গ্রামীণ জনবসতিতে চড়ুই পাখির দল হরহামেশাই দেখা গেলেও শহরের গল্পটা ভিন্ন। গাছপালাসহ আবাস কমে যাওয়ায় চিরচেনা চড়ুই পাখির দেখা মেলাই যেন ভার। তবে গোপালগঞ্জে দেখা মিলছে হাজার হাজার চড়ুই পাখির। বিকেল থেকে চড়ুই পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। পর্যাপ্ত খাবার, নিরাপদ আবাসস্থল পাওয়ার পাশাপাশি নিধন না করায় চড়ুই পাখির বিস্তার লাভ করেছে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের শহরতলীর এলাকা হরিদাসপুর খেয়া ঘাট। এই এলাকা এখন চড়ুই পাখির স্বর্গরাজ্য। আগের মতো বাসা-বাড়ির জানালা বা ছাদে এখন আর চড়ুই পাখির কিচিরমিচির শব্দ শোনা না গেলেও সূর্যাস্তের আগে দলবেঁধে ছুটে আসে চড়ুই পাখিরা। প্রতিদিন বিকেল হলেই দলবেঁধে ছুটে আসে হাজার হাজার চড়ুই পাখি। বিদ্যুতের তাঁরে ও গাছের ডালে বসে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে পাখিদের জীবনের গান। যেন তাদের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। মনে হয় যেন তারা সুখ-দুঃখের গল্প করছে একে অপরের সঙ্গে। চড়ুই পাখির কলরবে মুখোর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। সড়কের নিরন্তর যান চলাচলের শব্দও যেন ছাড়িয়ে যেতে পারেনি তাদের কলরব।
কয়েক বছর ধরেই এই এলাকাটি চড়ুই পাখির দখলে রয়েছে। রাত হলেও ওই এলাকার বিভিন্ন গাছে রাত্রি যাপন করে চড়ুই পাখিগুলো। পর্যাপ্ত খাবার, নিরাপদ আবাসস্থল পাওয়ার পাশাপাশি নিধন না করায় চড়ুই পাখির বিস্তার লাভ করেছে। পরিবেশ বান্ধব এ চড়ুই পাখি নিধন না করে রক্ষণাবেক্ষণের ফলে বেড়েছে। ফলে এলাকাবাসীসহ সড়ক দিয়ে চলাচলরত পথিকও থমকে দাঁড়ায় চড়ুই পাখি দেখতে। এমন দৃশ্য দেখে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকেন সবাই। কেউ কেউ ক্যামেরা মাধ্যমে ফ্রেমবন্দি করে রাখতে দেরি করেন না। চড়ুই পাখির এই মিলনমেলা দেখে তারা আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করে থাকেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাসিরুল আহম্মেদ বলেন, হরিদাসপুর খেয়া ঘাট এলাকায় গত ৮ বছর ধরে চড়ুই পাথির আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। নিরাপদ বাসস্থান মনে করা এবং এলাকাবাসী না ধরায় হাজারো পাখি এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছে। বিকেল হলে বৈদ্যুতিক তাড়ে ও বিভিন্ন গাছে উড়াউড়ি করে। কিচিরমিচির শব্দে পুরো এলাকা মাতিয়ে রাখে। আবার রাত হলেই গাছে ফিরে যায়। আমাদের অনেক ভালো লাগে।
পথচারী আবু লাইস শেখ বলেন, আমি সাতপাড় থেকে গোপালগঞ্জ শহরে যাচ্ছিলাম। পথে হরিদাসপুর খেয়া ঘাট এলাকায় পৌঁছালে হাজার হাজার চড়ুই পাখির উড়াউড়ি দেখে এখানে দাঁড়িয়ে দেখি। পাখিদের উড়াউড়ি দেখতে আর কিচিরমিচির শব্দ শুনতে খুব ভালো লাগে।
সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান কৃষ্ণ চন্দ্র ভট্টাচায্য বলেন, পাখি নিধনের ফলে কমে গেলেও করোনাকালীন সময়ের পর থেকে বেড়েছে চড়ুই পাখি। এ পাখি শুধু ফসলের উপকার করে তা নয় এটি চিত্তবিনোদনেরও একটি অংশ। আমরা যদি বাড়ির পাশে একটি ফলজ প্রজাতির গাছ রাখি তাহলে সেখানে বহু প্রজাতির পাখি আসবে। দিনের শেষে পাখিরা যখন নীড়ে ফিরে আসবে তখন তাদের কলতান শুনে মনে প্রশান্তি আসবে। এসব পাখি একদিকে প্রকৃতির সম্পদ যেমন তেমনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি এই প্রকৃতির সম্পদ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য টিকিয়ে রাখা আমাদের দায়িত্ব।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের শহরতলীর এলাকা হরিদাসপুর খেয়া ঘাট। এই এলাকা এখন চড়ুই পাখির স্বর্গরাজ্য। আগের মতো বাসা-বাড়ির জানালা বা ছাদে এখন আর চড়ুই পাখির কিচিরমিচির শব্দ শোনা না গেলেও সূর্যাস্তের আগে দলবেঁধে ছুটে আসে চড়ুই পাখিরা। প্রতিদিন বিকেল হলেই দলবেঁধে ছুটে আসে হাজার হাজার চড়ুই পাখি। বিদ্যুতের তাঁরে ও গাছের ডালে বসে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে পাখিদের জীবনের গান। যেন তাদের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। মনে হয় যেন তারা সুখ-দুঃখের গল্প করছে একে অপরের সঙ্গে। চড়ুই পাখির কলরবে মুখোর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। সড়কের নিরন্তর যান চলাচলের শব্দও যেন ছাড়িয়ে যেতে পারেনি তাদের কলরব।
কয়েক বছর ধরেই এই এলাকাটি চড়ুই পাখির দখলে রয়েছে। রাত হলেও ওই এলাকার বিভিন্ন গাছে রাত্রি যাপন করে চড়ুই পাখিগুলো। পর্যাপ্ত খাবার, নিরাপদ আবাসস্থল পাওয়ার পাশাপাশি নিধন না করায় চড়ুই পাখির বিস্তার লাভ করেছে। পরিবেশ বান্ধব এ চড়ুই পাখি নিধন না করে রক্ষণাবেক্ষণের ফলে বেড়েছে। ফলে এলাকাবাসীসহ সড়ক দিয়ে চলাচলরত পথিকও থমকে দাঁড়ায় চড়ুই পাখি দেখতে। এমন দৃশ্য দেখে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকেন সবাই। কেউ কেউ ক্যামেরা মাধ্যমে ফ্রেমবন্দি করে রাখতে দেরি করেন না। চড়ুই পাখির এই মিলনমেলা দেখে তারা আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করে থাকেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাসিরুল আহম্মেদ বলেন, হরিদাসপুর খেয়া ঘাট এলাকায় গত ৮ বছর ধরে চড়ুই পাথির আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। নিরাপদ বাসস্থান মনে করা এবং এলাকাবাসী না ধরায় হাজারো পাখি এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছে। বিকেল হলে বৈদ্যুতিক তাড়ে ও বিভিন্ন গাছে উড়াউড়ি করে। কিচিরমিচির শব্দে পুরো এলাকা মাতিয়ে রাখে। আবার রাত হলেই গাছে ফিরে যায়। আমাদের অনেক ভালো লাগে।
পথচারী আবু লাইস শেখ বলেন, আমি সাতপাড় থেকে গোপালগঞ্জ শহরে যাচ্ছিলাম। পথে হরিদাসপুর খেয়া ঘাট এলাকায় পৌঁছালে হাজার হাজার চড়ুই পাখির উড়াউড়ি দেখে এখানে দাঁড়িয়ে দেখি। পাখিদের উড়াউড়ি দেখতে আর কিচিরমিচির শব্দ শুনতে খুব ভালো লাগে।
সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান কৃষ্ণ চন্দ্র ভট্টাচায্য বলেন, পাখি নিধনের ফলে কমে গেলেও করোনাকালীন সময়ের পর থেকে বেড়েছে চড়ুই পাখি। এ পাখি শুধু ফসলের উপকার করে তা নয় এটি চিত্তবিনোদনেরও একটি অংশ। আমরা যদি বাড়ির পাশে একটি ফলজ প্রজাতির গাছ রাখি তাহলে সেখানে বহু প্রজাতির পাখি আসবে। দিনের শেষে পাখিরা যখন নীড়ে ফিরে আসবে তখন তাদের কলতান শুনে মনে প্রশান্তি আসবে। এসব পাখি একদিকে প্রকৃতির সম্পদ যেমন তেমনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি এই প্রকৃতির সম্পদ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য টিকিয়ে রাখা আমাদের দায়িত্ব।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে