাহফিল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তাই এখানে দুনিয়াবি কোনও উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আসার প্রয়োজন নেই। যদি এমন কেউ এসে থাকেন, তবে নিয়ত পরিবর্তন করে আত্মশুদ্ধির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। যারা চরমোনাইতে নতুন এসেছেন, তারা দুনিয়ার ধ্যান-খেয়াল বিদায় করে দিয়ে আখেরাতের খেয়াল-ধ্যান অন্তরে জায়গা দিন।’
তিনি বলেন, ‘দিল থেকে বড়ত্ব এবং আমিত্ব ভাব বের করে দিয়ে আল্লাহর কুদরতি পায়ে নিজেকে বিলীন করে দিতে হবে। সদা-সর্বদা আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে দিলকে তরতাজা রেখে আল্লাহর ওলি হয়ে চরমোনাই থেকে বিদায় নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে।’
তিন দিনব্যাপী মাহফিলের প্রথমদিন বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের উদ্যোগে প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দিন সারা দেশ থেকে আগত ওলামায়ে কেরামদের নিয়ে ওলামা সম্মেলন ও শেষদিন সকালে সারা দেশ থেকে আগত ছাত্র-জনতাকে নিয়ে ছাত্র গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়াও মাহফিলে আগত যুবক ও শ্রমিকদের নিয়ে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এবং ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজনে হবে বিশেষ মতবিনিময় সভা।
মাহফিলে আগত মুসল্লিদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ১০০ শয্যা বিশিষ্ট অস্থায়ী মাহফিল হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। এতে ১১ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে আরও ৪০ জন চিকিৎসকের সমন্বয়ে চিকিৎসাসেবা পরিচালিত হচ্ছে। ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি নৌ অ্যাম্বুলেন্স মাহফিল হাসপাতালে কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে। মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়া রোগীকে তাৎক্ষণিক মাহফিল হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য নিযুক্ত রয়েছে বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী।
বাংলাস্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে