বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম বলেছেন, ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের ভবিষ্যৎ। ১৯৭১ সালে আমার অধীনে ৫ শত ছাত্রদের ট্রেনিং দিয়েছি। তারপর তারা বীরদর্পে কামানের গোলা ফিরিয়ে শত্রুর সাথে যুদ্ধ করেছে। বহু ছাত্র জীবন দিয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার পর ভেবেছিলাম এদেশে আর গণজাগরণ হবে না। দুঃশাসনের কারণে এদেশের সাধারণ মানুষ ও ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় নেমেছে। এবারে ছাত্রদের হাতে কোনো অস্ত্র ছিলো না, তাদের উপর হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। গুলি করে প্রায় দুই হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। তাদের অধিকাংশই ছাত্র। একাত্তরে যে ছাত্ররা দেশের স্বাধীনতার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে, বীরদর্পে লড়াই করেছে। আবারো এত বছর পর ছাত্রসমাজ রাস্তায় নেমে এসে ফ্যাসিজমের দুঃশাসন মোকাবেলা করেছে এবং গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশকে উম্মুক্ত করেছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) ভোলার লালমোহন করিমুন্নেছা হাফিজ মহিলা কলেজে সংবর্ধণা ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্বাছ উদ্দিনের সভাপতিত্বে মেজর হাফিজ আরো বলেন, ১৯৭১ সালের আগে আমরা পাকিস্তানিদের একটি কলোনিতে ছিলাম। আমাদের কোনো অধিকার ছিলো না। নির্যাতিত ছিলাম। তখন দেশে গণতন্ত্র ছিলো না। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আমাদের অনেক আত্মহুতি দিতে হয়েছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের হাজার হাজার নিরিহ মানুষ যার মধ্যে অনেক ছাত্রছাত্রীকে হত্যা করেছিলো। এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে অস্ত্রধারণ করে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা ছাড়া আমাদের আর বিকল্প কোনো পথ ছিলো না। তখন আমরা গড়েছিলাম মুক্তি বাহিনী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন এক বীরপুরুষ। যার নাম মেজর জিয়াউর রহমান। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ইতিহাসবিকৃত হয়ে গেছে। কারা দেশটাকে স্বাধীন করেছে জনগণকে জানতে দেয়া হয়নি। এটি রাজনীতিবীদরা সুকৌশলে আড়াল করে রাখেন। জাতিকে ধারণা দেয়া হয়েছে কয়েকজন ব্যাক্তির কারণে এই দেশ স্বাধীন হয়ে গিয়েছে। অনেক উচ্চমূল্যে আমাদেরকে স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি।
হাফিজ আরো বলেন, একটি জাতিকে উন্নত করতে হলে শিক্ষাব্যবস্থার মানউন্নয়ন একান্ত অপরিহার্য।
এদেশের মানুষ শিক্ষিত হলেই তারা দেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাবে। এক সময় লালমোহন একটি অবহেলিত জনপদ ছিলো। শিক্ষার দিক দিয়েও পিছিয়ে ছিলো। এ চিন্তা করে এখানে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করেছি।
আলোচনার আগে কলেজের শিক্ষকবৃন্দ প্রধান অতিথি, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও এডহক
কমিটির সভাপতি মেজর হাফিজকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। এরপর নতুন শিক্ষার্থীদেরকে ফুলদিয়ে বরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম আহবায়ক মো. ফরিদ উদ্দিন, সোহেল আজিজ শাহীন, শফিউল্যাহ হাওলাদার, লালমোহন পৌর বিএনপির আহবায়ক সাদেক ঝান্টু, কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীবৃন্দ।
বাংলা স্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে
রোববার (১৭ নভেম্বর) ভোলার লালমোহন করিমুন্নেছা হাফিজ মহিলা কলেজে সংবর্ধণা ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্বাছ উদ্দিনের সভাপতিত্বে মেজর হাফিজ আরো বলেন, ১৯৭১ সালের আগে আমরা পাকিস্তানিদের একটি কলোনিতে ছিলাম। আমাদের কোনো অধিকার ছিলো না। নির্যাতিত ছিলাম। তখন দেশে গণতন্ত্র ছিলো না। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আমাদের অনেক আত্মহুতি দিতে হয়েছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের হাজার হাজার নিরিহ মানুষ যার মধ্যে অনেক ছাত্রছাত্রীকে হত্যা করেছিলো। এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে অস্ত্রধারণ করে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা ছাড়া আমাদের আর বিকল্প কোনো পথ ছিলো না। তখন আমরা গড়েছিলাম মুক্তি বাহিনী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন এক বীরপুরুষ। যার নাম মেজর জিয়াউর রহমান। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ইতিহাসবিকৃত হয়ে গেছে। কারা দেশটাকে স্বাধীন করেছে জনগণকে জানতে দেয়া হয়নি। এটি রাজনীতিবীদরা সুকৌশলে আড়াল করে রাখেন। জাতিকে ধারণা দেয়া হয়েছে কয়েকজন ব্যাক্তির কারণে এই দেশ স্বাধীন হয়ে গিয়েছে। অনেক উচ্চমূল্যে আমাদেরকে স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি।
হাফিজ আরো বলেন, একটি জাতিকে উন্নত করতে হলে শিক্ষাব্যবস্থার মানউন্নয়ন একান্ত অপরিহার্য।
এদেশের মানুষ শিক্ষিত হলেই তারা দেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাবে। এক সময় লালমোহন একটি অবহেলিত জনপদ ছিলো। শিক্ষার দিক দিয়েও পিছিয়ে ছিলো। এ চিন্তা করে এখানে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করেছি।
আলোচনার আগে কলেজের শিক্ষকবৃন্দ প্রধান অতিথি, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও এডহক
কমিটির সভাপতি মেজর হাফিজকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। এরপর নতুন শিক্ষার্থীদেরকে ফুলদিয়ে বরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম আহবায়ক মো. ফরিদ উদ্দিন, সোহেল আজিজ শাহীন, শফিউল্যাহ হাওলাদার, লালমোহন পৌর বিএনপির আহবায়ক সাদেক ঝান্টু, কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীবৃন্দ।
বাংলা স্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে