ভারতীয় কোম্পানি আদানির বিদ্যুৎ আমদানির কর দেবে কে? কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর বলছে, কোনোভাবেই ওই শুল্ক ছাড় দেয়া হবে না। অন্যদিকে, আমদানিকারক বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বলছে, টাকা নেই তাদের। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বিদ্যুৎ আমদানিতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকির দাবি করেছে শুল্ক গোয়েন্দারা।
দেড় বছরের বেশি সময় ধরে শুল্ক পরিশোধ না করেই আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছে পিডিবি। এতে প্রায় ৪০ কোটি মার্কিন ডলার শুল্ক জমা হয়েছে। যা দেশীয় মুদ্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার মতো।
সম্প্রতি কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিডিবি শুল্ক মওকুফের আবেদন করলেও তা বিবেচনা করেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। শুল্ক পরিশোধ না করে পিডিপির এ বিদ্যুৎ আমদানিকে চোরাচালানের সঙ্গে তুলনা করেছেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ মুসফিকুর রহমান।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, তারা আমাদের কাছে শুল্ক সুবিধার জন্য যে আবেদন করেছে, সেটার সঙ্গে চুক্তি পাঠায়নি। চুক্তি না পাঠালে আমরা সুবিধা দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারি না। তারাও আর যোগাযোগ করেনি। তারা নিজেরাই নিজেদের শুল্ক মওকুফ করে পণ্যটা আমদানি করেছে। কাস্টমসের আইনে এটা শুধু শুল্ক ফাঁকির ঘটনা নয়, এটা স্পষ্টভাবে চোরাচালান হয়েছে। আইনগতভাবে দেখলে এই বিদ্যুৎ চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। রেজাউল করিম বলেন, ‘চিঠির মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট টাকার অংক আমরা পাইনি। মন্ত্রণালয়কে চিঠি লিখে করণীয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছি।’
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইজাজ হোসেন বলছেন, শুরু থেকেই আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থান ছিল অস্পষ্ট। চুক্তিটি যে দেশের স্বার্থবিরোধী, সেটিই এখন প্রকাশ পাচ্ছে। ইজাজ হোসেন আরও বলেন, ‘আমার সবকিছু বিসর্জন দিয়ে এমন একটা চুক্তি করবো, যেটা দেশের জন্য ক্ষতিকর? এখানে তাই হয়েছে। এখানে লুকোচুরি হয়েছে, চুক্তির আগে-পরে অনেক কিছু আমাদের পিডিবিকে জানতে দেয়া হয়নি। অবশ্যই আমাদেরকে সবকিছু জানিয়ে করা উচিত ছিল। কাস্টমসের ব্যাপারটাও অবশ্যই কোনো ভালো জিনিস না।’
সূত্র: সময় টিভি
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে
দেড় বছরের বেশি সময় ধরে শুল্ক পরিশোধ না করেই আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছে পিডিবি। এতে প্রায় ৪০ কোটি মার্কিন ডলার শুল্ক জমা হয়েছে। যা দেশীয় মুদ্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার মতো।
সম্প্রতি কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিডিবি শুল্ক মওকুফের আবেদন করলেও তা বিবেচনা করেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। শুল্ক পরিশোধ না করে পিডিপির এ বিদ্যুৎ আমদানিকে চোরাচালানের সঙ্গে তুলনা করেছেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ মুসফিকুর রহমান।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, তারা আমাদের কাছে শুল্ক সুবিধার জন্য যে আবেদন করেছে, সেটার সঙ্গে চুক্তি পাঠায়নি। চুক্তি না পাঠালে আমরা সুবিধা দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারি না। তারাও আর যোগাযোগ করেনি। তারা নিজেরাই নিজেদের শুল্ক মওকুফ করে পণ্যটা আমদানি করেছে। কাস্টমসের আইনে এটা শুধু শুল্ক ফাঁকির ঘটনা নয়, এটা স্পষ্টভাবে চোরাচালান হয়েছে। আইনগতভাবে দেখলে এই বিদ্যুৎ চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। রেজাউল করিম বলেন, ‘চিঠির মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট টাকার অংক আমরা পাইনি। মন্ত্রণালয়কে চিঠি লিখে করণীয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছি।’
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইজাজ হোসেন বলছেন, শুরু থেকেই আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থান ছিল অস্পষ্ট। চুক্তিটি যে দেশের স্বার্থবিরোধী, সেটিই এখন প্রকাশ পাচ্ছে। ইজাজ হোসেন আরও বলেন, ‘আমার সবকিছু বিসর্জন দিয়ে এমন একটা চুক্তি করবো, যেটা দেশের জন্য ক্ষতিকর? এখানে তাই হয়েছে। এখানে লুকোচুরি হয়েছে, চুক্তির আগে-পরে অনেক কিছু আমাদের পিডিবিকে জানতে দেয়া হয়নি। অবশ্যই আমাদেরকে সবকিছু জানিয়ে করা উচিত ছিল। কাস্টমসের ব্যাপারটাও অবশ্যই কোনো ভালো জিনিস না।’
সূত্র: সময় টিভি
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে