যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের দিনই চীনের ওপর বাড়তি ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে চান নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এর ফলে নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হলে যুক্তরাষ্ট্র বা চীন কেউই জয়ী হবে না বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটনের চীনা দূতাবাস।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
লিউ পেংইউ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চীনের ওপর শুল্ক আরোপের বিষয়ে চীনের মত হলো—চীন-যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা পারস্পরিকভাবে উপকারী। কেউই বাণিজ্যযুদ্ধ বা শুল্ক যুদ্ধে জয়ী হতে পারবে না।’তিনি বলেন, ‘চীন মাদক চোরাচালান দমন করতে পদক্ষেপ নিয়েছে, যা গত বছর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাদক সম্পর্কিত আইন প্রয়োগ কার্যক্রমে চীন যেসব অগ্রগতি লাভ করেছে, তা যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করা হয়েছে।’
চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘চীন ইচ্ছাকৃতভাবে ফেন্টানিলের উপাদানযুক্ত রাসায়নিক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাহিত হতে দিচ্ছে—এমন ধারণা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বাস্তবতার বিপরীত প্রমাণিত হয়েছে।’
তবে বাস্তবতা বলছে, শি-বাইডেন গত বছর মাদক পাচার বন্ধে যৌথ প্রচেষ্টা পুনরায় শুরু করার বিষয়ে সম্মত হওয়ার পর ফেন্টানিল তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধের বিষয়ে অগ্রগতি হলেও তা ধীর গতির।
এর আগে স্থানীয় সময় সোমবার (২৫ নভেম্বর) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘২০ জানুয়ারি প্রথম নির্বাহী আদেশে আমি মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসা সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার জন্য প্রয়োজনীয় সব নথিতে স্বাক্ষর করব।’
এরপর আরেকটি পোস্টে ট্রাম্প জানান, তিনি মাদক চোরাচালান মোকাবিলায় ব্যর্থতার দায়ে আমদানি হওয়া চীনের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন।
ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসী ও আফিম থেকে সংশ্লেষিত উপায়ে তৈরি মাদক ফেন্টানিলের পাচার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তার এই পদক্ষেপগুলো বলবৎ থাকবে। ট্রাম্প বলেন, মেক্সিকো ও কানাডা-দুই দেশেরই অবৈধ অভিবাসী সংক্রান্ত এই দীর্ঘদিনের সমস্যা সহজেই সমাধান করার পূর্ণ অধিকার ও ক্ষমতা রয়েছে। আমরা তাদের কাছে এই ক্ষমতা ব্যবহারের দাবি করছি এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা তা করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বড় মূল্য দিতে হবে।
এবারের নির্বাচনী প্রচারণার সময়ই সব চীনা পণ্য আমদানির ওপর ৬০ শতাংশ বা তার বেশি শুল্ক আরোপ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এছাড়া মেক্সিকো থেকে আমদানি করা যানবাহনের ওপর এক হাজার শতাংশ বা তারও বেশি শুল্ক আরোপের কথা বলেছিলেন তিনি।
গত ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে বড় জয় পান ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি তিনি শপথ নেবেন। এরই মধ্যে নিজের মন্ত্রিসভা গোছানোর কাজটাও সেরে ফেলেছেন ট্রাম্প।
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে
তিন দেশকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
লিউ পেংইউ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চীনের ওপর শুল্ক আরোপের বিষয়ে চীনের মত হলো—চীন-যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা পারস্পরিকভাবে উপকারী। কেউই বাণিজ্যযুদ্ধ বা শুল্ক যুদ্ধে জয়ী হতে পারবে না।’তিনি বলেন, ‘চীন মাদক চোরাচালান দমন করতে পদক্ষেপ নিয়েছে, যা গত বছর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাদক সম্পর্কিত আইন প্রয়োগ কার্যক্রমে চীন যেসব অগ্রগতি লাভ করেছে, তা যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করা হয়েছে।’
চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘চীন ইচ্ছাকৃতভাবে ফেন্টানিলের উপাদানযুক্ত রাসায়নিক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাহিত হতে দিচ্ছে—এমন ধারণা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বাস্তবতার বিপরীত প্রমাণিত হয়েছে।’
তবে বাস্তবতা বলছে, শি-বাইডেন গত বছর মাদক পাচার বন্ধে যৌথ প্রচেষ্টা পুনরায় শুরু করার বিষয়ে সম্মত হওয়ার পর ফেন্টানিল তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধের বিষয়ে অগ্রগতি হলেও তা ধীর গতির।
এর আগে স্থানীয় সময় সোমবার (২৫ নভেম্বর) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘২০ জানুয়ারি প্রথম নির্বাহী আদেশে আমি মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসা সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার জন্য প্রয়োজনীয় সব নথিতে স্বাক্ষর করব।’
এরপর আরেকটি পোস্টে ট্রাম্প জানান, তিনি মাদক চোরাচালান মোকাবিলায় ব্যর্থতার দায়ে আমদানি হওয়া চীনের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন।
ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসী ও আফিম থেকে সংশ্লেষিত উপায়ে তৈরি মাদক ফেন্টানিলের পাচার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তার এই পদক্ষেপগুলো বলবৎ থাকবে। ট্রাম্প বলেন, মেক্সিকো ও কানাডা-দুই দেশেরই অবৈধ অভিবাসী সংক্রান্ত এই দীর্ঘদিনের সমস্যা সহজেই সমাধান করার পূর্ণ অধিকার ও ক্ষমতা রয়েছে। আমরা তাদের কাছে এই ক্ষমতা ব্যবহারের দাবি করছি এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা তা করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বড় মূল্য দিতে হবে।
এবারের নির্বাচনী প্রচারণার সময়ই সব চীনা পণ্য আমদানির ওপর ৬০ শতাংশ বা তার বেশি শুল্ক আরোপ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এছাড়া মেক্সিকো থেকে আমদানি করা যানবাহনের ওপর এক হাজার শতাংশ বা তারও বেশি শুল্ক আরোপের কথা বলেছিলেন তিনি।
গত ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে বড় জয় পান ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি তিনি শপথ নেবেন। এরই মধ্যে নিজের মন্ত্রিসভা গোছানোর কাজটাও সেরে ফেলেছেন ট্রাম্প।
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে
তিন দেশকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি