দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারে ২২ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকালে দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামানের কাছে এ প্রস্তাবনা জমা দেওয়া হয়।
ধানমন্ডির ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কার্যালয়ে সরাসরি উপস্থিত হয়ে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রস্তাবনা জমা দেন।
এসময় ইফতেখারুজ্জামানের সাথে গণঅধিকার পরিষদের প্রতিনিধিদলের সংক্ষিপ্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূলের জন্য দুদক সংস্কার কমিশনকে সহযোগিতা করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
দুদক সংস্কার কমিশনের কাছে গণঅধিকার পরিষদের প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে দুদক আইনের সংস্কারের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনকে প্রকৃত স্বাধীন, জবাবদিহিমূলক ও জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বিসিএসে দুদকের জন্য স্বতন্ত্র ক্যাডার চালু করতে হবে। বাংলাদেশের যাদের বাৎসরিক আয় ৩,৫০,০০০( তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা, তাদের প্রত্যেকের সম্পদের হিসাব বিবরণী প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দুদকের অফিসে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে। প্রতিটি জেলাতে দুদকের নিজস্ব কার্যালয় থাকতে হবে। এছাড়া দুদকের নিজস্ব বাহিনী থাকবে, যাদের কাজ হবে দুর্নীতি নির্মূলে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা এবং দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার করা।
আরও প্রস্তাব করেছে, রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দল ও নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে সার্চ কমিটির আইন প্রণয়ন ও সার্চ কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। সার্চ কমিটি দুদকের চেয়ারম্যান ও কমিশনারের সদস্য সংখ্যার দ্বিগুণ নাম চূড়ান্ত করে গণমাধ্যমে প্রচার ও গণশুনানির মাধ্যমে নাম চূড়ান্ত করবেন। রাষ্ট্রপতি নামগুলো থেকে চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগ করবেন। দুদকের সচিবও সার্চ কমিটির প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। দুর্নীতি দমন কমিশনে ১ জন চেয়ারম্যান, ৮ জন কমিশনার (৮ বিভাগ) থাকবেন। প্রতিটি থানাতে দুদকের অভিযোগ বক্স থাকবে, যাতে যে কেউ সহজে অভিযোগের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজের সন্ধান দিতে পারে। দুদকের হটলাইন ১০৬-কে আরও কার্যকরী করতে হবে এবং অভিযোগকারীর তথ্য সবসময় গোপন রাখতে হবে। অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ে ৮টি বিভাগের জন্য ৮টি যাচাই-বাছাই কমিটি থাকবে। যাচাই-বাছাই কমিটির প্রধান হবেন একজন কমিশনার। কমিটিতে আরও থাকবেন ১ জন ডিজি, ২ জন পরিচালক, ২ জন সহকারী পরিচালক।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, সহ-সভাপতি নাজমুস সাকিব, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, আইনজীবী অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. মো. মোমিনুল ইসলাম, পেশাজীবী অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক অ্যাড. মো. মেহেদী হাসান।
বাংলাস্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে
ধানমন্ডির ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কার্যালয়ে সরাসরি উপস্থিত হয়ে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রস্তাবনা জমা দেন।
এসময় ইফতেখারুজ্জামানের সাথে গণঅধিকার পরিষদের প্রতিনিধিদলের সংক্ষিপ্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূলের জন্য দুদক সংস্কার কমিশনকে সহযোগিতা করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
দুদক সংস্কার কমিশনের কাছে গণঅধিকার পরিষদের প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে দুদক আইনের সংস্কারের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনকে প্রকৃত স্বাধীন, জবাবদিহিমূলক ও জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বিসিএসে দুদকের জন্য স্বতন্ত্র ক্যাডার চালু করতে হবে। বাংলাদেশের যাদের বাৎসরিক আয় ৩,৫০,০০০( তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা, তাদের প্রত্যেকের সম্পদের হিসাব বিবরণী প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দুদকের অফিসে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে। প্রতিটি জেলাতে দুদকের নিজস্ব কার্যালয় থাকতে হবে। এছাড়া দুদকের নিজস্ব বাহিনী থাকবে, যাদের কাজ হবে দুর্নীতি নির্মূলে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা এবং দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার করা।
আরও প্রস্তাব করেছে, রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দল ও নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে সার্চ কমিটির আইন প্রণয়ন ও সার্চ কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। সার্চ কমিটি দুদকের চেয়ারম্যান ও কমিশনারের সদস্য সংখ্যার দ্বিগুণ নাম চূড়ান্ত করে গণমাধ্যমে প্রচার ও গণশুনানির মাধ্যমে নাম চূড়ান্ত করবেন। রাষ্ট্রপতি নামগুলো থেকে চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগ করবেন। দুদকের সচিবও সার্চ কমিটির প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। দুর্নীতি দমন কমিশনে ১ জন চেয়ারম্যান, ৮ জন কমিশনার (৮ বিভাগ) থাকবেন। প্রতিটি থানাতে দুদকের অভিযোগ বক্স থাকবে, যাতে যে কেউ সহজে অভিযোগের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজের সন্ধান দিতে পারে। দুদকের হটলাইন ১০৬-কে আরও কার্যকরী করতে হবে এবং অভিযোগকারীর তথ্য সবসময় গোপন রাখতে হবে। অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ে ৮টি বিভাগের জন্য ৮টি যাচাই-বাছাই কমিটি থাকবে। যাচাই-বাছাই কমিটির প্রধান হবেন একজন কমিশনার। কমিটিতে আরও থাকবেন ১ জন ডিজি, ২ জন পরিচালক, ২ জন সহকারী পরিচালক।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, সহ-সভাপতি নাজমুস সাকিব, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, আইনজীবী অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. মো. মোমিনুল ইসলাম, পেশাজীবী অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক অ্যাড. মো. মেহেদী হাসান।
বাংলাস্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে