ফেসবুক বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অনলাইন ব্যবসা, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন ও অন্যান্য ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানিক কার্যক্রমের মাধ্যমে ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জন করা হচ্ছে। তবে অনেক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেন যে, তাদের ফেসবুক পেইজ বা আইডি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় এবং এর কারণ তারা জানেন না। কেন এমনটি ঘটে এবং কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে-
ফেসবুকের জন্য মেটা কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট কিছু কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড বা গাইডলাইন নির্ধারণ করেছে। সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুকের কমিউনিটি গাইডলাইন ছয়টি ভাগে বিভক্ত। এক- সহিংসতা ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ, দুই- নিরাপত্তা, তিন- আপত্তিজনক কনটেন্ট, চার- সত্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা, পাঁচ- মেধাস্বত্ব (ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি), ছয়. অনুরোধ ও সমাধান।
ফেসবুকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গাইডলাইনগুলো হলো সহিংসতা, অপরাধমূলক কার্যকলাপ ও নিরাপত্তা। যদি কোনো ব্যবহারকারী এই গাইডলাইন ভঙ্গ করে—যেমন, সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম, জাতিগত বা ধর্মীয় আক্রমণ, বা অশ্লীল কনটেন্ট শেয়ার করা-তাহলে তার আইডি বা পেইজ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ফেসবুকে অনেক সময় ভিডিও কন্টেন্টের মালিকানা নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়। ফেসবুকের রাইটস ম্যানেজার টুল ব্যবহার করে কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের ভিডিওর কপিরাইট সুরক্ষিত করেন। তবে, অনেক ক্ষেত্রে নতুন কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা এই টুল ব্যবহার করার অনুমতি পান না এবং তাদের কন্টেন্ট অন্য কেউ ডাউনলোড করে আপলোড করে ফেলে। এই ধরনের কপিরাইট লঙ্ঘন হলে, মূল কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের পেইজ বা আইডি ডিজেবল হয়ে যেতে পারে, যেহেতু ফেসবুকের এআই সিস্টেম কখনো কখনো ভুলক্রমে মূল ক্রিয়েটরের পেইজ বন্ধ করে দেয়।
গত কয়েক বছরে ফেসবুকের সাপোর্ট সিস্টেমে মানুষের পরিবর্তে রোবটের ব্যবহার শুরু হয়েছে, যার ফলে সিস্টেমে অনেক ত্রুটি দেখা যায়। রোবটগুলো যাচাই-বাছাই ছাড়া সরাসরি রিপোর্টের ভিত্তিতে আইডি বা পেইজ ডিজেবল করে দেয়। এতে কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই ব্যবহারকারীর পেইজ বা আইডি বন্ধ হয়ে যেতে পারে, এবং এটি কখনো কখনো সংশোধন করা কঠিন হয়।
ফেসবুকে ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট বা পেইজগুলো সাধারণত নিরাপদ থাকে, কারণ মেটা কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের ভেরিফাইড করে। তবে, কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা ভঙ্গ বা অজ্ঞাত কারণে এই ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টও ডিজেবল হয়ে যেতে পারে। এর কারণ হতে পারে অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে অসৎ রিপোর্ট বা মেটার রোবটিক সিস্টেমের ত্রুটি।
সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেসবুক আইডি বা পেইজ ডিজেবল হলে কীভাবে তা পুনরুদ্ধার করা যাবে তা নির্ভর করে বিভিন্ন কারণে। প্রথমত, ফেসবুকের গ্রাহক সেবা বিভাগে যোগাযোগ করতে হবে। এজন্য অবশ্যই আপনার পেইজ বা আইডির সঙ্গে নিবন্ধিত ই-মেইল বা ফোন নম্বরে অ্যাক্সেস থাকতে হবে, যাতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।
নিবন্ধন করা নাম: অ্যাকাউন্ট বা পেইজের নাম আপনার আইডেন্টিটি প্রমাণের জন্য আসল নাম হওয়া জরুরি। ড্রাইভিং লাইসেন্স, জাতীয় পরিচয়পত্র, বা জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেটের মাধ্যমে ফেসবুক আপনার পরিচয় যাচাই করতে পারে।
ফেসবুকের সাপোর্ট পেজ: ডিজেবল আইডি বা পেইজ ফিরে পেতে ফেসবুকের নির্দিষ্ট আবেদন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত। তবে কখনো কখনো প্রক্রিয়া শেষ হতে ছয় মাস বা এক বছরও লাগতে পারে, এবং কিছু ক্ষেত্রে পুনরুদ্ধার সম্ভব নাও হতে পারে।
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/ এসকে
ফেসবুকের জন্য মেটা কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট কিছু কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড বা গাইডলাইন নির্ধারণ করেছে। সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুকের কমিউনিটি গাইডলাইন ছয়টি ভাগে বিভক্ত। এক- সহিংসতা ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ, দুই- নিরাপত্তা, তিন- আপত্তিজনক কনটেন্ট, চার- সত্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা, পাঁচ- মেধাস্বত্ব (ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি), ছয়. অনুরোধ ও সমাধান।
ফেসবুকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গাইডলাইনগুলো হলো সহিংসতা, অপরাধমূলক কার্যকলাপ ও নিরাপত্তা। যদি কোনো ব্যবহারকারী এই গাইডলাইন ভঙ্গ করে—যেমন, সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম, জাতিগত বা ধর্মীয় আক্রমণ, বা অশ্লীল কনটেন্ট শেয়ার করা-তাহলে তার আইডি বা পেইজ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ফেসবুকে অনেক সময় ভিডিও কন্টেন্টের মালিকানা নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়। ফেসবুকের রাইটস ম্যানেজার টুল ব্যবহার করে কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের ভিডিওর কপিরাইট সুরক্ষিত করেন। তবে, অনেক ক্ষেত্রে নতুন কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা এই টুল ব্যবহার করার অনুমতি পান না এবং তাদের কন্টেন্ট অন্য কেউ ডাউনলোড করে আপলোড করে ফেলে। এই ধরনের কপিরাইট লঙ্ঘন হলে, মূল কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের পেইজ বা আইডি ডিজেবল হয়ে যেতে পারে, যেহেতু ফেসবুকের এআই সিস্টেম কখনো কখনো ভুলক্রমে মূল ক্রিয়েটরের পেইজ বন্ধ করে দেয়।
গত কয়েক বছরে ফেসবুকের সাপোর্ট সিস্টেমে মানুষের পরিবর্তে রোবটের ব্যবহার শুরু হয়েছে, যার ফলে সিস্টেমে অনেক ত্রুটি দেখা যায়। রোবটগুলো যাচাই-বাছাই ছাড়া সরাসরি রিপোর্টের ভিত্তিতে আইডি বা পেইজ ডিজেবল করে দেয়। এতে কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই ব্যবহারকারীর পেইজ বা আইডি বন্ধ হয়ে যেতে পারে, এবং এটি কখনো কখনো সংশোধন করা কঠিন হয়।
ফেসবুকে ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট বা পেইজগুলো সাধারণত নিরাপদ থাকে, কারণ মেটা কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের ভেরিফাইড করে। তবে, কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা ভঙ্গ বা অজ্ঞাত কারণে এই ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টও ডিজেবল হয়ে যেতে পারে। এর কারণ হতে পারে অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে অসৎ রিপোর্ট বা মেটার রোবটিক সিস্টেমের ত্রুটি।
সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেসবুক আইডি বা পেইজ ডিজেবল হলে কীভাবে তা পুনরুদ্ধার করা যাবে তা নির্ভর করে বিভিন্ন কারণে। প্রথমত, ফেসবুকের গ্রাহক সেবা বিভাগে যোগাযোগ করতে হবে। এজন্য অবশ্যই আপনার পেইজ বা আইডির সঙ্গে নিবন্ধিত ই-মেইল বা ফোন নম্বরে অ্যাক্সেস থাকতে হবে, যাতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।
নিবন্ধন করা নাম: অ্যাকাউন্ট বা পেইজের নাম আপনার আইডেন্টিটি প্রমাণের জন্য আসল নাম হওয়া জরুরি। ড্রাইভিং লাইসেন্স, জাতীয় পরিচয়পত্র, বা জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেটের মাধ্যমে ফেসবুক আপনার পরিচয় যাচাই করতে পারে।
ফেসবুকের সাপোর্ট পেজ: ডিজেবল আইডি বা পেইজ ফিরে পেতে ফেসবুকের নির্দিষ্ট আবেদন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত। তবে কখনো কখনো প্রক্রিয়া শেষ হতে ছয় মাস বা এক বছরও লাগতে পারে, এবং কিছু ক্ষেত্রে পুনরুদ্ধার সম্ভব নাও হতে পারে।
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/ এসকে