ডেমোক্রেটিক দলীয় সাবেক এমপি এবং পরে রিপাবলিকান পার্টিতে যোগদান করা তুলসি গ্যাবার্ডকে (৪৩) যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স) প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এরআগে তিনি হাওয়াইয়ের ডেমোক্র্যাটিক দলীয়এমপি ছিলেন। গ্যাবার্ডেকে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হিসেবে ১৮টি গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্ব¡ দিয়েছেন ট্রাম্প। সেই সাথে ৭৬ বিলিয়ন ডলারের বাজেটও তদারকির দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।
তুলসি নাম দেখে অনেকে তাকে ‘ভারতীয় বংশোদ্ভূত’ মার্কিন নাগরিক মনে করে থাকেন। আসলে তা কিন্তু নয়। বং গত দিক থেকে ভারতের সাথে তাদের পরিবারের কোনো সম্পর্কই নেই। বিষয়টি তিনি বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফোরামে বারবার স্পষ্ট করেছেন।
মাইক গ্যাবার্ড ও মাক্যারল গ্যাবার্ড দম্পত্তির পাঁচ সন্তানের মধ্যে চতুর্থ তুলসি গ্যাবার্ড ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামোয়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। তার বয়স যখন দুই বছর, তখন তার পরিবার হাওয়াইতে চলে যায়। সেখানেই বড় হন তুলসী।
তুলসি মিশ্র সংস্কৃতির পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। তার বাবা মাইক গ্যাবার্ড সামোয়ান ও ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত। আর মাক্যারলের জন্ম ও বেড়ে ওঠা যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা ও মিশিগান রাজ্যে। ক্যারল প্রথম জীবনে হিন্দু ধর্মের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং সেখান থেকেই নিজের সন্তানদের হিন্দু নাম রাখেন।
তুলসি বাড়িতেই হাই স্কুল পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন । তবে এরমধ্যে ফিলিপিন্সের একটি বালিকা বোর্ডিং স্কুলে দুই বছর পড়াশোনা করেছিলেন।ওই সময় পড়াশুনার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
বাবা মাইক গ্যাবার্ড হাওয়াই রাজ্যের সিনেটর ছিলেন। বাবার অনুপ্রেরণাতেই রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তুলসি এবং ২০০২ সালে হাওয়াই প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে লিওয়ার্ড কমিউনিটি কলেজ ত্যাগ করেন। সেখানে তিনি টেলিভিশন প্রোডাকশন বিষয়ে পড়াশোনা করতেন। নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রথমবারেই প্রতিনিধি পরিষদের সর্ব কনিষ্ঠ নারী প্রতিনিধি নির্বাচিত হন।
প্রতিনিধি পরিষদে দায়িত্ব পালন কালে ২০০৩ সালে হাওয়াই আর্মি ন্যাশনাল গার্ডে যোগ দেন তুলসি। তিনি ইরাক যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। প্রায় দুই দশক তিনি সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করেন। এর পাশাপাশি পড়াশুনা, রাজনীতি ও চালিয়ে যান। ২০০৯ সালে হাওয়াই স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে সায়েন্স ইন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্য দেশের সাথে সামরিক সংঘাতে জড়ানোর বিরোধিতা করতেন।
২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ‘বর্ণবাদ বিরোধী’ কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে ডেমোক্রেটিক পার্টি ছেড়ে রিপাবলিকানদের সঙ্গে আঁতাত করে যোগ দেন ফক্স নিউজে। এমনকি নিজের একটি পডকাস্টও চালু করেন তিনি।
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গত অক্টোবরে উত্তর ক্যারোলিনায় ট্রাম্পের সমাবেশে যোগ দেন তুলসি। এমনকি হ্যারিসের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের প্রস্তুতিতে ও বিশেষ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
অতীতের জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তাদের মতো কোনো বিশেষ অভিজ্ঞতই নেই তার। সরকারের কোনো শীর্ষস্থানীয় পদেও ছিলেন না কখনো। এরপরও তাকেই জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প। সূত্র : এএফপি
বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে
এরআগে তিনি হাওয়াইয়ের ডেমোক্র্যাটিক দলীয়এমপি ছিলেন। গ্যাবার্ডেকে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হিসেবে ১৮টি গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্ব¡ দিয়েছেন ট্রাম্প। সেই সাথে ৭৬ বিলিয়ন ডলারের বাজেটও তদারকির দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।
তুলসি নাম দেখে অনেকে তাকে ‘ভারতীয় বংশোদ্ভূত’ মার্কিন নাগরিক মনে করে থাকেন। আসলে তা কিন্তু নয়। বং গত দিক থেকে ভারতের সাথে তাদের পরিবারের কোনো সম্পর্কই নেই। বিষয়টি তিনি বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফোরামে বারবার স্পষ্ট করেছেন।
মাইক গ্যাবার্ড ও মাক্যারল গ্যাবার্ড দম্পত্তির পাঁচ সন্তানের মধ্যে চতুর্থ তুলসি গ্যাবার্ড ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামোয়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। তার বয়স যখন দুই বছর, তখন তার পরিবার হাওয়াইতে চলে যায়। সেখানেই বড় হন তুলসী।
তুলসি মিশ্র সংস্কৃতির পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। তার বাবা মাইক গ্যাবার্ড সামোয়ান ও ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত। আর মাক্যারলের জন্ম ও বেড়ে ওঠা যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা ও মিশিগান রাজ্যে। ক্যারল প্রথম জীবনে হিন্দু ধর্মের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং সেখান থেকেই নিজের সন্তানদের হিন্দু নাম রাখেন।
তুলসি বাড়িতেই হাই স্কুল পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন । তবে এরমধ্যে ফিলিপিন্সের একটি বালিকা বোর্ডিং স্কুলে দুই বছর পড়াশোনা করেছিলেন।ওই সময় পড়াশুনার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
বাবা মাইক গ্যাবার্ড হাওয়াই রাজ্যের সিনেটর ছিলেন। বাবার অনুপ্রেরণাতেই রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তুলসি এবং ২০০২ সালে হাওয়াই প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে লিওয়ার্ড কমিউনিটি কলেজ ত্যাগ করেন। সেখানে তিনি টেলিভিশন প্রোডাকশন বিষয়ে পড়াশোনা করতেন। নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রথমবারেই প্রতিনিধি পরিষদের সর্ব কনিষ্ঠ নারী প্রতিনিধি নির্বাচিত হন।
প্রতিনিধি পরিষদে দায়িত্ব পালন কালে ২০০৩ সালে হাওয়াই আর্মি ন্যাশনাল গার্ডে যোগ দেন তুলসি। তিনি ইরাক যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। প্রায় দুই দশক তিনি সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করেন। এর পাশাপাশি পড়াশুনা, রাজনীতি ও চালিয়ে যান। ২০০৯ সালে হাওয়াই স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে সায়েন্স ইন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্য দেশের সাথে সামরিক সংঘাতে জড়ানোর বিরোধিতা করতেন।
২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ‘বর্ণবাদ বিরোধী’ কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে ডেমোক্রেটিক পার্টি ছেড়ে রিপাবলিকানদের সঙ্গে আঁতাত করে যোগ দেন ফক্স নিউজে। এমনকি নিজের একটি পডকাস্টও চালু করেন তিনি।
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গত অক্টোবরে উত্তর ক্যারোলিনায় ট্রাম্পের সমাবেশে যোগ দেন তুলসি। এমনকি হ্যারিসের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের প্রস্তুতিতে ও বিশেষ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
অতীতের জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তাদের মতো কোনো বিশেষ অভিজ্ঞতই নেই তার। সরকারের কোনো শীর্ষস্থানীয় পদেও ছিলেন না কখনো। এরপরও তাকেই জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প। সূত্র : এএফপি
বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে