ইচ্ছা শক্তি আর শ্রম মানুষের ভাগ্য বদলে দিতে পারে এই আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজের ভাগ্য বদলে ফেলেছেন নওগাঁর পাঁচবিবি উপজেলার আয়মা রসুলপুর ইউনিয়নের মালিদহ গ্রামের আবুল বাশারের পুত্র এসএসসি পরীক্ষার্থী আবু হাসান । এ কাজে সহযোগিতা করেছেন সৌদি প্রবাসী বড় ভাই সাইফুল ইসলাম ও বৃদ্ধ বাবা আবুল বাশার।
নিজের জায়গা জমি বলতে আবুল বাশারের আছে মাত্র ১৭ শতকের বসতভিটা। আবাদি জমি বলতে কিছুই নেই। পৈত্রিক সূত্রে তেমন কোন সম্পত্তি না পেলেও বাড়িতে গরু-ছাগল পালন, এনজিওর লোন আর জমি বর্গা নিয়ে তিন সন্তানের পড়ালেখার পাশাপাশি অতি কষ্টেই চলতো আবুল বাশারের সংসার। একটা সময় বড় ছেলে সাইফুলের বিদেশে চাকরির সুযোগ আসে। সেই সুযোগ হাতছাড়া করেননি আবুল বাশার। এনজিওর ঋণ, আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ধার-দেনা আর বাড়ির গরু ছাগল বিক্রি করে ছেলেকে পাঠান সৌদি আরবে। ছেলে সাইফুল সৌদি আরবে একটি রেস্টুরেন্টে চাকরির সুবাদে সেখানে কোয়েল পাখির রোস্টের চাহিদা দেখে বাড়িতে কোয়েল পাখির পালনের পরামর্শ দেন বাবাকে।
ছেলের পরামর্শে আবুল বাশার প্রথমে ৫ হাজার কোয়েল পাখির বাচ্চা দিয়ে শুরু করেন খামার। সৌদি থেকে সাইফুলের দিকনির্দেশনা আর আবুল বাশারের ছোট ছেলে স্কুলপড়ুয়া আবু হাসানের কঠোর পরিশ্রমে লালন পালন করতে থাকেন কোয়েল পাখি। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি আবুল বাশারকে। তাদের কোয়েল পাখির খামার থেকে এখন প্রতি মাসে আয় লক্ষাধিক টাকা।
আবুল বাশারের ছোট ছেলে আবু হাসান জানায়, সৌদি আরব থেকে বড় ভাই সাইফুলের দিকনির্দেশনায় পড়াশুনার পাশাপাশি কোয়েল পাখির খামার দেখাশুনা করি। ৫ হাজার কোয়েল পাখির পিছনে প্রতিদিন তিন হাজার টাকা করে খরচ হয়। খামারে নেয়া বাচ্চা পাখির বয়স ৪৫ দিন পর থেকে প্রতিটি স্ত্রী পাখি প্রতিদিন ডিম দিতে শুরু করে। কোন কোন পাখি দিনে দুটি করেও ডিম দেয়। প্রতিদিন খামার থেকে গড়ে ১৫ শ থেকে দুই হাজার ডিম সংগ্রহ করা হয় । প্রতি পিচ ডিম আড়াই টাকা থেকে তিন টাকা পিচ হিসাবে ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পাইকারি বিক্রয় করি। প্রতিটি স্ত্রী পাখি ১৪ মাস বয়স পর্যন্ত ডিম দেয়। ১৪ মাস পর ৫৫/৬০ টাকা দরে প্রতিটি কোয়েল পাখি পাইকারি বিক্রি করা হয়। ডিম ও কোয়েল পাখি বিক্রয় করে খরচ বাদে মাসে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আয় হয় বলে তিনি জানান।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, কোয়েল পাখিগুলি ছোট হওয়ার কারণে কম জায়গায় অনেক পাখি পালন করা যায়। আবার খাবার ও ঔষধ খরচও কম। সে কারণে কোয়েল পাখির খামার একটি লাভজনক ব্যবসা। অন্যান্য পশুপালনে রোগ বালাইয়ের ঝুঁকির সম্ভাবনা বেশি থাকলেও কোয়েলের ক্ষেত্রে তা একেবারে কম। শুধুমাত্র রাণীক্ষেত ভ্যাকসিন সময়মত দিতে পারলে ওই পাখির আর কোন সমস্যা দেখা দেয় না। উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর থেকে উদ্যোক্তা তৈরিতে খামারীদের সব ধরনের সযোগিতা করা হয় বলে তিনি জানান ।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/ এসকে
নিজের জায়গা জমি বলতে আবুল বাশারের আছে মাত্র ১৭ শতকের বসতভিটা। আবাদি জমি বলতে কিছুই নেই। পৈত্রিক সূত্রে তেমন কোন সম্পত্তি না পেলেও বাড়িতে গরু-ছাগল পালন, এনজিওর লোন আর জমি বর্গা নিয়ে তিন সন্তানের পড়ালেখার পাশাপাশি অতি কষ্টেই চলতো আবুল বাশারের সংসার। একটা সময় বড় ছেলে সাইফুলের বিদেশে চাকরির সুযোগ আসে। সেই সুযোগ হাতছাড়া করেননি আবুল বাশার। এনজিওর ঋণ, আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ধার-দেনা আর বাড়ির গরু ছাগল বিক্রি করে ছেলেকে পাঠান সৌদি আরবে। ছেলে সাইফুল সৌদি আরবে একটি রেস্টুরেন্টে চাকরির সুবাদে সেখানে কোয়েল পাখির রোস্টের চাহিদা দেখে বাড়িতে কোয়েল পাখির পালনের পরামর্শ দেন বাবাকে।
ছেলের পরামর্শে আবুল বাশার প্রথমে ৫ হাজার কোয়েল পাখির বাচ্চা দিয়ে শুরু করেন খামার। সৌদি থেকে সাইফুলের দিকনির্দেশনা আর আবুল বাশারের ছোট ছেলে স্কুলপড়ুয়া আবু হাসানের কঠোর পরিশ্রমে লালন পালন করতে থাকেন কোয়েল পাখি। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি আবুল বাশারকে। তাদের কোয়েল পাখির খামার থেকে এখন প্রতি মাসে আয় লক্ষাধিক টাকা।
আবুল বাশারের ছোট ছেলে আবু হাসান জানায়, সৌদি আরব থেকে বড় ভাই সাইফুলের দিকনির্দেশনায় পড়াশুনার পাশাপাশি কোয়েল পাখির খামার দেখাশুনা করি। ৫ হাজার কোয়েল পাখির পিছনে প্রতিদিন তিন হাজার টাকা করে খরচ হয়। খামারে নেয়া বাচ্চা পাখির বয়স ৪৫ দিন পর থেকে প্রতিটি স্ত্রী পাখি প্রতিদিন ডিম দিতে শুরু করে। কোন কোন পাখি দিনে দুটি করেও ডিম দেয়। প্রতিদিন খামার থেকে গড়ে ১৫ শ থেকে দুই হাজার ডিম সংগ্রহ করা হয় । প্রতি পিচ ডিম আড়াই টাকা থেকে তিন টাকা পিচ হিসাবে ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পাইকারি বিক্রয় করি। প্রতিটি স্ত্রী পাখি ১৪ মাস বয়স পর্যন্ত ডিম দেয়। ১৪ মাস পর ৫৫/৬০ টাকা দরে প্রতিটি কোয়েল পাখি পাইকারি বিক্রি করা হয়। ডিম ও কোয়েল পাখি বিক্রয় করে খরচ বাদে মাসে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আয় হয় বলে তিনি জানান।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, কোয়েল পাখিগুলি ছোট হওয়ার কারণে কম জায়গায় অনেক পাখি পালন করা যায়। আবার খাবার ও ঔষধ খরচও কম। সে কারণে কোয়েল পাখির খামার একটি লাভজনক ব্যবসা। অন্যান্য পশুপালনে রোগ বালাইয়ের ঝুঁকির সম্ভাবনা বেশি থাকলেও কোয়েলের ক্ষেত্রে তা একেবারে কম। শুধুমাত্র রাণীক্ষেত ভ্যাকসিন সময়মত দিতে পারলে ওই পাখির আর কোন সমস্যা দেখা দেয় না। উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর থেকে উদ্যোক্তা তৈরিতে খামারীদের সব ধরনের সযোগিতা করা হয় বলে তিনি জানান ।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/ এসকে