কারাবন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে কোনো আলোচনা বা চুক্তিতে যাবে না দেশটির সেনাবাহিনী। বর্তমানে পাকিস্তানের আদিয়ালা জেলে বন্দি আছেন ইমরান খান। সিনিয়র এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য গার্ডিয়ান।
এতে বলা হয়, ইমরান খান গত জুন থেকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে নিজের কারামুক্তির বিষয়ে একটি ‘নিঃশর্ত’ চুক্তির বিষয়ে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে তাঁর সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তি বা আলোচনায় বসতে চায় না পাকিস্তানের সামরিক কোনো কর্মকর্তা।
এ বিষয়টি জানতে ইমরান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে দ্য গার্ডিয়ানের সাংবাদিক। ইমরানের আইনজীবীর মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে গার্ডিয়ান। সামরিক বাহিনীর কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে ইমরানের ব্যক্তিগত পর্যায়ের কোনো যোগাযোগ নেই। তবে ইমরান খান তার প্রচেষ্টার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।
গার্ডিয়ানের প্রশ্নের জবাবে ইমরান বলেন, জনগণের স্বার্থেই সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। এখানে তাঁর ব্যক্তিগত কোনো অভিলাষ নেই। পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ন করে এমন কোনো চুক্তি করতে চান না ইমরান খান। জীবনের শেষ দিন পর্যন্তও যদি তাকে কারাবন্দি থাকতে হয় তবুও তিনি নীতির সঙ্গে কোনো ধরনের আপস করবেন না।
গার্ডিয়ান বলছে, ইমরান খান ২০১৮ সালে সেনাবাহিনীর সমর্থনেই পাকিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছিলেন। এরপর ইমরানের রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি সন্তুষ্ট করতে পারেনি সামরিক কর্মকর্তাদের। যার জেরেই তাঁকে ২০২২ সালে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। ইমরান সরকারের পতন এবং তাঁকে কারাবন্দি করার পিছনে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জড়িত বলে অভিযোগ করে আসছে তেহরিকে ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) নেতারা। এরপর থেকেই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বেশ সরব হয়ে উঠেন ইমরান খান। তাদের বিরুদ্ধে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন তিনি।
বর্তমানে শতাধিক মামলার জেরে কারাবন্দি রয়েছেন ইমরান খান। দিন দিন তার বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে সামরিক বাহিনী এবং পাকিস্তানের সরকার। রুজু হচ্ছে নতুন নতুন মামলা। এই পরিস্থিতিতে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আলোচনার এই প্রস্তাবকে ইমরানের নতুন কৌশল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে সামরিক বাহিনী তাতে রাজি নয় বলে একাধিক সূত্র গার্ডিয়ানকে নিশ্চিত করেছে।
এ বছরের জুনে ‘শর্তসাপেক্ষে’পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রকাশ্য আলাপের প্রস্তাব দেন ইমরান। তবে এক্ষেত্রে ইমরানের দাবি হচ্ছে সেনাবাহিনীকে ‘স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ’নির্বাচন দিতে হবে। কেননা তিনি এবং তাঁর দল তেহরিকে ইনসাফ পার্টি (পিটিআই) মনে করে যে, ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন অগণতান্ত্রিক উপায়ে করা হয়েছিল যেখানে জনগণ তাঁদের পছন্দ মতো প্রার্থী বাছাইয়ের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে পপুলার ভোটে পিটিআই প্রার্থীরাই জয়ী হয়েছে বলে দাবি তাদের।
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/ এসকে
এতে বলা হয়, ইমরান খান গত জুন থেকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে নিজের কারামুক্তির বিষয়ে একটি ‘নিঃশর্ত’ চুক্তির বিষয়ে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে তাঁর সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তি বা আলোচনায় বসতে চায় না পাকিস্তানের সামরিক কোনো কর্মকর্তা।
এ বিষয়টি জানতে ইমরান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে দ্য গার্ডিয়ানের সাংবাদিক। ইমরানের আইনজীবীর মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে গার্ডিয়ান। সামরিক বাহিনীর কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে ইমরানের ব্যক্তিগত পর্যায়ের কোনো যোগাযোগ নেই। তবে ইমরান খান তার প্রচেষ্টার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।
গার্ডিয়ানের প্রশ্নের জবাবে ইমরান বলেন, জনগণের স্বার্থেই সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। এখানে তাঁর ব্যক্তিগত কোনো অভিলাষ নেই। পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ন করে এমন কোনো চুক্তি করতে চান না ইমরান খান। জীবনের শেষ দিন পর্যন্তও যদি তাকে কারাবন্দি থাকতে হয় তবুও তিনি নীতির সঙ্গে কোনো ধরনের আপস করবেন না।
গার্ডিয়ান বলছে, ইমরান খান ২০১৮ সালে সেনাবাহিনীর সমর্থনেই পাকিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছিলেন। এরপর ইমরানের রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি সন্তুষ্ট করতে পারেনি সামরিক কর্মকর্তাদের। যার জেরেই তাঁকে ২০২২ সালে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। ইমরান সরকারের পতন এবং তাঁকে কারাবন্দি করার পিছনে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জড়িত বলে অভিযোগ করে আসছে তেহরিকে ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) নেতারা। এরপর থেকেই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বেশ সরব হয়ে উঠেন ইমরান খান। তাদের বিরুদ্ধে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন তিনি।
বর্তমানে শতাধিক মামলার জেরে কারাবন্দি রয়েছেন ইমরান খান। দিন দিন তার বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে সামরিক বাহিনী এবং পাকিস্তানের সরকার। রুজু হচ্ছে নতুন নতুন মামলা। এই পরিস্থিতিতে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আলোচনার এই প্রস্তাবকে ইমরানের নতুন কৌশল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে সামরিক বাহিনী তাতে রাজি নয় বলে একাধিক সূত্র গার্ডিয়ানকে নিশ্চিত করেছে।
এ বছরের জুনে ‘শর্তসাপেক্ষে’পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রকাশ্য আলাপের প্রস্তাব দেন ইমরান। তবে এক্ষেত্রে ইমরানের দাবি হচ্ছে সেনাবাহিনীকে ‘স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ’নির্বাচন দিতে হবে। কেননা তিনি এবং তাঁর দল তেহরিকে ইনসাফ পার্টি (পিটিআই) মনে করে যে, ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন অগণতান্ত্রিক উপায়ে করা হয়েছিল যেখানে জনগণ তাঁদের পছন্দ মতো প্রার্থী বাছাইয়ের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে পপুলার ভোটে পিটিআই প্রার্থীরাই জয়ী হয়েছে বলে দাবি তাদের।
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/ এসকে