মাছে-ভাতে বাঙালি একথা তো এখন আর নেই। এখন ভর্তা-ভাতে বাঙালি। নিম্নমধ্যবিত্ত বাঙালির প্রথম পছন্দ ভর্তা-ভাত। বাঙালি বেঁচে আছে এই ভর্তা-ভাতের স্বাদে। কিন্তু ভর্তার প্রধান উপকরণ আলু আর ডিম এখন আর সহজলভ্য নয়। এটা এখন উপরতলার মানুষের খাবার। তাই গরীবের পাতে এখন আর ভর্তা জোটে না। এর একটাই কারণ দিন দিন আলুর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ডিমের দাম। যদিও এ সপ্তাহে ডিমের বাড়তি দাম লক্ষ্য করা যায়নি। তবে সবজিতেও স্বস্তি নেই। ভরা মৌসুমেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শীতের সবজি। মুরগির দাম তো অনেক আগেই বেড়ে আছে। আর চালের কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ চালের বাজারে কোন সুখবর নেই এ সপ্তাহে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সকালে মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ বাজারে সবজি কিনতে আসা আফজাল হোসেন আফসোসের সুরে বলেন, 'এখন সবজির সময়। এখনই এত দাম! এই সময় মুলা থাকে ৩০ টাকা। কিন্তু ৭০ টাকায় কেনা লাগতেছে।' শিরিন আখতার নামে আরেকজন ক্রেতা বলেন, 'নতুন আলু উঠছে অনেক আগেই। এখনও দেখি ১৪০ টাকা কেজি। স্বস্তিটা কোথায়? সব সবজির দাম বেশি।'
বাজার ঘুরে দেখা যায়, পুরনো আলু ৭০-৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু ১৫০ এর নিচে। পাইকারি বিক্রেতারা জানান, এখন পাইকারিতেই প্রতি কেজি আলু ৬৮ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ৫৮ থেকে ৬৪ টাকা ছিল। আলুর দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলুর মৌসুম এখন একবারে শেষদিকে। প্রতি বছর এ সময় দাম বাড়ে। তবে এ বছর শুরু থেকে আলু চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এরপর এখন বেড়ে আরও অস্থিতিশীল হয়েছে।
ফিরোজ আলম নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন, নতুন আলু না আসা পর্যন্ত দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে ভারত থেকে আলু আসছে, তারপরও আলুর সংকট আছে। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন হিমাগারগুলোতে আলুর দাম কেজিপ্রতি ৭ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। আলুর আড়তদার মো. সবুজ বলেন, হিমাগারে আলুর সংকট দেখা দেওয়ায় দাম বেড়েছে। মুন্সিগঞ্জ, বগুড়া, রাজশাহী, রংপুরে আলুর খুব সংকট চলছে, পাওয়া যাচ্ছে না। এ বছর অতিবৃষ্টি ও ঢলে দুই দফায় আলুর বিজ নষ্ট হওয়ায় সারাবছর আলুর দামে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।
দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকা। ফুলকপি ৫০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৫০ টাকা পিস, লাউ ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, কাঁচামরিচের কেজি ১২০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা কেজি, ঢেঁড়শ ১০০ টাকা কেজি, জালি ৬০ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে শিম ১২০ টাকা কেজি, মুলা ৭০ টাকা, শালগম ১৪০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, গাজর ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চড়া মূল্যের বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম ও ব্রয়লার মুরগি। চালের বাজারেও স্বস্তি নেই। মধ্যবিত্তদের খাবার তালিকায় থাকা আটাশ ও মিনিকেট চালের দাম আগের মতোই চড়া। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে। যা গত দুই সপ্তাহ ধরে এই দামেই বিক্রি হচ্ছে। এর আগে ১৮০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে ব্রয়লারের ডিমের ডজন। এদিকে ২০০ থেকে ২১০ টাকার মধ্যেই তিন সপ্তাহ ধরে ওঠানামা করছে ব্রয়লার মুরগির দাম।
বাজারের দোকানগুলোতে দেখা যায়, ২১০ টাকা দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করছেন দোকানিরা। তবে দাম লেখা থাকলেও দরদাম কমার সুযোগ আছে। সেক্ষেত্রে ২০০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি। চড়ামূল্যের বাজারে চালের দামের চাপ কমছে না মধ্যবিত্তদের।
প্রবীণ চাল বিক্রেতা নূর মোহাম্মদ জানান, পাইকারি বাজারের সঙ্গে কেজি প্রতি ২-৩ টাকা বাড়তি দামে খুচরায় চাল বিক্রি করেন তারা। এদিনের বাজার দর জানিয়ে তিনি বলেন, 'মিনিকেট তিনটা আইটেম আছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি। আটাশও তিনটা ক্যাটাগরি। ৫৮ থেকে ৬২ টাকা কেজি। এই দুইটার চাহিদা বেশি।' এই বিক্রেতা বলেন, 'নাজির চালের চাহিদা একটু কম। এটা ৭২ থেকে ৭৫ টাকা কেজি। কম দামের মধ্যে গুটি আছে ৫০ টাকা কেজি। এর চাইতে একটু ভালো আছে পাইজাম। ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা ভালোটা।'
বাংলাস্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে
সকালে মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ বাজারে সবজি কিনতে আসা আফজাল হোসেন আফসোসের সুরে বলেন, 'এখন সবজির সময়। এখনই এত দাম! এই সময় মুলা থাকে ৩০ টাকা। কিন্তু ৭০ টাকায় কেনা লাগতেছে।' শিরিন আখতার নামে আরেকজন ক্রেতা বলেন, 'নতুন আলু উঠছে অনেক আগেই। এখনও দেখি ১৪০ টাকা কেজি। স্বস্তিটা কোথায়? সব সবজির দাম বেশি।'
বাজার ঘুরে দেখা যায়, পুরনো আলু ৭০-৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু ১৫০ এর নিচে। পাইকারি বিক্রেতারা জানান, এখন পাইকারিতেই প্রতি কেজি আলু ৬৮ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ৫৮ থেকে ৬৪ টাকা ছিল। আলুর দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলুর মৌসুম এখন একবারে শেষদিকে। প্রতি বছর এ সময় দাম বাড়ে। তবে এ বছর শুরু থেকে আলু চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এরপর এখন বেড়ে আরও অস্থিতিশীল হয়েছে।
ফিরোজ আলম নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন, নতুন আলু না আসা পর্যন্ত দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে ভারত থেকে আলু আসছে, তারপরও আলুর সংকট আছে। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন হিমাগারগুলোতে আলুর দাম কেজিপ্রতি ৭ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। আলুর আড়তদার মো. সবুজ বলেন, হিমাগারে আলুর সংকট দেখা দেওয়ায় দাম বেড়েছে। মুন্সিগঞ্জ, বগুড়া, রাজশাহী, রংপুরে আলুর খুব সংকট চলছে, পাওয়া যাচ্ছে না। এ বছর অতিবৃষ্টি ও ঢলে দুই দফায় আলুর বিজ নষ্ট হওয়ায় সারাবছর আলুর দামে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।
দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকা। ফুলকপি ৫০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৫০ টাকা পিস, লাউ ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, কাঁচামরিচের কেজি ১২০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা কেজি, ঢেঁড়শ ১০০ টাকা কেজি, জালি ৬০ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে শিম ১২০ টাকা কেজি, মুলা ৭০ টাকা, শালগম ১৪০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, গাজর ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চড়া মূল্যের বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম ও ব্রয়লার মুরগি। চালের বাজারেও স্বস্তি নেই। মধ্যবিত্তদের খাবার তালিকায় থাকা আটাশ ও মিনিকেট চালের দাম আগের মতোই চড়া। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে। যা গত দুই সপ্তাহ ধরে এই দামেই বিক্রি হচ্ছে। এর আগে ১৮০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে ব্রয়লারের ডিমের ডজন। এদিকে ২০০ থেকে ২১০ টাকার মধ্যেই তিন সপ্তাহ ধরে ওঠানামা করছে ব্রয়লার মুরগির দাম।
বাজারের দোকানগুলোতে দেখা যায়, ২১০ টাকা দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করছেন দোকানিরা। তবে দাম লেখা থাকলেও দরদাম কমার সুযোগ আছে। সেক্ষেত্রে ২০০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি। চড়ামূল্যের বাজারে চালের দামের চাপ কমছে না মধ্যবিত্তদের।
প্রবীণ চাল বিক্রেতা নূর মোহাম্মদ জানান, পাইকারি বাজারের সঙ্গে কেজি প্রতি ২-৩ টাকা বাড়তি দামে খুচরায় চাল বিক্রি করেন তারা। এদিনের বাজার দর জানিয়ে তিনি বলেন, 'মিনিকেট তিনটা আইটেম আছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি। আটাশও তিনটা ক্যাটাগরি। ৫৮ থেকে ৬২ টাকা কেজি। এই দুইটার চাহিদা বেশি।' এই বিক্রেতা বলেন, 'নাজির চালের চাহিদা একটু কম। এটা ৭২ থেকে ৭৫ টাকা কেজি। কম দামের মধ্যে গুটি আছে ৫০ টাকা কেজি। এর চাইতে একটু ভালো আছে পাইজাম। ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা ভালোটা।'
বাংলাস্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে