পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সহিংসতাপূর্ণ প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ায় সশস্ত্র সুন্নি ও শিয়া দলগুলোর মধ্যে ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছে। রাতভর চলা এই সহিংসতায় আহত হয়েছে আরো ২৫ জন।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলার একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার কুররাম জেলাতেই একটি মারাত্মক বন্দুক হামলায় ৪২ জন নিহত হয়।
আফগান সীমান্তের কাছে কুররাম জেলা উপজাতি এলাকা। কুররাম জেলায় কয়েক দশক ধরে সশস্ত্র সংখ্যালঘু শিয়া ও সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে ভূমি নিয়ে বিরোধ চলছে। শিয়া মুসলমানরা সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানের ২৪০ মিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ। যদিও দুই গোষ্ঠী সাধারণত শান্তিপূর্ণভাবে মিলেমিশে থাকে, কিন্তু কুররামে উত্তেজনা রয়েই গেছে।
ওই এলাকার ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গত রাতে বাগান ও বাচা কোটে সশস্ত্র ব্যক্তিরা দোকান, বাড়িঘর ও সরকারি সম্পত্তিতে আগুন দিয়েছে। কুররামের আলিজাই এবং বাগান উপজাতিদের মধ্যেও তীব্র বন্দুকযুদ্ধ চলেছে।
মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘গুরুতর পরিস্থিতির কারণে কুররামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। উভয় পক্ষই একে অপরকে ভারি এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করছে।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, আগুনে একটি বাজার পুড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে গুলির শব্দও শোনা যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবারের হামলার স্থানটিতেও সশস্ত্র ব্যক্তিরা অবস্থান করছিল এদিন।
গত বৃহস্পতিবারের অতর্কিত বন্দুক হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা বলেছেন, আততায়ীরা একটি গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে বাস ও গাড়িতে গুলি ছোড়া শুরু করে। ওই কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি এবং পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি। সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে
শনিবার (২৩ নভেম্বর) খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলার একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার কুররাম জেলাতেই একটি মারাত্মক বন্দুক হামলায় ৪২ জন নিহত হয়।
আফগান সীমান্তের কাছে কুররাম জেলা উপজাতি এলাকা। কুররাম জেলায় কয়েক দশক ধরে সশস্ত্র সংখ্যালঘু শিয়া ও সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে ভূমি নিয়ে বিরোধ চলছে। শিয়া মুসলমানরা সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানের ২৪০ মিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ। যদিও দুই গোষ্ঠী সাধারণত শান্তিপূর্ণভাবে মিলেমিশে থাকে, কিন্তু কুররামে উত্তেজনা রয়েই গেছে।
ওই এলাকার ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গত রাতে বাগান ও বাচা কোটে সশস্ত্র ব্যক্তিরা দোকান, বাড়িঘর ও সরকারি সম্পত্তিতে আগুন দিয়েছে। কুররামের আলিজাই এবং বাগান উপজাতিদের মধ্যেও তীব্র বন্দুকযুদ্ধ চলেছে।
মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘গুরুতর পরিস্থিতির কারণে কুররামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। উভয় পক্ষই একে অপরকে ভারি এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করছে।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, আগুনে একটি বাজার পুড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে গুলির শব্দও শোনা যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবারের হামলার স্থানটিতেও সশস্ত্র ব্যক্তিরা অবস্থান করছিল এদিন।
গত বৃহস্পতিবারের অতর্কিত বন্দুক হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা বলেছেন, আততায়ীরা একটি গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে বাস ও গাড়িতে গুলি ছোড়া শুরু করে। ওই কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি এবং পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি। সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে