গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদরা পদ ভাগাভাগিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, বাচ্চারা গুলির সামনে দাঁড়ালো, বিপ্লব হলো; এখন পোস্ট ভাগাভাগি করছেন মুরুব্বিরা। আর বলছেন, বাচ্চারা কী বুঝবে; কী পারবে; আর কী করবে? আমরা বলবো- তরুণদের মতামত নেন, উপযুক্ত কাজে লাগান। আপনাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং তরুণদের সাহসিকতার সমন্বয়ে আগামীর বাংলাদেশ গঠনে নজর দিতে হবে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) ‘শিক্ষা অধিকার সংসদ’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, সব বাবা-মা সন্তানকে একটা কথা বলেন, তা হলো- তোর আগে আমি হইছি, নাকি আমার আগে তুই? এ কথাটার ওজন অনেক বেশি। এ নিয়ে বিতর্কে গেলে সন্তানের আর কিছুই বলার থাকে না। মানে এ কথা বলার মাধ্যমে তরুণদের পুরোপুরি স্টপ করে দেওয়া হয়। কারণ বাবা-মায়ের আগে তো আমি পৃথিবীতে আসিনি।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে এটা বলা হয়ে আসছে যে, পৃথিবীতে যে আগে আসছেন, তিনিই বেশি জানবেন। কিন্তু আমরা যারা এ প্রজন্মের আছি, তারা এ জায়গাটাতে নোকতা দিয়ে রাখতে চাই। মনে রাখতে হবে, অলরেডি এ নিয়ে একটা জেনারেশন কনফ্লিক্ট তৈরি হয়েছে। সেটা সামনের দিনে সমাধান করতে না পারলে এ জাতির জন্য আরও বড় একটি দুভার্গ্যের কারণ হতে যাচ্ছে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, তরুণ প্রজন্মের যারা আছেন, তাদের সঙ্গে আমরা যখন আলোচনা করি; কথা বলি, তখন কিন্তু বিএনপি, জামায়াত, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শিবির, ছাত্রদল; কী করছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করি না। আমাদের আলোচনা হয়, সিস্টেম নিয়ে; কীভাবে এগুলোতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা যায়, তা নিয়ে আমরা ভাবছি।
তিনি বলেন, মুরুব্বিরা কী বলছেন; কী করছেন; তা নিয়ে আলোচনায় সময় ব্যয় করছি না। কারণ আমরা মুরুব্বিদের ওপর ক্ষুব্ধ। তারা আমাদের উপযুক্তভাবে কাজে লাগাতে পারছেন না। আমি এখানে ইউজ শব্দটা ব্যবহার করছি না। আমি বলছি, তারা উপযুক্ত কাজে ইতিবাচকভাবে আমাদের কাজে লাগিয়ে দেশ গড়ার চিন্তা-ভাবনাটাও করছেন না।
সংগঠনের সদস্যসচিব এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক শাহনেওয়াজ খান চন্দ সভায় লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন।
এতে সব পাঠ্যপুস্তক থেকে রাজনৈতিক প্রচারণামূলক ছবি, অনুচ্ছেদ, শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনা এবং তাদের পরিবারের ও তৎকালীন সরকারের বন্দনা সংবলিত পাঠ্য বিষয়বস্তু অপসারণ করার দাবিও জানানো হয়।
বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে
তিনি বলেন, বাচ্চারা গুলির সামনে দাঁড়ালো, বিপ্লব হলো; এখন পোস্ট ভাগাভাগি করছেন মুরুব্বিরা। আর বলছেন, বাচ্চারা কী বুঝবে; কী পারবে; আর কী করবে? আমরা বলবো- তরুণদের মতামত নেন, উপযুক্ত কাজে লাগান। আপনাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং তরুণদের সাহসিকতার সমন্বয়ে আগামীর বাংলাদেশ গঠনে নজর দিতে হবে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) ‘শিক্ষা অধিকার সংসদ’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, সব বাবা-মা সন্তানকে একটা কথা বলেন, তা হলো- তোর আগে আমি হইছি, নাকি আমার আগে তুই? এ কথাটার ওজন অনেক বেশি। এ নিয়ে বিতর্কে গেলে সন্তানের আর কিছুই বলার থাকে না। মানে এ কথা বলার মাধ্যমে তরুণদের পুরোপুরি স্টপ করে দেওয়া হয়। কারণ বাবা-মায়ের আগে তো আমি পৃথিবীতে আসিনি।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে এটা বলা হয়ে আসছে যে, পৃথিবীতে যে আগে আসছেন, তিনিই বেশি জানবেন। কিন্তু আমরা যারা এ প্রজন্মের আছি, তারা এ জায়গাটাতে নোকতা দিয়ে রাখতে চাই। মনে রাখতে হবে, অলরেডি এ নিয়ে একটা জেনারেশন কনফ্লিক্ট তৈরি হয়েছে। সেটা সামনের দিনে সমাধান করতে না পারলে এ জাতির জন্য আরও বড় একটি দুভার্গ্যের কারণ হতে যাচ্ছে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, তরুণ প্রজন্মের যারা আছেন, তাদের সঙ্গে আমরা যখন আলোচনা করি; কথা বলি, তখন কিন্তু বিএনপি, জামায়াত, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শিবির, ছাত্রদল; কী করছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করি না। আমাদের আলোচনা হয়, সিস্টেম নিয়ে; কীভাবে এগুলোতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা যায়, তা নিয়ে আমরা ভাবছি।
তিনি বলেন, মুরুব্বিরা কী বলছেন; কী করছেন; তা নিয়ে আলোচনায় সময় ব্যয় করছি না। কারণ আমরা মুরুব্বিদের ওপর ক্ষুব্ধ। তারা আমাদের উপযুক্তভাবে কাজে লাগাতে পারছেন না। আমি এখানে ইউজ শব্দটা ব্যবহার করছি না। আমি বলছি, তারা উপযুক্ত কাজে ইতিবাচকভাবে আমাদের কাজে লাগিয়ে দেশ গড়ার চিন্তা-ভাবনাটাও করছেন না।
সংগঠনের সদস্যসচিব এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক শাহনেওয়াজ খান চন্দ সভায় লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন।
এতে সব পাঠ্যপুস্তক থেকে রাজনৈতিক প্রচারণামূলক ছবি, অনুচ্ছেদ, শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনা এবং তাদের পরিবারের ও তৎকালীন সরকারের বন্দনা সংবলিত পাঠ্য বিষয়বস্তু অপসারণ করার দাবিও জানানো হয়।
বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে