বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর)। বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস সম্পর্কে বিশ্বময় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এটি একটি ক্যাম্পেইন। যা প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর পালিত হয়। বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস রোগ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায়, বিশ্ব ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯১ সালে ১৪ নভেম্বরকে ডায়াবেটিস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও জনসচেতনতার লক্ষ্যে দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডায়াবেটিস: সুস্বাস্থ্যই হোক আমাদের অঙ্গীকার’। তবে দু:খের বিষয় হলেও সত্যি যে বাংলাদেশের মতো একটা ছোট দেশে ১ কোটি ৩১ লাখেরও অধিক মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ২০২৩ সালে প্রকাশিত ডায়াবেটিস চিকিৎসার জাতীয় নির্দেশিকায় দেয়া তথ্যমতে, ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে অষ্টম। বাংলাদেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ।
ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের তথ্য মতে, বিশ্বে প্রায় ৪২ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ডায়াবেটিস রোগী উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিত্র আরও ভয়ংকর। সারা বিশ্বে প্রতি ১০ জনে ১ জন প্রাপ্তবয়স্ক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। বর্তমান বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জনে প্রায় ১৪ জন প্রাপ্ত বয়স্ক (২০-৭৯ বছর) ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। প্রতি ৪ জনে ৩ জন ডায়াবেটিস রোগী নিম্ন এবং নিম্নমধ্যবিত্ত দেশে বসবাস করে। বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর ৯৭ শতাংশই টাইপ-২। এ ধরনের ডায়াবেটিস প্রতিরোধযোগ্য। পদক্ষেপ নিলে এ রোগকে অনেক বিলম্বিত করা যায়।
ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের দেয়া সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ডায়াবেটিস এমন এক দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যার ফলে শরীর কার্যকরভাবে ইনসুলিন হরমোন তৈরি বন্ধ হয়ে যায়। যদি সহজ ভাষায় বলি, ডায়াবেটিস এমন একটি শারীরিক অবস্থা যার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে শর্করার মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে যায়। এতে একবার কেউ আক্রান্ত হলে সারা জীবনের জন্য তা বয়ে বেড়াতে হয়। তবে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন ও নিয়মিত শরীরচর্চা করলে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে এ ধরনের ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব।
নিউইয়র্কের ওয়েল কর্নেল মেডিক্যাল কলেজের একটি গবেষণা বলছে, সঠিক খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কোন ক্রমে সেই খাবার খাওয়া হচ্ছে তার উপরেও রক্তের শর্করার পরিমাণ অনেকটা নির্ভর করে। গবেষকদের দাবি, কার্বোহাইড্রেট প্রথমে খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ যতটা বৃদ্ধি পায় তার তুলনায় আগে শাক-সবজি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে অনেকটাই কম থাকে রক্তে শর্করার মাত্রা। আগে প্রোটিন ও শাক-সবজি খেলে আধা ঘণ্টা, এক ঘণ্টা ও দু'ঘণ্টা পর রক্তে শর্করার মাত্রা কম থাকে যথাক্রমে ২৯, ৩৭ ও ১৭ শতাংশ।
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/ এসকে
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও জনসচেতনতার লক্ষ্যে দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডায়াবেটিস: সুস্বাস্থ্যই হোক আমাদের অঙ্গীকার’। তবে দু:খের বিষয় হলেও সত্যি যে বাংলাদেশের মতো একটা ছোট দেশে ১ কোটি ৩১ লাখেরও অধিক মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ২০২৩ সালে প্রকাশিত ডায়াবেটিস চিকিৎসার জাতীয় নির্দেশিকায় দেয়া তথ্যমতে, ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে অষ্টম। বাংলাদেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ।
ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের তথ্য মতে, বিশ্বে প্রায় ৪২ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ডায়াবেটিস রোগী উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিত্র আরও ভয়ংকর। সারা বিশ্বে প্রতি ১০ জনে ১ জন প্রাপ্তবয়স্ক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। বর্তমান বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জনে প্রায় ১৪ জন প্রাপ্ত বয়স্ক (২০-৭৯ বছর) ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। প্রতি ৪ জনে ৩ জন ডায়াবেটিস রোগী নিম্ন এবং নিম্নমধ্যবিত্ত দেশে বসবাস করে। বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর ৯৭ শতাংশই টাইপ-২। এ ধরনের ডায়াবেটিস প্রতিরোধযোগ্য। পদক্ষেপ নিলে এ রোগকে অনেক বিলম্বিত করা যায়।
ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের দেয়া সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ডায়াবেটিস এমন এক দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যার ফলে শরীর কার্যকরভাবে ইনসুলিন হরমোন তৈরি বন্ধ হয়ে যায়। যদি সহজ ভাষায় বলি, ডায়াবেটিস এমন একটি শারীরিক অবস্থা যার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে শর্করার মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে যায়। এতে একবার কেউ আক্রান্ত হলে সারা জীবনের জন্য তা বয়ে বেড়াতে হয়। তবে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন ও নিয়মিত শরীরচর্চা করলে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে এ ধরনের ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব।
নিউইয়র্কের ওয়েল কর্নেল মেডিক্যাল কলেজের একটি গবেষণা বলছে, সঠিক খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কোন ক্রমে সেই খাবার খাওয়া হচ্ছে তার উপরেও রক্তের শর্করার পরিমাণ অনেকটা নির্ভর করে। গবেষকদের দাবি, কার্বোহাইড্রেট প্রথমে খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ যতটা বৃদ্ধি পায় তার তুলনায় আগে শাক-সবজি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে অনেকটাই কম থাকে রক্তে শর্করার মাত্রা। আগে প্রোটিন ও শাক-সবজি খেলে আধা ঘণ্টা, এক ঘণ্টা ও দু'ঘণ্টা পর রক্তে শর্করার মাত্রা কম থাকে যথাক্রমে ২৯, ৩৭ ও ১৭ শতাংশ।
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/ এসকে