জুলাই-আগস্টে গণহত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ট্রাইব্যুনালে আইনি লড়াই করতে চান সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না। তিনি বলেছেন, সুযোগ হলে আমি শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়াব।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরীর জামিন স্থগিত নিয়ে সাংবাদিকের ব্রিফিংয়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সিনিয়র আইনজীবী পান্না মনে করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার। সারাদেশে গণহারে মামলার সংখ্যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর সেদিনই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান তিনি। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে প্রথম মামলা হয় ১৫ আগস্ট। এরপর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন আদালত ও থানায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও অপহরণের অভিযোগে দেড় শতাধিক মামলা হয়। শেখ হাসিনা ছাড়াও তার সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য, দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়।
জুলাই-আগস্টে সারাদেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে অর্ধশতাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। গত ২৭ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনকে ১৮ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেন।
সেদিন জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক নয় মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। কিন্তু ভারতে থাকায় শেখ হাসিনাকে আনা সম্ভব হয়নি। পরে মামলার শুনানি শেষে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরীর জামিন স্থগিত নিয়ে সাংবাদিকের ব্রিফিংয়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সিনিয়র আইনজীবী পান্না মনে করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার। সারাদেশে গণহারে মামলার সংখ্যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর সেদিনই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান তিনি। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে প্রথম মামলা হয় ১৫ আগস্ট। এরপর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন আদালত ও থানায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও অপহরণের অভিযোগে দেড় শতাধিক মামলা হয়। শেখ হাসিনা ছাড়াও তার সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য, দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়।
জুলাই-আগস্টে সারাদেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে অর্ধশতাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। গত ২৭ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনকে ১৮ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেন।
সেদিন জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক নয় মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। কিন্তু ভারতে থাকায় শেখ হাসিনাকে আনা সম্ভব হয়নি। পরে মামলার শুনানি শেষে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে