গত ৬ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে শিল্প খাতে জ্বালানি সংকট নিয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রির আলোচনা সভায় এ দাবি করেন তিনি।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, জ্বালানি তেল আমাদানিতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের একটা স্পেসিফিকেশন (শর্ত) ছিল যে, যিনি জ্বালানি তেল সরবরাহ করবেন, তাকে রিফাইনারির মালিক হতে হবে। এটাকে পরিবর্তন করে দিয়ে আমরা বললাম, রিফাইনারির মালিক না হয়ে বড় সরবরাহকারী হলেও চলবে। এর ফলে ৬ মাসের আমদানিতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। যার বার্ষিক মূল্য ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
তিনি আরো বলেন, প্রতিবছর আমরা ৬ হাজার কোটি টাকার এলএনজি আমদানি করি। বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ ৩৬ হাজার কোটি টাকা। জ্বালানি খাতে ভর্তুকির পরিমাণ ২০ হাজার কোটি টাকা। তাহলে আমাদের অর্থনীতির মূল সমস্যা কী? অর্থনীতির মূল সমস্যা হলো সরকারি খাতের ক্রয়ে প্রতিযোগিতার অভাব ও অপচয়। সরকারি খাতে ব্যবসা করতে হলে আপনাকে মন্ত্রীকে চিনতে হবে, এর হাতে এটা দিতে হবে, ওর হাতে ওটা দিতে হবে ইত্যাদি। এটাই আমাদের মূল সমস্যা। এ সমস্যার দিকে যাতে আমরা আর চোখ না ফেরাই।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। চলতি সপ্তাহে ৪০টি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের দরপত্র দেয়া হবে।
ব্যবসায়ীদের সরকারি খাতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, এলএনজি আমদানিতে ২৩টা ফার্মের একটা তালিকা ছিল। আমরা এ তালিকা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। সামনে আরো অনেক সরকারি ক্রয় উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। আপনারা সেখানে বিনিয়োগ করুন। এ সুযোগ আপনারা সবসময় পাবেন না।
গত সরকারের আমলে অপ্রয়োজনীয় স্থানে বিনিয়োগ হয়েছে দাবি করে এ উপদেষ্টা বলেন, আমি কর্ণফুলী টানেলে গিয়েছিলাম। সেখানে আমার সঙ্গে যে গাড়িগুলো গিয়েছে, সেগুলো ছাড়া টানেলে আর কোনো গাড়ি নেই। যেখানে বিনিয়োগ প্রয়োজন, সেখানে বিনিয়োগ হয়নি। অপ্রয়োজনীয় স্থানে বিনিয়োগ হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিনসহ বিভিন্ন শিল্প খাতের উদ্যোক্তারা।
বাংলা স্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে শিল্প খাতে জ্বালানি সংকট নিয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রির আলোচনা সভায় এ দাবি করেন তিনি।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, জ্বালানি তেল আমাদানিতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের একটা স্পেসিফিকেশন (শর্ত) ছিল যে, যিনি জ্বালানি তেল সরবরাহ করবেন, তাকে রিফাইনারির মালিক হতে হবে। এটাকে পরিবর্তন করে দিয়ে আমরা বললাম, রিফাইনারির মালিক না হয়ে বড় সরবরাহকারী হলেও চলবে। এর ফলে ৬ মাসের আমদানিতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। যার বার্ষিক মূল্য ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
তিনি আরো বলেন, প্রতিবছর আমরা ৬ হাজার কোটি টাকার এলএনজি আমদানি করি। বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ ৩৬ হাজার কোটি টাকা। জ্বালানি খাতে ভর্তুকির পরিমাণ ২০ হাজার কোটি টাকা। তাহলে আমাদের অর্থনীতির মূল সমস্যা কী? অর্থনীতির মূল সমস্যা হলো সরকারি খাতের ক্রয়ে প্রতিযোগিতার অভাব ও অপচয়। সরকারি খাতে ব্যবসা করতে হলে আপনাকে মন্ত্রীকে চিনতে হবে, এর হাতে এটা দিতে হবে, ওর হাতে ওটা দিতে হবে ইত্যাদি। এটাই আমাদের মূল সমস্যা। এ সমস্যার দিকে যাতে আমরা আর চোখ না ফেরাই।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। চলতি সপ্তাহে ৪০টি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের দরপত্র দেয়া হবে।
ব্যবসায়ীদের সরকারি খাতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, এলএনজি আমদানিতে ২৩টা ফার্মের একটা তালিকা ছিল। আমরা এ তালিকা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। সামনে আরো অনেক সরকারি ক্রয় উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। আপনারা সেখানে বিনিয়োগ করুন। এ সুযোগ আপনারা সবসময় পাবেন না।
গত সরকারের আমলে অপ্রয়োজনীয় স্থানে বিনিয়োগ হয়েছে দাবি করে এ উপদেষ্টা বলেন, আমি কর্ণফুলী টানেলে গিয়েছিলাম। সেখানে আমার সঙ্গে যে গাড়িগুলো গিয়েছে, সেগুলো ছাড়া টানেলে আর কোনো গাড়ি নেই। যেখানে বিনিয়োগ প্রয়োজন, সেখানে বিনিয়োগ হয়নি। অপ্রয়োজনীয় স্থানে বিনিয়োগ হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিনসহ বিভিন্ন শিল্প খাতের উদ্যোক্তারা।
বাংলা স্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে